ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সেই সব ম্যাচ
আজ সকাল সাড়ে সাতটায় আরেক মহাকাব্যিক দ্বৈরথ বসছে আর্জেন্টিনার রোজারিও স্টেডিয়ামে। এই ফাঁকে আসুন চোখ ফেরাই ফুটবল ইতিহাসের পাতায়। দেখে নিই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার আলোচিত কিছু ম্যাচ:
১৯৩৭ সাল: প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ দুই লাতিন প্রতিবেশী খেলেছিল ১৯১৪ সালে। বেশি সময় লাগেনি এই দুই দেশের লড়াই জমে উঠতে। ১৯৩৭ সালের কোপা আমেরিকার ম্যাচটা যেমন হয়ে উঠেছিল দুই দেশের মর্যাদার লড়াই। মাঠে খেলার সঙ্গে ছিল কথার যুদ্ধ, ছড়িয়েছিল তা গ্যালারিতেও। স্বাগতিক আর্জেন্টাইন দর্শকেরা ‘ম্যাকাকিটোস’ বলে দিচ্ছিল বাঁদরের ডাক। বুয়েনস এইরেসের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকা ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। নিরাপত্তার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়াম ছেড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল।
১৯৩৯ সাল: রোকা কাপের দুটো ম্যাচ খেলতে ব্রাজিলে এসেছিল আর্জেন্টিনা। তারা প্রথম ম্যাচটা ৫-১ গোল জিতলেও ঝামেলা বাধে দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রতিশোধস্পৃহ ব্রাজিল এবার প্রথমেই গোল করে। সেটা শোধ করে আর্জেন্টিনা একসময় ২-১ গোলে এগিয়েও যায়। ফের সমতা আনে ব্রাজিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার আর্কেডিও লোপেজ চড়াও হন রেফারির ওপর। পুলিশি প্রহরায় তাঁকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। রেফারি আর পুলিশের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা মাঠ ছেড়ে যায়। ফাঁকা পোস্টে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩-২-এ জেতে ব্রাজিল।
১৯৭৮ সাল: দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ রোজারিও স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। স্কোরবোর্ডে কোনো গোল জমা না পড়লেও জমে উঠেছিল উত্তেজনা, হই-হুল্লোড়। সেই ম্যাচটাই ‘ব্যাটল অব রোজারিও’ নামে খ্যাত।
১৯৮২ সাল: এই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের গ্রুপ ‘সি’টা হয়ে উঠেছিল আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুকূপ। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সঙ্গে ছিল ইতালি। প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হেরে যাওয়ায় ব্রাজিলের বিপক্ষে জিততেই হতো আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ৩-১ গোলে হেরে যায় চ্যাম্পিয়নরা। হতাশায় নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা ডিয়েগো ম্যারাডোনা লাথি মেরে বসেন ব্রাজিলের হোয়াও বাতিস্তাকে!
১৯৯০ সাল: এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ ম্যাচ। ১-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচেই সেই ‘হলি ওয়াটার’ বিতর্কের জন্ম।
১৯৯১ সাল: কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে ৩-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে হাতাহাতি করে পাঁচ খেলোয়াড় দেখেন লাল কার্ড। প্রথমে ক্লদিও ক্যানিজিয়া আর মাজিনহো; পরে এনরিকে আর মারসিও সান্তোস, সবশেষে বদলি হিসেবে নামার দুই মিনিটের মাথায় কারেকা।
১৯৯৫ সাল: কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে বাঁ বাহু দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে সমতা ফেরান ব্রাজিলের তুলিও কস্তা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে জেতে ব্রাজিল। আর্জেন্টাইন মিডিয়া কস্তাকে আখ্যায়িত করে ‘শয়তানের হাত’!
