জাতিসংঘকে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার বিস্তারিত জানাল ইরান
মার্কিন
ড্রোনের মাধ্যমে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জাতিসংঘকে
চিঠি দিয়েছে তেহরান। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ
তাখতে রাভানচি বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের
কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করে ওই প্রতিবাদ জানান।
চিঠিতে তাখতে রাভানচি আমেরিকার এই উসকানিমূলক তৎপরতাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণার ‘জঘন্য লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানান।
ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি তার চিঠিতে মার্কিন ড্রোনের আকাশে উড্ডয়ন ও এটিকে গুলি করা পর্যন্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০ জুন রাত প্রায় ১২টা ১৪ মিনিটে একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন সুসজ্জিত অবস্থায় পারস্য উপসাগরের দক্ষিণের একটি ঘাঁটি থেকে আকাশে উড্ডয়ন করে। এটি হরমুজ প্রণালি অতিক্রম করে ইরানের চবাহার বন্দরের দিকে যেতে যেতে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ চালিয়ে যায়। তবে এ সময় ড্রোনটিকে শনাক্ত করার মতো যন্ত্রগুলো বন্ধ ছিল।
জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা ইরানের চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ড্রোনটি চবাহার বন্দরের দিক থেকে ঘুরে যখন আবার হরমুজ প্রণালির দিকে ফিরে আসছিল তখন এটিকে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে তেহরানের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হয়। কিন্তু সে সতর্কবার্তার প্রতি তোয়াক্কা না করে ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করামাত্র জাতিসংঘ ঘোষণার ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এটিকে ভূপাতিত করা হয়।
চিঠিতে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ভৌগলিক অবস্থান উল্লেখ করে বলা হয়, ইরানের হরমুজ প্রণালির জাস্ক কাউন্টির কাছে কুহমোবারক এলাকার আকাশে ড্রোনটিকে গুলি করা হয়।
ইরানের চিঠিতে ‘সর্বোচ্চ কঠোর ভাষায়’ মার্কিন ড্রোনের ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ ঘোষণার ২ নম্বর ধারার চার উপধারা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে ইরানের আকাশসীমায় ড্রোন পাঠিয়েছে। তিনি বিষয়টিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের জন্য মহাসচিব গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজকে আমেরিকার পক্ষ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইরানের পক্ষ থেকে এ চিঠি দেয়ার আগে অ্যান্তোনিও গুতেরেস মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দু’পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
চিঠিতে তাখতে রাভানচি আমেরিকার এই উসকানিমূলক তৎপরতাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ঘোষণার ‘জঘন্য লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানান।
ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি তার চিঠিতে মার্কিন ড্রোনের আকাশে উড্ডয়ন ও এটিকে গুলি করা পর্যন্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০ জুন রাত প্রায় ১২টা ১৪ মিনিটে একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন সুসজ্জিত অবস্থায় পারস্য উপসাগরের দক্ষিণের একটি ঘাঁটি থেকে আকাশে উড্ডয়ন করে। এটি হরমুজ প্রণালি অতিক্রম করে ইরানের চবাহার বন্দরের দিকে যেতে যেতে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ চালিয়ে যায়। তবে এ সময় ড্রোনটিকে শনাক্ত করার মতো যন্ত্রগুলো বন্ধ ছিল।
জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা ইরানের চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ড্রোনটি চবাহার বন্দরের দিক থেকে ঘুরে যখন আবার হরমুজ প্রণালির দিকে ফিরে আসছিল তখন এটিকে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে তেহরানের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হয়। কিন্তু সে সতর্কবার্তার প্রতি তোয়াক্কা না করে ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করামাত্র জাতিসংঘ ঘোষণার ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এটিকে ভূপাতিত করা হয়।
চিঠিতে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ভৌগলিক অবস্থান উল্লেখ করে বলা হয়, ইরানের হরমুজ প্রণালির জাস্ক কাউন্টির কাছে কুহমোবারক এলাকার আকাশে ড্রোনটিকে গুলি করা হয়।
ইরানের চিঠিতে ‘সর্বোচ্চ কঠোর ভাষায়’ মার্কিন ড্রোনের ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ ঘোষণার ২ নম্বর ধারার চার উপধারা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে ইরানের আকাশসীমায় ড্রোন পাঠিয়েছে। তিনি বিষয়টিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের জন্য মহাসচিব গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজকে আমেরিকার পক্ষ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইরানের পক্ষ থেকে এ চিঠি দেয়ার আগে অ্যান্তোনিও গুতেরেস মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দু’পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
No comments