যশোবন্ত সিংয়ের জিন্নাহ দর্শন রাম পুন্যায়নি -ভারতীয় রাজনীতি
এ মাসেই ভারতের বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিং জিন্নাহকে নিয়ে নতুন একটি বই প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই কাজ যে কত বড় ঝড় তুলেছে, যশোবন্ত সিংয়ের বহিষ্কার থেকে তার একটা মাপ পাওয়া সম্ভব। অথচ তিনি তিন দশক ধরে বিজেপিতে আছেন। যশোবন্ত সিং-এর মূল দাবি এই: জিন্নাহ একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ছিলেন, ভারতে তাঁকে অশুভ চরিত্র হিসেবে দেখানোটা অন্যায়। যশোবন্ত মনে করেন, ভারতভাগের জন্য জিন্নাহর চেয়ে তত্কালীন কংগ্রেস নেতা জহরলাল নেহরু ও বল্লভভাই প্যাটেলেরই দায় বেশি। তাঁদের কারণেই ভয়ঙ্কর দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয় এবং ভারতে মুসলমানদের বহিরাগত হিসেবে দেখা হতে থাকে।
যে কেউই স্বীকার করবেন যে ভারতে মুসলমানদের বহিরাগত হিসেবে দেখা হয়। বড় দলগুলোর অন্যতম বিজেপি মুসলিমদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। বিজেপির এই আগ্রাসী রাজনীতিই মুসলিমদের কোণঠাসা অবস্থানের অন্যতম কারণ। প্রশ্ন হলো, বিজেপি যখন হিন্দু জাতীয়তাবাদের জিগির তুলছিল তখন যশোবন্ত সিং কোথায় ছিলেন? এই প্রক্রিয়ায় মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। কেবল বিজেপিই নয়, আরএসএসের ভাবাদর্শ ভারতীয় জীবনের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সংক্রমিত করে দেওয়া হয়েছে। যশোবন্ত সিং তো এত দিন আরএসএসের রাজনৈতিক শাখা বিজেপিরই নেতা ছিলেন। তাই তাঁর তরফে ‘মুসলমানদের আলাদা করে দেওয়ার’ অভিযোগ তোলা কুমিরের অশ্রুবর্ষণের মতো মনে হয়!
যে দলটিকে বিচক্ষণতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন জিন্নাহ তার নাম মুসলিম লীগ। এটা কি জিন্নাহর সেক্যুলার ভাবমূর্তির পরিহাস নয়? জীবনের প্রথম ভাগে ভারতীয় কংগ্রেসে কাজ করেও জিন্নাহ কেবলই মুসলমানদের ‘বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর’ হয়ে যান। কিন্তু কোন মুসলমানদের? যে মুসলমানরা ধনী, নবাব ও জমিদার। তাঁর ব্যক্তিচরিত্রের অনেক আকর্ষণীয় দিক থাকা সত্ত্বেও তিনি সেক্যুলার ছিলেন না। কারণ ধর্মপরিচয়কে তিনি জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন। এ কথা সত্য যে কংগ্রেসের মধ্যে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষিত হবে না জেনেই তিনি এ পথে এগিয়েছিলেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খান আব্দুল গাফফার খান, রাফি আহমদ কিদওয়াই এবং অন্য অনেক মুসলমান নেতা ভারতীয় জাতীয়তাকে ধর্ম-বর্ণের বাইরে চিন্তা করে আন্দোলন করেছিলেন। দরিদ্র মুসলমানদের বেশির ভাগও গান্ধীর আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। এমনকি বেরেলভী ও দেওবন্দের মতো ধর্মীয় নেতা ও শিক্ষকদের অনেকেও মিশ্র জাতীয়তার ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন। ‘মুসলমানরা আলাদা জাতি’ বলা আর সাভারকার-আরএসএসের ‘ভারত আদতে একটি হিন্দু রাষ্ট্র’ বলা আসলে একই মুদ্রার অন্য পিঠ। জিন্নাহ যাদের স্বার্থ রক্ষা করেছিলেন তারা মুসলমানদের কত ভাগ ছিল? জমিদার, ধনী ব্যবসায়ী মুসলমানদের স্বার্থ আর গরিব-কৃষক মুসলমানদের স্বার্থ কি এক? সাভারকার ও আরএসএস যে হিন্দু জাতীয় স্বার্থের কথা বলে তারা কোন পদের হিন্দু? গরিব হিন্দুদের স্বার্থ তারা কবে দেখেছে?
