ভারতের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে নতুন ভাবনায় অবাক হয়নি চীন বা পাকিস্তান
ভারত
দৃশ্যত পরমাণু অস্ত্রের ধারক হিসেবে তার জীবনের প্রাথমিক অধ্যায়ের ধীরে
ধীরে সমাপ্তি টানছে। ১৯৮৮ সালে ভারতের পরমাণু অস্ত্রায়নের তদারককারী
প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির মৃত্যুবার্ষিকতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ সিং দীর্ঘ দিন ধরে চলা ভারতের ‘প্রথম ব্যবহার না করার’ দৃষ্টিভঙ্গির
বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর প্রকাশ্যে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
পোখরানে বক্তৃতাকালে (১৯৯৮ সালে ভারত এখানেই তার প্রথম পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। তবে তাদের গোপন পরমাণু কর্মসূচি শুরু হয়েছিল আরো আগে) রাজনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের পরমাণুনীতি হলো, প্রথমে ব্যবহার নয়।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।
তার পূর্বসূরী মনোহর পারিকর কিন্তু এ ধরনের প্রশ্নে জবাব এড়িয়ে গেছেন।
পোখরানে রাজনাথ যে মন্তব্য করেছিলেন, পরে তিনি এক টুইটে তার পুনরাবৃত্তি করেন। তার এই মন্তব্যে ভারতের প্রধান দুই পরমাণু প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও চীন বিস্মিত হয়নি।
বরং চীন ও পাকিস্তান অনেক দিন ধরেই ভারতের প্রথমে ব্যবহার নয় নীতির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিল।
বিশেষ করে ভারত ও চীনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই সংশয় বিরাজ করছে। ভারত মুখে বলছে প্রথমে ব্যবহার নয়। আর চীন কিন্তু তা না বলেও কার্যত তা প্রয়োগ করছে। তারা অনেক আগে থেকেই তাদের পরমাণু অস্ত্র ও উৎক্ষেপক আলাদা করে ওই নীতি কার্যকর করছে।
দুটি কারণে ভারত ধীরে ধীরে ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ নীতি থেকে সরে আসছে। প্রথমত, পাকিস্তান স্বল্প মাত্রার পরমাণু অস্ত্র তৈরী করে দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু ব্যবহারের ভিন্ন মাত্রার সূচনা করেছে। পাকিস্তানের এই সামর্থ্য বিকাশের সময়ই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো ক্রমবর্ধমান হারে ভারতীয় ভূখণ্ডে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা ভারতের জন্য এটি হতাশাজনক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাজপেয়ি মনে করেছিলেন, পরমাণু শক্তিধর ভারত পরমাণু জাতিগুলোর মতো বিশ্বে মর্যাদা লাভ করবে। কিন্তু তা হয়নি।
রাজনাথ সিং বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ভারতের ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ নীতি পরিবর্তন ঘটবে। তার এই মন্তব্য অর্থহীন। কারণ ইতোমধ্যেই অনেক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা প্রথমে ব্যবহারের নীতি অনুসরণ করতেই পারে।
রাজনাথের মন্তব্যে এ প্রমাণও পাওয়া গেছে, চীন ও পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারত আলাদা আলাদা নীতি প্রণয়ন করেছে। এই নীতিগত পরিবর্তনের কারণ যে চীন তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে সামান্যই। চীনকে ভয় দেখানোর জন্য ভারত দীর্ঘমেয়াদি সামর্থ্য বাড়াচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারত কেবল সামর্থ্য নয়, নীতির বিষয়টিও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজে তার জাতীয়তাবাদী ঘাঁটি উস্কে দেয়ার জন্য চলতি বছরের প্রথম দিকে নির্বাচনী প্রচারণায় পরমাণু ড্রাম বাজিয়েছেন। ২০ এপ্রিলের সমাবেশে তিনি তার সমর্থকদের বলেছেন, এক দিন পরপর তারা বলে আমাদের পরমাণু বোতাম আছে, আমাদের পরমাণু বোতাম আছে। তাহলে আমরা কী করব? আমরা কি সেগুলো দিওয়ালির জন্য রেখে দিয়েছি।
ওই সময়কার বক্তব্যকে নির্বাচনী মন্তব্য মনে করলেও মোদির ঘনিষ্ঠতম সহকর্মী রাজনাথের মন্তব্য এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি আবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। কাজেই তার মন্তব্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
