পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি ছাড়াই ডিএসইতে আজ চালু হচ্ছে ওটিসি বাজার
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত দুর্বল মৌলভিত্তির ‘জেড’ শ্রেণীভুক্ত নিষ্ক্রিয় বা তুলনামূলক মন্দ কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনের জন্য আজ রোববার থেকে ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ বা ওটিসি নামে পৃথক ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
এ জন্য রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের আটতলায় আলাদা কার্যালয় খোলা হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার এই ওটিসি বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এদিকে কোন কোন কোম্পানিকে ওটিসি ব্যবস্থায় নেওয়া হচ্ছে তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি ডিএসই। তাই শুরুতেই ওটিসি বাজারের সাফল্য নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোকেই ওটিসি মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, দুর্বল ও নিষ্ক্রিয় কোম্পানিগুলোকে মূল লেনদেনব্যবস্থা থেকে সরিয়ে নেওয়ার এ উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এতে বাজারে এক ধরনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে। তবে ওটিসি বাজার কাজ করবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ এর আগে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অনেক ঘটা করে ওটিসি বাজার চালু করা হলেও তাতে একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি।
যেসব কোম্পানির লেনদেন বন্ধ: উত্পাদন বন্ধ থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়া ইত্যাদি কারণে এসইসি দুই দফায় ৩৬টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ করেছে।
কোম্পানিগুলো হলো, আল-আমিন কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ, আশরাফ টেক্সটাইলস, বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারি, চিটাগাং ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, এক্সেলসিউর সু, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন, ম্যাক এন্টারপ্রাইজেস, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ, মেটালেক্স করপোরেশন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মিতা টেক্সটাইল মিলস, মডার্ন সিমেন্ট, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার, কাশেম টেক্সটাইল মিলস, রহমান কেমিক্যালস, রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস, রোজ হেভেন বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ, সজীব নিটওয়্যার অ্যান্ড গার্মেন্টস, সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, ওয়াটা কেমিক্যালস, আরবি টেক্সটাইল, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস, লেক্সকো, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ফিনিক্স লেদার কমপ্লেক্স ও টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস।
তবে এসইসি পরবর্তী সময়ে বিচ হ্যাচারি, চিটাগাং ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, এক্সেলসিউর সু, মেঘনা কনডেন্সন্ড মিল্ক ও মেঘনা পেটের লেনদেন চালু করার অনুমোদন দেয়।
এর আগে ডিএসই আরও ১০টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ করেছিল। কোম্পানিগুলো হলো বায়োনিক সি ফুড, মোনা ফুড ইন্ডাস্ট্রি, আনাম সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, কাশেম সিল্ক মিলস, এম হোসেন গার্মেন্টস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং, সালেহ কার্পেট মিলস, ডায়নামিক টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার কোম্পানি, পারফিউম কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডাস্ট্রিজ।
যেভাবে লেনদেন হবে: ওটিসি বাজারে লেনদেন হবে কেবল কাগজের শেয়ার। প্রথম দিকে শুধু শেয়ার বিক্রির আদেশ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কেবল নিজ নামে থাকা শেয়ারই লেনদেন করা যাবে।
বিক্রেতাদের ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যাসহ তাঁরা কী দামে বিক্রি করতে চান সেটি উল্লেখ করে ওটিসি বাজারে জমা দিয়ে একটি রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এ তথ্য ওটিসি বাজারে কম্পিউটারের পর্দার মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে।
যাঁরা শেয়ার কিনতে চাইবেন তাঁদের এখান থেকে শেয়ার পছন্দ করে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে ডিএসইতে পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। এরপর শেয়ারের সনদ ও মালিকানা পরিবর্তনের ফরমসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছে পাঠানো হবে। কোম্পানি পাঁচ দিনের মধ্যে মালিকানা পরিবর্তন করে পাঠানোর পর বিক্রেতাকে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হবে।
আগের কথা: জানা গেছে, ওটিসি বাজার চালুর লক্ষ্যে এসইসি ২০০১ সালে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের জুলাই মাসে সিএসইতে ওটিসি চালু করা হয়। এসইসির তত্কালীন চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরে সিএসই থেকে তালিকাচ্যুত চার কোম্পানি প্যারাগন লেদার, রূপন অয়েল, ন্যাশনাল অক্সিজেন ও জেম নিটওয়্যারের শেয়ার এ বাজারে লেনদেনের জন্য অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি দেয় এসইসি। কিন্তু উদ্বোধনের পর গত পাঁচ বছরে এ বাজারে একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি।
