যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আফগান শান্তি আলোচনা থেকে ‘ফল’ পাওয়ার প্রত্যাশা তালেবানদের by আয়াজ গুল
তালেবান
এবং যুক্তরাষ্ট্র কাতারে তাদের সবশেষ শান্তি আলোচনায় একটা খসড়া প্রস্তাবে
পৌঁছানোর জন্য ‘জোর প্রচেষ্টা’ চালাচ্ছে, যে খসড়ার ভিত্তিতে আফগানিস্তানে
যুদ্ধের সমাপ্তির ব্যাপারে একটা রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তি তৈরি হবে।
আফগান বংশোদ্ভুত কূটনীতিক জালমাই খলিলজাদ মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শুরু হওয়া এই আলোচনার প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে।
২৮ এপ্রিল আফগানিস্তানের কাবুলে টোলো টেলিভিশনে এক বিতর্কে কথা বলেন মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ।
শনিবার আলোচনার প্রথম দিন বিরতিহীনভাবে ১২ ঘন্টা আলোচনা করেছে দুই পক্ষ। তালেবান প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিরা এখনও খসড়া চুক্তির ব্যাপারে কাজ করছেন। রোববার ভিওএ-কে তিনি এ তথ্য জানান।
শাহীন বলেন, “দুই পক্ষই এই দফা আলোচনা থেকে গঠনমূলক একটা অনুসিদ্ধান্তে আসতে চায়, এবং সেটাই হবে এ আলোচনার অর্জন”। তিনি আরও বলেন যে, আগামী আরও কয়েকদিন এই আলোচনা চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শাহীন বলেন, “আমি মনে করি, এ পর্যন্ত এটা ভালোভাবেই চলেছে”।
যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান আলোচনার প্রাথমিক মনোযোগের জায়গাটি হলো তালেবানরা আফগান ভূখণ্ডকে কোন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী পক্ষকে ব্যবহার করতে দেবে না, এবং এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত সপ্তাহে কাবুল সফরকালে বলেন, “আমরা সত্যিকারের অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং একটা খসড়া প্রণয়নের প্রায় দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি”।
পম্পেও বলেন যে, জঙ্গি গ্রুপটির সাথে আফগানিস্তানে বিদেশী সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তালেবানদের কাছে আমরা যদিও এটা স্পষ্ট করেছি যে আমরা সেনা প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তুত, তবে আমি এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে, এ ব্যাপারে কোন সময় নির্ধারিত হয়নি”।
আফগান সহিংসতা কমেনি
কাতারে এমন সময় আলোচনা হচ্ছে যখন তালেবানরা আফগানিস্তানে হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। গত দুই দিনে বহু সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে তারা।
কান্দাহারের দক্ষিণাংশে বড় ধরণের সংঘর্ষ চলছে। তালেবানরা সীমান্তবর্তী জেলা মারুফে শনিবার হামলা চালালে ওই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান তাদিন খান ভিওএ-কে বলেন, হামলায় ‘নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত ও নিহত হয়েছে”।
হামলায় আফগান ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশান কমিশনের আটজন চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত ব্যক্তিও নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তালেবানরা দাবি করেছে যে, তাদের যোদ্ধারা প্রায় ৬০ জন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে এবং আরও ১১ জনকে আটক করেছে।
আফগান বংশোদ্ভুত কূটনীতিক জালমাই খলিলজাদ মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শুরু হওয়া এই আলোচনার প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে।
২৮ এপ্রিল আফগানিস্তানের কাবুলে টোলো টেলিভিশনে এক বিতর্কে কথা বলেন মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ।
শনিবার আলোচনার প্রথম দিন বিরতিহীনভাবে ১২ ঘন্টা আলোচনা করেছে দুই পক্ষ। তালেবান প্রতিনিধি দলের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিরা এখনও খসড়া চুক্তির ব্যাপারে কাজ করছেন। রোববার ভিওএ-কে তিনি এ তথ্য জানান।
শাহীন বলেন, “দুই পক্ষই এই দফা আলোচনা থেকে গঠনমূলক একটা অনুসিদ্ধান্তে আসতে চায়, এবং সেটাই হবে এ আলোচনার অর্জন”। তিনি আরও বলেন যে, আগামী আরও কয়েকদিন এই আলোচনা চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শাহীন বলেন, “আমি মনে করি, এ পর্যন্ত এটা ভালোভাবেই চলেছে”।
যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান আলোচনার প্রাথমিক মনোযোগের জায়গাটি হলো তালেবানরা আফগান ভূখণ্ডকে কোন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী পক্ষকে ব্যবহার করতে দেবে না, এবং এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত সপ্তাহে কাবুল সফরকালে বলেন, “আমরা সত্যিকারের অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং একটা খসড়া প্রণয়নের প্রায় দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি”।
পম্পেও বলেন যে, জঙ্গি গ্রুপটির সাথে আফগানিস্তানে বিদেশী সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তালেবানদের কাছে আমরা যদিও এটা স্পষ্ট করেছি যে আমরা সেনা প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তুত, তবে আমি এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে, এ ব্যাপারে কোন সময় নির্ধারিত হয়নি”।
আফগান সহিংসতা কমেনি
কাতারে এমন সময় আলোচনা হচ্ছে যখন তালেবানরা আফগানিস্তানে হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। গত দুই দিনে বহু সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে তারা।
কান্দাহারের দক্ষিণাংশে বড় ধরণের সংঘর্ষ চলছে। তালেবানরা সীমান্তবর্তী জেলা মারুফে শনিবার হামলা চালালে ওই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান তাদিন খান ভিওএ-কে বলেন, হামলায় ‘নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত ও নিহত হয়েছে”।
হামলায় আফগান ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশান কমিশনের আটজন চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত ব্যক্তিও নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তালেবানরা দাবি করেছে যে, তাদের যোদ্ধারা প্রায় ৬০ জন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে এবং আরও ১১ জনকে আটক করেছে।
No comments