বাড়ি বাড়ি সবজি চাষ by আজিজ উল্লাহ
আমেরিকার
নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে গ্রীষ্ম মৌসুমে
বাড়ির সামনে ও পেছনের আঙিনায় সবজি চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কাজের
ফাঁকে চাষাবাদ করে একটু একটু করে সারা বছর ধরে খাওয়া যায় বলে প্রবাসীদের
কাছে সবজি চাষ এখন বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে যারা সবজি চাষ
করেন, তাঁরা নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি চাষ করেন না এমন স্বজনদেরও সবজি উপহার
দিয়ে থাকেন। এ সব সবজি দেখতে যেমন সতেজ, খেতেও তেমনি সুস্বাদু। তাই লোকজন
বলে থাকেন, ‘সামারের আঙিনার সবজিতে রয়েছে দেশীয় স্বাদের জাদু।’
গ্রীষ্মে নিউজার্সিজুড়ে কী পরিমাণ বাংলাদেশি পরিবার শখের সবজি চাষ করেন তার নির্দিষ্ট কোনো হিসাব না থাকলেও ধারনা করা হয়, অন্তত ২ থেকে ৫ হাজার পরিবার এই সবজি চাষের সঙ্গে জড়িত। সবজির মধ্যে টমেটো, আলু, বেগুন, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডাঁটা, ঢ্যাঁড়স, বরবটি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া শাকের মধ্যে রয়েছে লাল শাক, পুঁই শাক এবং লাউ শাক।
ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে আঙিনায় সবজি চাষ করেন জানতে চাইলে গুলস্টার সিটির ফারজানা ইসলাম মুনমুন বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে সবজি চাষ করি। শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর পরই পরিকল্পনা করা হয়। এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের শুরুতে বীজ লাগানো শুরু করি। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পালাক্রমে সবজি তুলি। খেত থেকে সবজি তুলে নিত্যদিন খাওয়ার পরও আমরা ফ্রিজে অনেক সবজি সংরক্ষণ করি। সেখান থেকে একটু একটু করে বারো মাস পরিবারের সদস্যরা খেয়ে থাকেন।’
সবজি চাষের ছবি দেখে মনে হতে পারে বাংলাদেশের কোন এলাকার বাড়ির আঙিনার পাশের ছবি। গ্রীষ্মে বাড়ির সামনে ও পেছনের আঙিনায় বাংলাদেশিরা সবজি চাষ করেন। খরচ কেমন জানতে চাইলে ফারজানা ইসলাম বলেন, এটিকে বাজারের সঙ্গে মেলানো যাবে না। আমি যে সবজি চাষ করি তাতে অন্তত পাঁচ শ ডলার খরচ হয়। ডলারের হিসাবে ধরলে হয়তো পাঁচ শ ডলারের সে সবজি বাজার থেকে ১৫০–২০০ ডলারে পাওয়া যাবে। তাহলে কেন এ সবজি চাষ—মুনমুন বলেন, এটি যেমন শখ, তেমনি তাজা সবজি খাওয়ার আনন্দ লাভ। কোন ধরনের কীটনাশক ছাড়া সবজি পাই এবং সবজি ফ্রিজেও সংরক্ষণ করা যায়।’
চেস্টনাট অ্যাভিনিউতে সবজি চাষ করেন জাকিয়া তানিয়া। তিনি বলেন, এবার আমার ঘরের আঙিনায় লাগানো সবজি বেশ ভালো হয়েছে। বিশেষ করে সবজি চাষে এবার আমার বাবা অনেক সহযোগিতা করেছেন, তা না হলে এত বড় আকারে করা যেতো না৷ প্রতিবেশীসহ অনেককেই সবজি উপহার হিসাবে দিয়েছি।’ জাকিয়া টমেটোসহ আরও কয়েক পদের সবজি চাষ করেছেন বলে জানান।
সবজি চাষের উপকরণ কোথায় পাওয়া যায় এমন প্রশ্নে সবজি প্রবাসী সেলিনা আকতার বলেন, ‘আমি অবসর জীবনযাপন করি। মেয়ের জামাই হোম ডিপো থেকে মাটি, সার ও নার্সারি বা সুপার শপ থেকে সবজি চারা নিয়ে আসে। সেসব চারা মাটিতে গর্ত করে লাগাই এবং সকাল-সন্ধ্যা পরিচর্যা করে ফল দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।’
সবজি চাষে পরিশ্রম কেমন—এ প্রশ্নে আরেক সবজি চাষি নাসরিন আলম বলেন, বাংলাদেশের মতো এখানে সবজি চাষে তেমন পরিশ্রম নেই। বাংলাদেশে খেতে পানির সমস্যা। পানি দিতে হলে অনেক দূর থেকে আনতে হয়। কিন্তু এখানে হাতের কাছেই পানি পাওয়া যায়। এ ছাড়া মাটি সার তো আছেই, হাইব্রিড সবজি চারাগুলো সহজে নষ্ট হয় না বা পচে না।
