শ্রেণিকক্ষে গাইড বই কি বাধ্যতামূলক? by মেহেদী হাসান
পঞ্চম
শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে গাইড বই নিয়ে যায়নি। সে কারণে শিক্ষক ওই
শিক্ষার্থীর ডায়েরিতে লাল কালি দিয়ে লিখেছেন গাইড বই নিয়ে আসেনি। শুধু তাই
নয় নির্দিষ্ট একটি প্রকাশনা সংস্থার গাইড বইয়ের নাম উল্লেখ করে তিনি এ
কথাটি লিখেছেন ডায়েরিতে।
ঘটনাটি ঘটেছে কয়েকদিন আগে রাজধানীর বনশ্রীতে অবস্থিত নামকরা একটি স্কুলে। পঞ্চম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক তার সন্তানের ডায়েরিতে শিক্ষক কর্তৃক এ ধরনের লেখা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন। মোবাইলে তিনি ডায়েরির ওই পাতার একটি ছবিও তুলে রেখেছেন।
যে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ডায়েরিতে এ ধরনের লেখা লিখেছেন সেই স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে উপরের বিভিন্ন ক্লাসেও শিক্ষকেরা ক্লাসে গাইড থেকে পড়ান। গাইড থেকে বাসায় পড়া দেন শিক্ষার্থীদের। সে কারণে বিভিন্ন শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে গাইড নিয়ে যেতে হয়। স্কুল থেকে দুই তিনটি প্রকশনা সংস্থার গাইড কিনতে বলে দেয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণী থেকেই অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সব বিষয়ের জন্য একাধিক গাইড কিনে দেন।
অনেক অভিভাবক জানান, এ চিত্র শুধু এ স্কুলে নয়। রাজধানীর আরো অনেক স্কুলের শিক্ষকরাও গাইড থেকে ক্লাসে পড়ান। আর সব স্কুলের সব শিক্ষার্থীকেই গাইড কিনতে হয় বাধ্যতামূলকভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, আমি আমার পঞ্চম শ্রেণীপড়–য়া মেয়ের জন্য গাইড কিনতে একটু দেরি করেছিলাম। সেজন্য আমার মেয়ে আর স্ত্রী আমার কান ঝালাপালা করে দিয়েছে গাইড না কেনা পর্যন্ত। মেয়ে প্রতিদিন বলত তার সব সহপাঠীরা প্রতিদিন ক্লাসে গাইড নিয়ে আসে। টিচার গাইড থেকে পড়ায়। তার গাইড না থাকার কারণে সে পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষকেরা বকা দিচ্ছে তার গাইড না থাকার জন্য।
শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণরূপে এভাবে গাইড নির্ভর হওয়া, ক্লাসে গাইড পড়ানো, স্কুল কর্তৃক গাইড কিনতে বাধ্য করা প্রভৃতি বিষয়ে অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন, গাইড ছাড়া বর্তমানে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল। তা ছাড়া পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষার কারণেও শিক্ষার্থীদের গাইড ও কোচিং প্রাইভেট নির্ভর হতে বাধ্য করেছে।
অনেক অভিভাবক তীব্র ক্ষোভের সাথে জানান, সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা আর ঘনঘন পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই উপকার হয়েছে যে, আগে এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে কোনো ধরনের নোট গাইডের প্রয়োজন হতো না। আর বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের গাইড পড়তে হবে। আর জিপিএ প্রতিযোগিতার কারণে চতুর্থ শ্রেণী থেকেই এখন অনেক অভিভাবক শুরু করেন বাচ্চাদের কোচিং প্রাইভেট। অথচ একটা সময় ছিল যখন পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের গাইড পড়ানোর কথা কল্পনাই করা যেত না। আর বর্তমানে সম্পূর্ণ তার উল্টো চিত্র। বিশেষ করে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা আর সমাপনী পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে শিক্ষার এই পরিণতি হয়েছে। এসব কারণে শিক্ষার ব্যয়ও বেড়েছে কয়েক গুণ। আর হয়রানির তো শেষ নেই।
ক্ষুব্ধ অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন কোনো কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট কিছু গাইড কিনতে বাধ্য করে অভিভাবকদের। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই নোংরা সংস্কৃতি।
অনেক অভিভাবক অনুরোধ করেছেন সৃজনশীল ব্যবস্থা আর সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষা যাতে সরকার বন্ধ করে সেজন্য দয়া করে একটু লেখেন পত্রিকায়।
