জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে অণুজীবের ভূমিকা অবজ্ঞা করার ফলাফল হবে ভয়াবহ, হুঁশিয়ারি বিজ্ঞানীদের by নূর মাজিদ
বিশ্বের
নয়টি দেশের শীর্ষ ৩০জন মাইক্রোবায়োলজিস্ট বা অণুজীব বিজ্ঞানী সম্প্রতি
সমগ্র মানবজাতির প্রতি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এসময় তারা বিশ্বের প্রতি
প্রকৃতির গোপন ও খালি চোখে দেখা সম্ভব নয় এমন বিপুল জীবচক্রের অবদানকে
গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে এই সকল
অণুজীবের ভূমিকাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিৎ, পরামর্শ বিজ্ঞানীদের। যার
অন্যথা হলে, বিশ্বের উষ্ণায়ন এবং তার ফলে সৃষ্ট আবহাওয়ার পরিবর্তন ঠেকানো
সম্ভব হবেনা।
গত ১৯ জুন বিজ্ঞানীদের এই হুঁশিয়ারি সম্পর্কিত গবেষণাপত্রটি ন্যাচারাল রিভ্যিউস মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই বৈশ্বিক গবেষণায় নেতৃত্ব দেন সিডনির স্কুল অব বায়োটেকনলজি অ্যান্ড বায়োমলিকিউলার সায়েন্সের প্রফেসর রিক ক্যাভিচ্চিওলি। গবেষণা প্রবন্ধে প্রকাশিত নিজেদের বক্তব্যের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিশ্বকে অণুজীবের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
গবেষক দলের প্রধান ক্যাভিচ্চিওলি বলেন, অণুজীবের মধ্যে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া উভয়েই পড়ে। আপনি এদের সংরক্ষণের বিষয়ে কোন প্রচারণা দেখবেন না, বা তাদের নাম পাবেন না প্রাণী বাঁচাও আন্দোলনের তালিকায়। শুধু বিজ্ঞানীরাই এদের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। এরা প্রকৃতির সামগ্রিক বাস্তুসংস্থান এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়াও, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সক্ষমতা রাখে।
তিনি আরো বলেন, এতো গুরুত্বপূর্ণ হওয়া স্বত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনায় এদের জীবনচক্র প্রাধান্য পায়না। যা একইসঙ্গে উদ্বেগ এবং পরিতাপের বিষয়। কারণ এই অনুজিবেরা বিশ্বের সকল প্রাণীকূল এবং কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার মূল নিয়ন্ত্রক। এরা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর স্বাস্থ্যেও গভীর প্রভাব ফেলে। অবদান রাখে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে।
একটি ছোট্ট উদাহরনের মাধ্যমে এই অণুজীবদের অবদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মহাসাগরগুলিতে যে পরিমাণ জৈব পদার্থ আছে, তার ৯০ভাগই অনুপ্রাণের সমন্বয়ে গঠিত। এদের মাঝে ফাইটোপ্লাংকটন নামক অণুজীবও রয়েছে। এই অণুজীব বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিয়ে সূর্যের রশ্মির ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করে, ঠিক উদ্ভিদের মতোই। এমনকি সারা বিশ্বের যতো বন আছে তারা যত কার্বন শুষে নেয় ঠিক একই পরিমাণ কার্বন এরাও টেনে নেয়। এদের ওপর ভিত্তি করেই আবার সমুদ্রের বিশাল খাদ্য শৃঙ্খল গড়ে উঠেছে।
কিন্তু, সামুদ্রিক বরফ গলার হার যে হারে বেড়েছে তাতে উদ্বিগ্ন অণুজীব বিজ্ঞানীরা। কারণ এটা ফোটোপ¬্যাংকটনের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে। এই অবস্থায় বিশ্বের অণুজীবের অবস্থান নিয়মিত আলোচনার অংশ হওয়া উচিৎ। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থাকবে।
গত ১৯ জুন বিজ্ঞানীদের এই হুঁশিয়ারি সম্পর্কিত গবেষণাপত্রটি ন্যাচারাল রিভ্যিউস মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই বৈশ্বিক গবেষণায় নেতৃত্ব দেন সিডনির স্কুল অব বায়োটেকনলজি অ্যান্ড বায়োমলিকিউলার সায়েন্সের প্রফেসর রিক ক্যাভিচ্চিওলি। গবেষণা প্রবন্ধে প্রকাশিত নিজেদের বক্তব্যের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিশ্বকে অণুজীবের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
গবেষক দলের প্রধান ক্যাভিচ্চিওলি বলেন, অণুজীবের মধ্যে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া উভয়েই পড়ে। আপনি এদের সংরক্ষণের বিষয়ে কোন প্রচারণা দেখবেন না, বা তাদের নাম পাবেন না প্রাণী বাঁচাও আন্দোলনের তালিকায়। শুধু বিজ্ঞানীরাই এদের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। এরা প্রকৃতির সামগ্রিক বাস্তুসংস্থান এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়াও, তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সক্ষমতা রাখে।
তিনি আরো বলেন, এতো গুরুত্বপূর্ণ হওয়া স্বত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনায় এদের জীবনচক্র প্রাধান্য পায়না। যা একইসঙ্গে উদ্বেগ এবং পরিতাপের বিষয়। কারণ এই অনুজিবেরা বিশ্বের সকল প্রাণীকূল এবং কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার মূল নিয়ন্ত্রক। এরা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর স্বাস্থ্যেও গভীর প্রভাব ফেলে। অবদান রাখে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে।
একটি ছোট্ট উদাহরনের মাধ্যমে এই অণুজীবদের অবদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মহাসাগরগুলিতে যে পরিমাণ জৈব পদার্থ আছে, তার ৯০ভাগই অনুপ্রাণের সমন্বয়ে গঠিত। এদের মাঝে ফাইটোপ্লাংকটন নামক অণুজীবও রয়েছে। এই অণুজীব বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিয়ে সূর্যের রশ্মির ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করে, ঠিক উদ্ভিদের মতোই। এমনকি সারা বিশ্বের যতো বন আছে তারা যত কার্বন শুষে নেয় ঠিক একই পরিমাণ কার্বন এরাও টেনে নেয়। এদের ওপর ভিত্তি করেই আবার সমুদ্রের বিশাল খাদ্য শৃঙ্খল গড়ে উঠেছে।
কিন্তু, সামুদ্রিক বরফ গলার হার যে হারে বেড়েছে তাতে উদ্বিগ্ন অণুজীব বিজ্ঞানীরা। কারণ এটা ফোটোপ¬্যাংকটনের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে। এই অবস্থায় বিশ্বের অণুজীবের অবস্থান নিয়মিত আলোচনার অংশ হওয়া উচিৎ। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থাকবে।
>>>সূত্র : ন্যাচারওয়ার্ল্ডনিউজ।
No comments