এবার কী চাষ করেছেন জানতে চাইলে নাসরিন আলম বলেন, টমেটো, আলু, বেগুন, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডাঁটা, ঢ্যাঁড়স, কুমড়া শাক। খেতের সবজি কী করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুরো সামার খাওয়ার পর ফ্রিজে রেখে দিই এবং আত্মীয়স্বজনকেও মাঝে মধ্যে দিই।’
গ্রীষ্মে নিউজার্সিজুড়ে কী পরিমাণ বাংলাদেশি পরিবার শখের সবজি চাষ করেন তার নির্দিষ্ট কোনো হিসাব না থাকলেও ধারনা করা হয়, অন্তত ২ থেকে ৫ হাজার পরিবার এই সবজি চাষের সঙ্গে জড়িত। সবজির মধ্যে টমেটো, আলু, বেগুন, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডাঁটা, ঢ্যাঁড়স, বরবটি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া শাকের মধ্যে রয়েছে লাল শাক, পুঁই শাক এবং লাউ শাক।
ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে আঙিনায় সবজি চাষ করেন জানতে চাইলে গুলস্টার সিটির ফারজানা ইসলাম মুনমুন বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে সবজি চাষ করি। শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর পরই পরিকল্পনা করা হয়। এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের শুরুতে বীজ লাগানো শুরু করি। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পালাক্রমে সবজি তুলি। খেত থেকে সবজি তুলে নিত্যদিন খাওয়ার পরও আমরা ফ্রিজে অনেক সবজি সংরক্ষণ করি। সেখান থেকে একটু একটু করে বারো মাস পরিবারের সদস্যরা খেয়ে থাকেন।’
সবজি চাষের ছবি দেখে মনে হতে পারে বাংলাদেশের কোন এলাকার বাড়ির আঙিনার পাশের ছবি। গ্রীষ্মে বাড়ির সামনে ও পেছনের আঙিনায় বাংলাদেশিরা সবজি চাষ করেন। খরচ কেমন জানতে চাইলে ফারজানা ইসলাম বলেন, এটিকে বাজারের সঙ্গে মেলানো যাবে না। আমি যে সবজি চাষ করি তাতে অন্তত পাঁচ শ ডলার খরচ হয়। ডলারের হিসাবে ধরলে হয়তো পাঁচ শ ডলারের সে সবজি বাজার থেকে ১৫০–২০০ ডলারে পাওয়া যাবে। তাহলে কেন এ সবজি চাষ—মুনমুন বলেন, এটি যেমন শখ, তেমনি তাজা সবজি খাওয়ার আনন্দ লাভ। কোন ধরনের কীটনাশক ছাড়া সবজি পাই এবং সবজি ফ্রিজেও সংরক্ষণ করা যায়।’
চেস্টনাট অ্যাভিনিউতে সবজি চাষ করেন জাকিয়া তানিয়া। তিনি বলেন, এবার আমার ঘরের আঙিনায় লাগানো সবজি বেশ ভালো হয়েছে। বিশেষ করে সবজি চাষে এবার আমার বাবা অনেক সহযোগিতা করেছেন, তা না হলে এত বড় আকারে করা যেতো না৷ প্রতিবেশীসহ অনেককেই সবজি উপহার হিসাবে দিয়েছি।’ জাকিয়া টমেটোসহ আরও কয়েক পদের সবজি চাষ করেছেন বলে জানান।
সবজি চাষের উপকরণ কোথায় পাওয়া যায় এমন প্রশ্নে সবজি প্রবাসী সেলিনা আকতার বলেন, ‘আমি অবসর জীবনযাপন করি। মেয়ের জামাই হোম ডিপো থেকে মাটি, সার ও নার্সারি বা সুপার শপ থেকে সবজি চারা নিয়ে আসে। সেসব চারা মাটিতে গর্ত করে লাগাই এবং সকাল-সন্ধ্যা পরিচর্যা করে ফল দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।’
সবজি চাষে পরিশ্রম কেমন—এ প্রশ্নে আরেক সবজি চাষি নাসরিন আলম বলেন, বাংলাদেশের মতো এখানে সবজি চাষে তেমন পরিশ্রম নেই। বাংলাদেশে খেতে পানির সমস্যা। পানি দিতে হলে অনেক দূর থেকে আনতে হয়। কিন্তু এখানে হাতের কাছেই পানি পাওয়া যায়। এ ছাড়া মাটি সার তো আছেই, হাইব্রিড সবজি চারাগুলো সহজে নষ্ট হয় না বা পচে না।
এবার কী চাষ করেছেন জানতে চাইলে নাসরিন আলম বলেন, টমেটো, আলু, বেগুন, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ডাঁটা, ঢ্যাঁড়স, কুমড়া শাক। খেতের সবজি কী করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুরো সামার খাওয়ার পর ফ্রিজে রেখে দিই এবং আত্মীয়স্বজনকেও মাঝে মধ্যে দিই।’
নিউজার্সির বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি বাড়ির পিছনে ঝিঙা চিচিঙ্গাসহ নানা সবজির চাষ |
No comments