যে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীর ডায়েরিতে লাল কালি দিয়ে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির গাইড বই ক্লাসে না আনার বিষয় উল্লেখ করেছেন সেই স্কুলের মাধ্যমিক শাখার একজন ইংরেজি শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেছেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের গাইড কেনার কথা বলি সত্য কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির গাইড কেনার কথা বলি না। অভিভাবক যেটা ভালো মনে করেন সেটিই কেনেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কয়েকদিন আগে রাজধানীর বনশ্রীতে অবস্থিত নামকরা একটি স্কুলে। পঞ্চম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক তার সন্তানের ডায়েরিতে শিক্ষক কর্তৃক এ ধরনের লেখা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন। মোবাইলে তিনি ডায়েরির ওই পাতার একটি ছবিও তুলে রেখেছেন।
যে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ডায়েরিতে এ ধরনের লেখা লিখেছেন সেই স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে উপরের বিভিন্ন ক্লাসেও শিক্ষকেরা ক্লাসে গাইড থেকে পড়ান। গাইড থেকে বাসায় পড়া দেন শিক্ষার্থীদের। সে কারণে বিভিন্ন শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে গাইড নিয়ে যেতে হয়। স্কুল থেকে দুই তিনটি প্রকশনা সংস্থার গাইড কিনতে বলে দেয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণী থেকেই অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সব বিষয়ের জন্য একাধিক গাইড কিনে দেন।
অনেক অভিভাবক জানান, এ চিত্র শুধু এ স্কুলে নয়। রাজধানীর আরো অনেক স্কুলের শিক্ষকরাও গাইড থেকে ক্লাসে পড়ান। আর সব স্কুলের সব শিক্ষার্থীকেই গাইড কিনতে হয় বাধ্যতামূলকভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, আমি আমার পঞ্চম শ্রেণীপড়–য়া মেয়ের জন্য গাইড কিনতে একটু দেরি করেছিলাম। সেজন্য আমার মেয়ে আর স্ত্রী আমার কান ঝালাপালা করে দিয়েছে গাইড না কেনা পর্যন্ত। মেয়ে প্রতিদিন বলত তার সব সহপাঠীরা প্রতিদিন ক্লাসে গাইড নিয়ে আসে। টিচার গাইড থেকে পড়ায়। তার গাইড না থাকার কারণে সে পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষকেরা বকা দিচ্ছে তার গাইড না থাকার জন্য।
শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণরূপে এভাবে গাইড নির্ভর হওয়া, ক্লাসে গাইড পড়ানো, স্কুল কর্তৃক গাইড কিনতে বাধ্য করা প্রভৃতি বিষয়ে অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন, গাইড ছাড়া বর্তমানে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল। তা ছাড়া পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষার কারণেও শিক্ষার্থীদের গাইড ও কোচিং প্রাইভেট নির্ভর হতে বাধ্য করেছে।
অনেক অভিভাবক তীব্র ক্ষোভের সাথে জানান, সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা আর ঘনঘন পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই উপকার হয়েছে যে, আগে এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে কোনো ধরনের নোট গাইডের প্রয়োজন হতো না। আর বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের গাইড পড়তে হবে। আর জিপিএ প্রতিযোগিতার কারণে চতুর্থ শ্রেণী থেকেই এখন অনেক অভিভাবক শুরু করেন বাচ্চাদের কোচিং প্রাইভেট। অথচ একটা সময় ছিল যখন পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের গাইড পড়ানোর কথা কল্পনাই করা যেত না। আর বর্তমানে সম্পূর্ণ তার উল্টো চিত্র। বিশেষ করে সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা আর সমাপনী পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে শিক্ষার এই পরিণতি হয়েছে। এসব কারণে শিক্ষার ব্যয়ও বেড়েছে কয়েক গুণ। আর হয়রানির তো শেষ নেই।
ক্ষুব্ধ অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন কোনো কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট কিছু গাইড কিনতে বাধ্য করে অভিভাবকদের। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এই নোংরা সংস্কৃতি।
অনেক অভিভাবক অনুরোধ করেছেন সৃজনশীল ব্যবস্থা আর সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষা যাতে সরকার বন্ধ করে সেজন্য দয়া করে একটু লেখেন পত্রিকায়।
যে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীর ডায়েরিতে লাল কালি দিয়ে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির গাইড বই ক্লাসে না আনার বিষয় উল্লেখ করেছেন সেই স্কুলের মাধ্যমিক শাখার একজন ইংরেজি শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেছেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের গাইড কেনার কথা বলি সত্য কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির গাইড কেনার কথা বলি না। অভিভাবক যেটা ভালো মনে করেন সেটিই কেনেন।
No comments