দেশভাগ নিয়ে বিতর্কে কেবল নেতাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের কথাই আসে। আসে না ব্রিটিশের ভেদনীতির কথা, যেসব সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়েছিল তার কথা। তাই পাকিস্তানে ভারত বিভাগের জন্য কংগ্রেস ও হিন্দু নেতাদের দোষানো হয় আর ভারতে খলনায়ক বানানো হয় মুসলিম লীগ ও জিন্নাহকে। হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মুসলমানদের ছাড় দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে গান্ধীকেও।
১৮৮৫ সালে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হলে তার মধ্যে ভারতের উদীয়মান সব শ্রেণীর ও শিক্ষিত অংশের লোকেরা জড়ো হয়। হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগের নেতারাও এর মধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেন। ১৯০৬ সালে ভাগ করো শাসন করো নীতির ভিত্তিতে মুসলিম লীগকে স্বীকৃতি দেয় ইংরেজ। সে সময় এটি ছিল নিজ সম্প্রদায়ের গরিবদের ভয়ে ভীত কেবলই নবাব-নাইটদের দল। হিন্দু মহাসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৫ সালে। এখানেও জড়ো হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ভয়ে ভীত হিন্দু জাতীয়তাবাদী, ধনী ও জমিদার নেতারা। ব্রিটিশ পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের সেটাই শুরু। পরের ইতিহাস সবার জানা।
জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র মুসলিম জাতি গঠন করতে চেয়েছিলেন। আর সাভারকারের উত্তরসূরি আদভানিরা চান হিন্দু জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করতে। আদর্শিক দিক থেকে তাঁরা একই রাজনৈতিক তরঙ্গের লোক, ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক। এ জন্যই দেশভাগের দায় থেকে জিন্নাহকে রেহাই দেওয়ার মাধ্যমে তাঁরা আসলে কংগ্রেস ও নেহরুকে কোণঠাসা করতে চান। এটা তাঁদের আজকের রাজনীতিতে সুবিধা দেবে। তবে প্যাটেলকে দোষারোপ করা বিজেপির বিরাট একটি অংশের মনঃপূত নয়। সে কারণেই তারা জিন্নাহর প্রশস্তি মানছে না। এখানেই রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে বিজেপির যাবতীয় দোলাচল। নির্বাচনী জরুরতের কারণে আদভানি হয়তো তাঁর চামড়া বাঁচাতে পারবেন, কিন্তু অসুস্থ বাজপেয়ীকে নিয়ে বিজেপি তার নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করবে কাকে দিয়ে?
