আকাশ থেকে পাইলটের ক্যামেরায় এক অপরূপ বাংলাদেশ
দৌলতদিয়া, রাজবাড়ি। |
বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ ভূমি। দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চল
সমতল ও নিম্নভুমি। ফলে প্রতিবছর বন্যা হয়। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ বসবাস
করেন গ্রামে, নদীর কাছাকাছি এলাকায়। ছোটবড় প্রায় সাতশ নদী রয়েছে
দেশজুড়ে। এই নদীগুলো মিলে দেশটিতে ১৫,০০০ কিলোমিটার নদীপথ তৈরি করেছে, যা
বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম। তাই আপনি যদি আকাশ থেকে বাংলাদেশকে দেখেন, তাহলে
নদী, খাল-বিল ও জলসংলগ্ন মানুষের জীবন আপনাকে স্বাগত জানাবে।
সুন্দর অবিন্যস্ততা, বগুড়া।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলট ও আলোকচিত্রী
শামীম শরীফ সুষমের ছবিতেও বাংলাদেশের এই নদী-বৈচিত্র্য উঠে এসেছে। তিনি
ছবিগুলো ৫০০-১০০০ ফিট উচ্চতা থেকে তুলেছেন।
পদ্ম। কেরানিগঞ্জ, ঢাকা।
তার ছবিতে উঠে এসেছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের
নদীনালা, খালবিল ও জলসংলগ্ন মানুষের জীবন, মাতাল করা গ্রামীণ সৌন্দর্য,
সহজ-সরল ছন্দে এগিয়ে চলা গ্রামীণ জীবনযাত্রা আর বিস্তীর্ণ সবুজ ফসলি
জমিগুলো। নদীমাতৃক ও কৃষিনির্ভর জীবনযাত্রার একটি অংশও উঠে এসেছে সুষমের
তোলা ছবিগুলোয়।
স্বর্গের ভেতর। কাপ্তাই লেইক। রাঙামাটি।
এ সম্পর্কে এক সাক্ষাত্কারে সুষম বলেছেন,
‘আমি যেভাবে একে দেখি তা হলো, আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে আমি উড়ি এবং
সৌভাগ্যবান যে আমি আমার শিকড়, আমার গ্রাম, আমার নগর জীবনকে একটি ভিন্ন
দৃশ্যপট থেকে দেখি... এবং দিনের শেষে আমি আমার এই সংযুক্তির
স্মৃতিকথাগুলোকে ধারণ করি। আমি আমার দেশ, আমার অতীত ও আমার শৈশব থেকে
আরেকবার ঘুরে আসছি।’
ড্রাগনের অশ্রু, খাগড়াছড়ি।
আলোকচিত্র শিল্পী শামীম শরীফ সুষম
বাংলাদেশের ফটোগ্রাফি অঙ্গনে একটি পরিচিত মুখ। তিনি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি
গ্রুপের সঙ্গে জড়িত, সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন প্রখ্যাত ফটোগ্রাফি গ্রুপ
”গ্রাসহপার্স”এ। বিভিন্ন জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে
তার ছবি। ভালোবাসেন পাখির চোখে ল্যান্ডস্কেপ ও ট্রাভেল ফটোগ্রাফি করতে।
No comments