বায়তুল মোকাররমের পবিত্রতাঃ হিযবুত তাহ্রীরের গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিচার করুন
জাতীয়
মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মানুষ যায় ইবাদত করতে। আর কিছু মানুষ যায়
হাঙ্গামা করতে। যারা পরিকল্পিতভাবে হাঙ্গামা বাধায়, তাদের উদ্দেশ্য
রাজনৈতিক, তারা সংগঠিতভাবে মসজিদকে ব্যবহার করতে চায় নিজেদের রাজনৈতিক
স্বার্থে।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় উগ্রপন্থী হিসেবে পরিচিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের কয়েক শ নেতা-কর্মী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ব্যাপক হাঙ্গামা করেছে। তারা জায়নামাজের ভাঁজে ও কাগজে মুড়িয়ে লাঠি নিয়ে মসজিদে ঢুকে সাধারণ মুসল্লিদের ফাঁকে ফাঁকে অবস্থান নেয়। ফরজ নামাজের পর মোনাজাত শেষ হওয়ার আগেই তারা সদলবলে বেরিয়ে গিয়ে বায়তুল মোকাররমের সামনের সড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করতে উদ্যত হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন তারা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা চালায়; প্রায় আধঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। এতে পুলিশের চার উপপরিদর্শকসহ সাত সদস্য আহন হন।
জায়নামাজের ভাঁজে লাঠি লুকিয়ে নিয়ে যারা মসজিদে ঢোকে, তাদের উদ্দেশ্য আর যা-ই হোক, আন্তরিক ইবাদত নয়। তারা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করেই ক্ষান্ত হয় না, সাধারণ মুসল্লিদের ইবাদতেও ভীষণ বিঘ্ন ঘটায়। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর হিযবুত তাহ্রীরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে মুসল্লিদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি হয়, নিরাপত্তার খোঁজে তাঁদের মধ্যে এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। কোথায় রইল নামাজ শেষের মোনাজাত, তারপর কোথায় সুন্নত রাকাতগুলো আদায়; অক্ষত দেহে ঘরে ফেরার চেষ্টাই বড় হয়ে উঠল।
কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এই ঘটনাকে? কোনো সভ্য দেশে কি এ রকম ঘটা সম্ভব? গত শুক্রবারের ঘটনাটি ব্যতিক্রমী কিছু নয়। এ রকম ঘটে আসছে অনেক বছর ধরেই। ধর্মভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক দল ও নামে-বেনামে তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে। বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ প্রভৃতি রাজনৈতিক কর্মসূচির সূচনাস্থল হিসেবে তারা বেছে নেয় জাতীয় মসজিদের গেট, তার আশপাশের রাস্তা ও চত্বর। অতীতে এমনও দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে, মসজিদের ভেতরে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল প্রভৃতি মজুদ করে রেখেছে এবং সংঘর্ষের সময় সেগুলো ব্যবহার করেছে। এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
মুসল্লি সেজে জায়নামাজের ভাঁজে বা অন্য কোনোভাবে কেউ লাঠি বা অস্ত্র লুকিয়ে নিয়ে মসজিদে ঢুকছে কি না, তা জনে-জনে তল্লাশি করা সম্ভব হবে না। তবে সরকার এমন একটি ঘোষণা দিতে পারে যে এ ধরনের তত্পরতায় যারা লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুক্রবারের ঘটনায় হিযবুত তাহ্রীরের ৩০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনশৃঙ্খলা, জনগণের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা বিনষ্ট করার অপরাধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী তাদের বিচার নিশ্চিত করা উচিত।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় উগ্রপন্থী হিসেবে পরিচিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের কয়েক শ নেতা-কর্মী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ব্যাপক হাঙ্গামা করেছে। তারা জায়নামাজের ভাঁজে ও কাগজে মুড়িয়ে লাঠি নিয়ে মসজিদে ঢুকে সাধারণ মুসল্লিদের ফাঁকে ফাঁকে অবস্থান নেয়। ফরজ নামাজের পর মোনাজাত শেষ হওয়ার আগেই তারা সদলবলে বেরিয়ে গিয়ে বায়তুল মোকাররমের সামনের সড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করতে উদ্যত হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন তারা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা চালায়; প্রায় আধঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। এতে পুলিশের চার উপপরিদর্শকসহ সাত সদস্য আহন হন।
জায়নামাজের ভাঁজে লাঠি লুকিয়ে নিয়ে যারা মসজিদে ঢোকে, তাদের উদ্দেশ্য আর যা-ই হোক, আন্তরিক ইবাদত নয়। তারা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করেই ক্ষান্ত হয় না, সাধারণ মুসল্লিদের ইবাদতেও ভীষণ বিঘ্ন ঘটায়। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর হিযবুত তাহ্রীরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে মুসল্লিদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি হয়, নিরাপত্তার খোঁজে তাঁদের মধ্যে এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। কোথায় রইল নামাজ শেষের মোনাজাত, তারপর কোথায় সুন্নত রাকাতগুলো আদায়; অক্ষত দেহে ঘরে ফেরার চেষ্টাই বড় হয়ে উঠল।
কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এই ঘটনাকে? কোনো সভ্য দেশে কি এ রকম ঘটা সম্ভব? গত শুক্রবারের ঘটনাটি ব্যতিক্রমী কিছু নয়। এ রকম ঘটে আসছে অনেক বছর ধরেই। ধর্মভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক দল ও নামে-বেনামে তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে। বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ প্রভৃতি রাজনৈতিক কর্মসূচির সূচনাস্থল হিসেবে তারা বেছে নেয় জাতীয় মসজিদের গেট, তার আশপাশের রাস্তা ও চত্বর। অতীতে এমনও দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে, মসজিদের ভেতরে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল প্রভৃতি মজুদ করে রেখেছে এবং সংঘর্ষের সময় সেগুলো ব্যবহার করেছে। এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
মুসল্লি সেজে জায়নামাজের ভাঁজে বা অন্য কোনোভাবে কেউ লাঠি বা অস্ত্র লুকিয়ে নিয়ে মসজিদে ঢুকছে কি না, তা জনে-জনে তল্লাশি করা সম্ভব হবে না। তবে সরকার এমন একটি ঘোষণা দিতে পারে যে এ ধরনের তত্পরতায় যারা লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুক্রবারের ঘটনায় হিযবুত তাহ্রীরের ৩০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনশৃঙ্খলা, জনগণের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা বিনষ্ট করার অপরাধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী তাদের বিচার নিশ্চিত করা উচিত।
No comments