ইতিহাসের রয়েছে শিক্ষা দেওয়ার এক অদ্ভুত প্রবণতা। আজকে নানা রকমের মত উঠছে। ধর্মের পরিচয়ের ভিত্তিতে অতীতের রাজাদের গুণগান বা নিন্দাও করা হচ্ছে। কিন্তু বাদ পড়ে রইছে কৃষক ও শ্রমিকেরা। বর্তমানের ইতিহাস নিয়েও একই সমস্যা বিরাজ করছে। সাম্প্রদায়িক ধারাগুলো, জন্মভিত্তিক বর্ণবাদী চিন্তার উত্সগুলো আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। বীর ও খলনায়কের নির্মাণের বিষয়েও দেখা যায় একদলের বীর অন্যদলের খলনায়ক। তাই আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে বলিউডের ছবিগুলো এ কাজে বাজার পাবে। এবং বলিউড যেমন সমাজের ভেতরকার গভীর বিভক্তি ও তার কার্যকারণ নিয়ে চিন্তিত নয়, তেমনি কোনো কোনো বিশ্লেষক সস্তা আলোচনাকেই প্রশ্রয় দেন। তাঁদের কাছে সমস্যাটা কেবল কে দায়ী আর কে নয় তা ঠিক করা, কী কারণে বিভক্তি এল এটা তাঁদের চিন্তাতরঙ্গে থই পায় না।
তেহেলকা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ ফারুক ওয়াসিফ।
রাম পুন্যায়নি: ভারতীয় বিজ্ঞানী ও বিজেপি-বিশারদ।
যে কেউই স্বীকার করবেন যে ভারতে মুসলমানদের বহিরাগত হিসেবে দেখা হয়। বড় দলগুলোর অন্যতম বিজেপি মুসলিমদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। বিজেপির এই আগ্রাসী রাজনীতিই মুসলিমদের কোণঠাসা অবস্থানের অন্যতম কারণ। প্রশ্ন হলো, বিজেপি যখন হিন্দু জাতীয়তাবাদের জিগির তুলছিল তখন যশোবন্ত সিং কোথায় ছিলেন? এই প্রক্রিয়ায় মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। কেবল বিজেপিই নয়, আরএসএসের ভাবাদর্শ ভারতীয় জীবনের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সংক্রমিত করে দেওয়া হয়েছে। যশোবন্ত সিং তো এত দিন আরএসএসের রাজনৈতিক শাখা বিজেপিরই নেতা ছিলেন। তাই তাঁর তরফে ‘মুসলমানদের আলাদা করে দেওয়ার’ অভিযোগ তোলা কুমিরের অশ্রুবর্ষণের মতো মনে হয়!
যে দলটিকে বিচক্ষণতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন জিন্নাহ তার নাম মুসলিম লীগ। এটা কি জিন্নাহর সেক্যুলার ভাবমূর্তির পরিহাস নয়? জীবনের প্রথম ভাগে ভারতীয় কংগ্রেসে কাজ করেও জিন্নাহ কেবলই মুসলমানদের ‘বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর’ হয়ে যান। কিন্তু কোন মুসলমানদের? যে মুসলমানরা ধনী, নবাব ও জমিদার। তাঁর ব্যক্তিচরিত্রের অনেক আকর্ষণীয় দিক থাকা সত্ত্বেও তিনি সেক্যুলার ছিলেন না। কারণ ধর্মপরিচয়কে তিনি জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন। এ কথা সত্য যে কংগ্রেসের মধ্যে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষিত হবে না জেনেই তিনি এ পথে এগিয়েছিলেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খান আব্দুল গাফফার খান, রাফি আহমদ কিদওয়াই এবং অন্য অনেক মুসলমান নেতা ভারতীয় জাতীয়তাকে ধর্ম-বর্ণের বাইরে চিন্তা করে আন্দোলন করেছিলেন। দরিদ্র মুসলমানদের বেশির ভাগও গান্ধীর আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। এমনকি বেরেলভী ও দেওবন্দের মতো ধর্মীয় নেতা ও শিক্ষকদের অনেকেও মিশ্র জাতীয়তার ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন। ‘মুসলমানরা আলাদা জাতি’ বলা আর সাভারকার-আরএসএসের ‘ভারত আদতে একটি হিন্দু রাষ্ট্র’ বলা আসলে একই মুদ্রার অন্য পিঠ। জিন্নাহ যাদের স্বার্থ রক্ষা করেছিলেন তারা মুসলমানদের কত ভাগ ছিল? জমিদার, ধনী ব্যবসায়ী মুসলমানদের স্বার্থ আর গরিব-কৃষক মুসলমানদের স্বার্থ কি এক? সাভারকার ও আরএসএস যে হিন্দু জাতীয় স্বার্থের কথা বলে তারা কোন পদের হিন্দু? গরিব হিন্দুদের স্বার্থ তারা কবে দেখেছে?