যাই হোক না কেন, মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের পরমাণুনীতিতে আরো বড় ধরনের প্রকাশ্য পরিবর্তন ঘটলে আমাদের বিস্মিত হওয়া উচিত হবে না। মোদি নিজেই দেখিয়েছেন তিনি আরো ঝুঁকি নিতে আগ্রহী। কাশ্মীরে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ, ২০১৬ সালের নোট বাতিলকরণ, চলতি বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তানে আক্রমণ এসবেরই প্রমাণ। পরমাণু নীতি এখন আর আগের মতো সংরক্ষিত বিষয় নয়।
পোখরানে বক্তৃতাকালে (১৯৯৮ সালে ভারত এখানেই তার প্রথম পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। তবে তাদের গোপন পরমাণু কর্মসূচি শুরু হয়েছিল আরো আগে) রাজনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের পরমাণুনীতি হলো, প্রথমে ব্যবহার নয়।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।
তার পূর্বসূরী মনোহর পারিকর কিন্তু এ ধরনের প্রশ্নে জবাব এড়িয়ে গেছেন।
পোখরানে রাজনাথ যে মন্তব্য করেছিলেন, পরে তিনি এক টুইটে তার পুনরাবৃত্তি করেন। তার এই মন্তব্যে ভারতের প্রধান দুই পরমাণু প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও চীন বিস্মিত হয়নি।
বরং চীন ও পাকিস্তান অনেক দিন ধরেই ভারতের প্রথমে ব্যবহার নয় নীতির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিল।
বিশেষ করে ভারত ও চীনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই সংশয় বিরাজ করছে। ভারত মুখে বলছে প্রথমে ব্যবহার নয়। আর চীন কিন্তু তা না বলেও কার্যত তা প্রয়োগ করছে। তারা অনেক আগে থেকেই তাদের পরমাণু অস্ত্র ও উৎক্ষেপক আলাদা করে ওই নীতি কার্যকর করছে।
দুটি কারণে ভারত ধীরে ধীরে ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ নীতি থেকে সরে আসছে। প্রথমত, পাকিস্তান স্বল্প মাত্রার পরমাণু অস্ত্র তৈরী করে দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু ব্যবহারের ভিন্ন মাত্রার সূচনা করেছে। পাকিস্তানের এই সামর্থ্য বিকাশের সময়ই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো ক্রমবর্ধমান হারে ভারতীয় ভূখণ্ডে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা ভারতের জন্য এটি হতাশাজনক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাজপেয়ি মনে করেছিলেন, পরমাণু শক্তিধর ভারত পরমাণু জাতিগুলোর মতো বিশ্বে মর্যাদা লাভ করবে। কিন্তু তা হয়নি।
রাজনাথ সিং বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ভারতের ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ নীতি পরিবর্তন ঘটবে। তার এই মন্তব্য অর্থহীন। কারণ ইতোমধ্যেই অনেক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা প্রথমে ব্যবহারের নীতি অনুসরণ করতেই পারে।
রাজনাথের মন্তব্যে এ প্রমাণও পাওয়া গেছে, চীন ও পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারত আলাদা আলাদা নীতি প্রণয়ন করেছে। এই নীতিগত পরিবর্তনের কারণ যে চীন তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে সামান্যই। চীনকে ভয় দেখানোর জন্য ভারত দীর্ঘমেয়াদি সামর্থ্য বাড়াচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারত কেবল সামর্থ্য নয়, নীতির বিষয়টিও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজে তার জাতীয়তাবাদী ঘাঁটি উস্কে দেয়ার জন্য চলতি বছরের প্রথম দিকে নির্বাচনী প্রচারণায় পরমাণু ড্রাম বাজিয়েছেন। ২০ এপ্রিলের সমাবেশে তিনি তার সমর্থকদের বলেছেন, এক দিন পরপর তারা বলে আমাদের পরমাণু বোতাম আছে, আমাদের পরমাণু বোতাম আছে। তাহলে আমরা কী করব? আমরা কি সেগুলো দিওয়ালির জন্য রেখে দিয়েছি।
ওই সময়কার বক্তব্যকে নির্বাচনী মন্তব্য মনে করলেও মোদির ঘনিষ্ঠতম সহকর্মী রাজনাথের মন্তব্য এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি আবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। কাজেই তার মন্তব্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
যাই হোক না কেন, মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের পরমাণুনীতিতে আরো বড় ধরনের প্রকাশ্য পরিবর্তন ঘটলে আমাদের বিস্মিত হওয়া উচিত হবে না। মোদি নিজেই দেখিয়েছেন তিনি আরো ঝুঁকি নিতে আগ্রহী। কাশ্মীরে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ, ২০১৬ সালের নোট বাতিলকরণ, চলতি বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তানে আক্রমণ এসবেরই প্রমাণ। পরমাণু নীতি এখন আর আগের মতো সংরক্ষিত বিষয় নয়।
No comments