হংকং-এ এবার বেইজিংপন্থি সমাবেশ!
হংকং-এ
এবার হাজার হাজার বেইজিংপন্থি বিক্ষোভকারী সমবেত হয়েছেন। তারা এই বিক্ষোভে
দেশের পুলিশ বাহিনীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করছেন। সাদা ও নীল রঙের পোশাক
পরা বিক্ষোভকারীদের হাতে চীনা পতাকাও ছিল। সম্প্রতি, হংকং-এ হয়ে যাওয়া
প্রত্যাবর্তন-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিপক্ষে তাদের অবস্থান। এ মাসের শুরুর
দিকে দু’টি রেকর্ড সৃষ্টিকারী বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করে হংকং। প্রতিবাদে অংশ
নেওয়া বাসিন্দারা একটি প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, যার
দরুণ বন্দি বা দণ্ডিত অপরাধীদের মেইনল্যান্ড চীনে ফেরত পাঠানো যাবে। ১২ই
জুন পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে বিক্ষোভ নিবৃত করে। শহরে
এটিই ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনা।
কিন্তু দেশের আইনমন্ত্রী এই ঘটনায় পুলিশের নৃশংসতা নিয়ে তদন্ত করার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চায় সরকার ও প্রস্তাবিত বিল বাতিল করতে বাধ্য হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এবার পুলিশের পক্ষে রাজপথে সমবেত হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, রোববার টামার পার্কে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে হাজির হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। যদিও যথাক্রমে ১০ ও ২০ লাখেরও বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিল গণতন্ত্রপন্থী দুই বিক্ষোভে, তবুও চীনপন্থী এত বড় সমাবেশও আগে দেখা যায়নি। ফ্রাঞ্চিস ইয়ু নামে ৭০ বছর বয়সী এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে মানুষের ব্যবহার ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না আমি।’ ৫৪ বছর বয়সী আরেক অফিসকর্মী বলেন, পুলিশ ওই বিক্ষোভের সময় শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চেয়েছিল কেবল। তার ভাষায় প্রত্যাবাসন আইন-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিবেক-বুদ্ধি যেন লোপ পেয়েছিল।
বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রস্তাবিত ওই আইনে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত সন্দেহভাজনদের চীন, তাইওয়ান ও ম্যাকাওয়ের মতো স্থানে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা পেতো হংকং সরকার। ১৯৯৭ সাল থেকে ‘এক দেশ, দুই পদ্ধতি’ নীতির অধীনে হংকং চীনের অধীনে। এই নীতির কারণে হংকং-এর বাসিন্দারা এমন সব স্বাধীনতা ভোগ করেন যা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দারা ভোগ করেন না।
প্রত্যাবাসন আইনের বিরোধীদের আশঙ্কা, ওই আইন পাস হলে হংকং-এর ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত হবে। এখন ওই বিল স্থগিত হলেও, চারটি নতুন দাবিতে অনড় প্রতিবাদকারীরা। তাদের বক্তব্য, ওই বিল সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। ১২ জুনের বিক্ষোভকে দাঙ্গা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। আটককৃত সকল অ্যাক্টিভিস্টকে মুক্তি দিতে হবে। পুলিশি সহিংসতার তদন্ত করতে হবে।
২০১৪ সালে হংকং-এ গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। ওই বিক্ষোভের অন্যতম নেতা জশুয়া ওয়াং দীর্ঘদিন আটক থাকার পর ১৭ই জুন মুক্তি পান। এরপর তিনি হংকং-এর বেইজিং-সমর্থিত নেতা ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবি জানান।
চীনের কাছে হংকং হস্তান্তরের ২২তম পূর্তি উপলক্ষে সোমবার ফের আবারও গণবিক্ষোভের পরিকল্পনা চলছে। তবে হংকং-এর প্রধান সচিব ম্যাথিউ চিউং সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক ওয়েব ব্লগপোস্টে তিনি আহবান জানান, যতদ্রুত সম্ভব সামাজিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে, ব্যবসায়িক পরিবেশ স্থিতিশীল করতে হবে, হংকং-কে ফের সঠিক পথে আনতে হবে। হংকং আমারও স্বদেশ। আমার ও আপনাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।’
কিন্তু দেশের আইনমন্ত্রী এই ঘটনায় পুলিশের নৃশংসতা নিয়ে তদন্ত করার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চায় সরকার ও প্রস্তাবিত বিল বাতিল করতে বাধ্য হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এবার পুলিশের পক্ষে রাজপথে সমবেত হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, রোববার টামার পার্কে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে হাজির হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। যদিও যথাক্রমে ১০ ও ২০ লাখেরও বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিল গণতন্ত্রপন্থী দুই বিক্ষোভে, তবুও চীনপন্থী এত বড় সমাবেশও আগে দেখা যায়নি। ফ্রাঞ্চিস ইয়ু নামে ৭০ বছর বয়সী এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে মানুষের ব্যবহার ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না আমি।’ ৫৪ বছর বয়সী আরেক অফিসকর্মী বলেন, পুলিশ ওই বিক্ষোভের সময় শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চেয়েছিল কেবল। তার ভাষায় প্রত্যাবাসন আইন-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিবেক-বুদ্ধি যেন লোপ পেয়েছিল।
বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রস্তাবিত ওই আইনে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত সন্দেহভাজনদের চীন, তাইওয়ান ও ম্যাকাওয়ের মতো স্থানে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা পেতো হংকং সরকার। ১৯৯৭ সাল থেকে ‘এক দেশ, দুই পদ্ধতি’ নীতির অধীনে হংকং চীনের অধীনে। এই নীতির কারণে হংকং-এর বাসিন্দারা এমন সব স্বাধীনতা ভোগ করেন যা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দারা ভোগ করেন না।
প্রত্যাবাসন আইনের বিরোধীদের আশঙ্কা, ওই আইন পাস হলে হংকং-এর ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত হবে। এখন ওই বিল স্থগিত হলেও, চারটি নতুন দাবিতে অনড় প্রতিবাদকারীরা। তাদের বক্তব্য, ওই বিল সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। ১২ জুনের বিক্ষোভকে দাঙ্গা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। আটককৃত সকল অ্যাক্টিভিস্টকে মুক্তি দিতে হবে। পুলিশি সহিংসতার তদন্ত করতে হবে।
২০১৪ সালে হংকং-এ গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। ওই বিক্ষোভের অন্যতম নেতা জশুয়া ওয়াং দীর্ঘদিন আটক থাকার পর ১৭ই জুন মুক্তি পান। এরপর তিনি হংকং-এর বেইজিং-সমর্থিত নেতা ক্যারি ল্যামের পদত্যাগের দাবি জানান।
চীনের কাছে হংকং হস্তান্তরের ২২তম পূর্তি উপলক্ষে সোমবার ফের আবারও গণবিক্ষোভের পরিকল্পনা চলছে। তবে হংকং-এর প্রধান সচিব ম্যাথিউ চিউং সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক ওয়েব ব্লগপোস্টে তিনি আহবান জানান, যতদ্রুত সম্ভব সামাজিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে, ব্যবসায়িক পরিবেশ স্থিতিশীল করতে হবে, হংকং-কে ফের সঠিক পথে আনতে হবে। হংকং আমারও স্বদেশ। আমার ও আপনাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।’
No comments