ভারতের ভিসা শর্তের কারণে নেপালে উদ্বেগ by শচিন পারাশার
ভারতের
নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে তাদের সম্পর্কের উপর
অব্যাহতভাবে প্রভাব ফেলছে। ভারত সরকার নেপালকে জানিয়েছে যে, তাদের যে সব
নাগরিক মালদ্বীপ থেকে সরাসরি ভারতে আসবে, তাদের জন্য ভিসার প্রয়োজন হবে না।
মালেতে একটা বন্ধুসুলভ সরকার আসার পর দেশটির সাথে ভারতের সম্পর্কের নাটকীয়
অগ্রগতি হয়েছে। তবে ভারত এটাও বলেছে যে, চীন ও পাকিস্তান থেকে কোন নেপালি
ভারতে আসতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভিসা নিয়ে আসতে হবে।
এতে নেপালের সাথে ভারতের যে ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটার মাধ্যমে চারটি প্রতিবেশী দেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের রূপটি ফুটে উঠেছে। পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতার। অন্যদিকে দোকলাম সমস্যার পরে চীনের সাথে আস্থার ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে ভারত। নেপালের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, নেপাল চীনের সাথে তাদের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করায় সেটা ভারত স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।
নেপালের নাগরিকদের উপর ভারত যে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেটা নিয়ে নেপাল খুব একটা সন্তুষ্ট নয়, কিন্ত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিবাদ করেনি তারা। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ এটা সাধারণভাবে সবারই জানা যে, ভারত ভ্রমণের জন্য নেপালের নাগরিকদের কোন ভিসা লাগে না।
ভারত-নেপাল সম্পর্কের যে ঘনিষ্ঠতা, সেখানে কাঠমাণ্ডুর অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, চীন থেকে কোন নেপালি সরাসরি ভারত যেতে চাইলে তার জন্য ভিসা চাওয়ার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। বাস্তবতা হলো ভারত ও চীন নিজেরা তৃতীয় কোন দেশে সহযোগিতার জন্য যে ২+১ ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা করছে, সেটা নেপালের ক্ষেত্রে হারিয়ে যায়নি।
প্রায় চার বছর আগে, ভারত বিমান পরিবহনগুলোকে এটা নিশ্চিত করতে বলেছিল যাতে চীন, হংকং এবং ম্যাকাউ থেকে কোন নেপালি নাগরিকই যথাযথ ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করতে না পারে। পরে এই তালিকায় পাকিস্তান ও মালদ্বীপকেও যোগ করা হয়। ভারত এখন তালিকা থেকে মালদ্বীপের নাম বাদ দিয়েছে। এর একমাত্র গ্রহণযোগ্য কারণ হলো মালের সাথে তাদের বর্তমান সম্পর্কের কারণে তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। গত বছরের ভারত মালদ্বীপকে চীনের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হিসেবে বিবেচনা করতো।
এতে নেপালের সাথে ভারতের যে ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটার মাধ্যমে চারটি প্রতিবেশী দেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের রূপটি ফুটে উঠেছে। পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতার। অন্যদিকে দোকলাম সমস্যার পরে চীনের সাথে আস্থার ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে ভারত। নেপালের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, নেপাল চীনের সাথে তাদের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করায় সেটা ভারত স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।
নেপালের নাগরিকদের উপর ভারত যে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেটা নিয়ে নেপাল খুব একটা সন্তুষ্ট নয়, কিন্ত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিবাদ করেনি তারা। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ এটা সাধারণভাবে সবারই জানা যে, ভারত ভ্রমণের জন্য নেপালের নাগরিকদের কোন ভিসা লাগে না।
ভারত-নেপাল সম্পর্কের যে ঘনিষ্ঠতা, সেখানে কাঠমাণ্ডুর অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, চীন থেকে কোন নেপালি সরাসরি ভারত যেতে চাইলে তার জন্য ভিসা চাওয়ার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। বাস্তবতা হলো ভারত ও চীন নিজেরা তৃতীয় কোন দেশে সহযোগিতার জন্য যে ২+১ ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা করছে, সেটা নেপালের ক্ষেত্রে হারিয়ে যায়নি।
প্রায় চার বছর আগে, ভারত বিমান পরিবহনগুলোকে এটা নিশ্চিত করতে বলেছিল যাতে চীন, হংকং এবং ম্যাকাউ থেকে কোন নেপালি নাগরিকই যথাযথ ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করতে না পারে। পরে এই তালিকায় পাকিস্তান ও মালদ্বীপকেও যোগ করা হয়। ভারত এখন তালিকা থেকে মালদ্বীপের নাম বাদ দিয়েছে। এর একমাত্র গ্রহণযোগ্য কারণ হলো মালের সাথে তাদের বর্তমান সম্পর্কের কারণে তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। গত বছরের ভারত মালদ্বীপকে চীনের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হিসেবে বিবেচনা করতো।
No comments