২০০৪ সাল: কোপা আমেরিকায় এবারও আর্জেন্টিনার জিততে জিততে হেরে যাওয়ার হতাশা। তবে হাত দিয়ে নয়, বৈধভাবেই শেষ মুহূর্তে গোল করে সমতা ফেরান আদ্রিয়ানো। টাইব্রেকে গোলরক্ষক হুলিও সিজারের বীরত্বে জিতে যায় ব্রাজিল।
২০০৭ সাল: কোপা আমেরিকায় রিকেলমে-মেসির দাপটে দুর্দান্ত খেলছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ফেবারিট ছিল তারাই। নতুন কোচ দুঙ্গা তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত কৌশল আঁটেন। আর্জেন্টিনা হেরে যায় ০-৩ গোলে।
২০০৮ সাল: হোক না অলিম্পিকের ম্যাচ, তার পরও সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোপার প্রতিশোধ নেয় আর্জেন্টিনা।
১৯৩৭ সাল: প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ দুই লাতিন প্রতিবেশী খেলেছিল ১৯১৪ সালে। বেশি সময় লাগেনি এই দুই দেশের লড়াই জমে উঠতে। ১৯৩৭ সালের কোপা আমেরিকার ম্যাচটা যেমন হয়ে উঠেছিল দুই দেশের মর্যাদার লড়াই। মাঠে খেলার সঙ্গে ছিল কথার যুদ্ধ, ছড়িয়েছিল তা গ্যালারিতেও। স্বাগতিক আর্জেন্টাইন দর্শকেরা ‘ম্যাকাকিটোস’ বলে দিচ্ছিল বাঁদরের ডাক। বুয়েনস এইরেসের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকা ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। নিরাপত্তার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়াম ছেড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল।
১৯৩৯ সাল: রোকা কাপের দুটো ম্যাচ খেলতে ব্রাজিলে এসেছিল আর্জেন্টিনা। তারা প্রথম ম্যাচটা ৫-১ গোল জিতলেও ঝামেলা বাধে দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রতিশোধস্পৃহ ব্রাজিল এবার প্রথমেই গোল করে। সেটা শোধ করে আর্জেন্টিনা একসময় ২-১ গোলে এগিয়েও যায়। ফের সমতা আনে ব্রাজিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার আর্কেডিও লোপেজ চড়াও হন রেফারির ওপর। পুলিশি প্রহরায় তাঁকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। রেফারি আর পুলিশের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনা মাঠ ছেড়ে যায়। ফাঁকা পোস্টে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩-২-এ জেতে ব্রাজিল।
১৯৭৮ সাল: দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ রোজারিও স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। স্কোরবোর্ডে কোনো গোল জমা না পড়লেও জমে উঠেছিল উত্তেজনা, হই-হুল্লোড়। সেই ম্যাচটাই ‘ব্যাটল অব রোজারিও’ নামে খ্যাত।
১৯৮২ সাল: এই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের গ্রুপ ‘সি’টা হয়ে উঠেছিল আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুকূপ। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সঙ্গে ছিল ইতালি। প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হেরে যাওয়ায় ব্রাজিলের বিপক্ষে জিততেই হতো আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ৩-১ গোলে হেরে যায় চ্যাম্পিয়নরা। হতাশায় নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা ডিয়েগো ম্যারাডোনা লাথি মেরে বসেন ব্রাজিলের হোয়াও বাতিস্তাকে!
১৯৯০ সাল: এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ ম্যাচ। ১-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচেই সেই ‘হলি ওয়াটার’ বিতর্কের জন্ম।
১৯৯১ সাল: কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে ৩-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে হাতাহাতি করে পাঁচ খেলোয়াড় দেখেন লাল কার্ড। প্রথমে ক্লদিও ক্যানিজিয়া আর মাজিনহো; পরে এনরিকে আর মারসিও সান্তোস, সবশেষে বদলি হিসেবে নামার দুই মিনিটের মাথায় কারেকা।
১৯৯৫ সাল: কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে বাঁ বাহু দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে সমতা ফেরান ব্রাজিলের তুলিও কস্তা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে জেতে ব্রাজিল। আর্জেন্টাইন মিডিয়া কস্তাকে আখ্যায়িত করে ‘শয়তানের হাত’!
২০০৪ সাল: কোপা আমেরিকায় এবারও আর্জেন্টিনার জিততে জিততে হেরে যাওয়ার হতাশা। তবে হাত দিয়ে নয়, বৈধভাবেই শেষ মুহূর্তে গোল করে সমতা ফেরান আদ্রিয়ানো। টাইব্রেকে গোলরক্ষক হুলিও সিজারের বীরত্বে জিতে যায় ব্রাজিল।
২০০৭ সাল: কোপা আমেরিকায় রিকেলমে-মেসির দাপটে দুর্দান্ত খেলছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ফেবারিট ছিল তারাই। নতুন কোচ দুঙ্গা তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত কৌশল আঁটেন। আর্জেন্টিনা হেরে যায় ০-৩ গোলে।
২০০৮ সাল: হোক না অলিম্পিকের ম্যাচ, তার পরও সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোপার প্রতিশোধ নেয় আর্জেন্টিনা।
No comments