এ ব্যাপারে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো, সাধারণত তালিকাচ্যুত কোম্পানির শেয়ারকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। তা ছাড়া এ বাজারে শেয়ার লেনদেন অপেক্ষাকৃত জটিল হওয়ায় এ বাজার থেকে কেউই শেয়ার কিনতে আগ্রহী হয় না। আবার শেয়ার কেনা হলে সহজে তা বিক্রি করা যাবে কি না, সে বিষয়েও সন্দেহ থেকে যায়।
এ জন্য রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের আটতলায় আলাদা কার্যালয় খোলা হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার এই ওটিসি বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এদিকে কোন কোন কোম্পানিকে ওটিসি ব্যবস্থায় নেওয়া হচ্ছে তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি ডিএসই। তাই শুরুতেই ওটিসি বাজারের সাফল্য নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোকেই ওটিসি মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, দুর্বল ও নিষ্ক্রিয় কোম্পানিগুলোকে মূল লেনদেনব্যবস্থা থেকে সরিয়ে নেওয়ার এ উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এতে বাজারে এক ধরনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে। তবে ওটিসি বাজার কাজ করবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ এর আগে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অনেক ঘটা করে ওটিসি বাজার চালু করা হলেও তাতে একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি।
যেসব কোম্পানির লেনদেন বন্ধ: উত্পাদন বন্ধ থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়া ইত্যাদি কারণে এসইসি দুই দফায় ৩৬টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ করেছে।
কোম্পানিগুলো হলো, আল-আমিন কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ, আশরাফ টেক্সটাইলস, বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারি, চিটাগাং ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, এক্সেলসিউর সু, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন, ম্যাক এন্টারপ্রাইজেস, ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ, মেটালেক্স করপোরেশন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মিতা টেক্সটাইল মিলস, মডার্ন সিমেন্ট, পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালার, কাশেম টেক্সটাইল মিলস, রহমান কেমিক্যালস, রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস, রোজ হেভেন বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ, সজীব নিটওয়্যার অ্যান্ড গার্মেন্টস, সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, ওয়াটা কেমিক্যালস, আরবি টেক্সটাইল, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস, লেক্সকো, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ফিনিক্স লেদার কমপ্লেক্স ও টিউলিপ ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস।
তবে এসইসি পরবর্তী সময়ে বিচ হ্যাচারি, চিটাগাং ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, এক্সেলসিউর সু, মেঘনা কনডেন্সন্ড মিল্ক ও মেঘনা পেটের লেনদেন চালু করার অনুমোদন দেয়।
এর আগে ডিএসই আরও ১০টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ করেছিল। কোম্পানিগুলো হলো বায়োনিক সি ফুড, মোনা ফুড ইন্ডাস্ট্রি, আনাম সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, কাশেম সিল্ক মিলস, এম হোসেন গার্মেন্টস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং, সালেহ কার্পেট মিলস, ডায়নামিক টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার কোম্পানি, পারফিউম কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডাস্ট্রিজ।
যেভাবে লেনদেন হবে: ওটিসি বাজারে লেনদেন হবে কেবল কাগজের শেয়ার। প্রথম দিকে শুধু শেয়ার বিক্রির আদেশ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কেবল নিজ নামে থাকা শেয়ারই লেনদেন করা যাবে।
বিক্রেতাদের ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যাসহ তাঁরা কী দামে বিক্রি করতে চান সেটি উল্লেখ করে ওটিসি বাজারে জমা দিয়ে একটি রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এ তথ্য ওটিসি বাজারে কম্পিউটারের পর্দার মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে।
যাঁরা শেয়ার কিনতে চাইবেন তাঁদের এখান থেকে শেয়ার পছন্দ করে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে ডিএসইতে পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। এরপর শেয়ারের সনদ ও মালিকানা পরিবর্তনের ফরমসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছে পাঠানো হবে। কোম্পানি পাঁচ দিনের মধ্যে মালিকানা পরিবর্তন করে পাঠানোর পর বিক্রেতাকে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হবে।
আগের কথা: জানা গেছে, ওটিসি বাজার চালুর লক্ষ্যে এসইসি ২০০১ সালে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের জুলাই মাসে সিএসইতে ওটিসি চালু করা হয়। এসইসির তত্কালীন চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরে সিএসই থেকে তালিকাচ্যুত চার কোম্পানি প্যারাগন লেদার, রূপন অয়েল, ন্যাশনাল অক্সিজেন ও জেম নিটওয়্যারের শেয়ার এ বাজারে লেনদেনের জন্য অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি দেয় এসইসি। কিন্তু উদ্বোধনের পর গত পাঁচ বছরে এ বাজারে একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি।
এ ব্যাপারে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো, সাধারণত তালিকাচ্যুত কোম্পানির শেয়ারকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। তা ছাড়া এ বাজারে শেয়ার লেনদেন অপেক্ষাকৃত জটিল হওয়ায় এ বাজার থেকে কেউই শেয়ার কিনতে আগ্রহী হয় না। আবার শেয়ার কেনা হলে সহজে তা বিক্রি করা যাবে কি না, সে বিষয়েও সন্দেহ থেকে যায়।
No comments