দেশভাগ নিয়ে বিতর্কে কেবল নেতাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের কথাই আসে। আসে না ব্রিটিশের ভেদনীতির কথা, যেসব সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়েছিল তার কথা। তাই পাকিস্তানে ভারত বিভাগের জন্য কংগ্রেস ও হিন্দু নেতাদের দোষানো হয় আর ভারতে খলনায়ক বানানো হয় মুসলিম লীগ ও জিন্নাহকে। হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মুসলমানদের ছাড় দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে গান্ধীকেও।
১৮৮৫ সালে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হলে তার মধ্যে ভারতের উদীয়মান সব শ্রেণীর ও শিক্ষিত অংশের লোকেরা জড়ো হয়। হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগের নেতারাও এর মধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেন। ১৯০৬ সালে ভাগ করো শাসন করো নীতির ভিত্তিতে মুসলিম লীগকে স্বীকৃতি দেয় ইংরেজ। সে সময় এটি ছিল নিজ সম্প্রদায়ের গরিবদের ভয়ে ভীত কেবলই নবাব-নাইটদের দল। হিন্দু মহাসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৫ সালে। এখানেও জড়ো হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ভয়ে ভীত হিন্দু জাতীয়তাবাদী, ধনী ও জমিদার নেতারা। ব্রিটিশ পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের সেটাই শুরু। পরের ইতিহাস সবার জানা।
জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র মুসলিম জাতি গঠন করতে চেয়েছিলেন। আর সাভারকারের উত্তরসূরি আদভানিরা চান হিন্দু জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করতে। আদর্শিক দিক থেকে তাঁরা একই রাজনৈতিক তরঙ্গের লোক, ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক। এ জন্যই দেশভাগের দায় থেকে জিন্নাহকে রেহাই দেওয়ার মাধ্যমে তাঁরা আসলে কংগ্রেস ও নেহরুকে কোণঠাসা করতে চান। এটা তাঁদের আজকের রাজনীতিতে সুবিধা দেবে। তবে প্যাটেলকে দোষারোপ করা বিজেপির বিরাট একটি অংশের মনঃপূত নয়। সে কারণেই তারা জিন্নাহর প্রশস্তি মানছে না। এখানেই রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে বিজেপির যাবতীয় দোলাচল। নির্বাচনী জরুরতের কারণে আদভানি হয়তো তাঁর চামড়া বাঁচাতে পারবেন, কিন্তু অসুস্থ বাজপেয়ীকে নিয়ে বিজেপি তার নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করবে কাকে দিয়ে?
ইতিহাসের রয়েছে শিক্ষা দেওয়ার এক অদ্ভুত প্রবণতা। আজকে নানা রকমের মত উঠছে। ধর্মের পরিচয়ের ভিত্তিতে অতীতের রাজাদের গুণগান বা নিন্দাও করা হচ্ছে। কিন্তু বাদ পড়ে রইছে কৃষক ও শ্রমিকেরা। বর্তমানের ইতিহাস নিয়েও একই সমস্যা বিরাজ করছে। সাম্প্রদায়িক ধারাগুলো, জন্মভিত্তিক বর্ণবাদী চিন্তার উত্সগুলো আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। বীর ও খলনায়কের নির্মাণের বিষয়েও দেখা যায় একদলের বীর অন্যদলের খলনায়ক। তাই আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে বলিউডের ছবিগুলো এ কাজে বাজার পাবে। এবং বলিউড যেমন সমাজের ভেতরকার গভীর বিভক্তি ও তার কার্যকারণ নিয়ে চিন্তিত নয়, তেমনি কোনো কোনো বিশ্লেষক সস্তা আলোচনাকেই প্রশ্রয় দেন। তাঁদের কাছে সমস্যাটা কেবল কে দায়ী আর কে নয় তা ঠিক করা, কী কারণে বিভক্তি এল এটা তাঁদের চিন্তাতরঙ্গে থই পায় না।
তেহেলকা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ ফারুক ওয়াসিফ।
রাম পুন্যায়নি: ভারতীয় বিজ্ঞানী ও বিজেপি-বিশারদ।
No comments