সীমা অতিক্রম করছেন ট্রাম্প!
ফের
আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ‘দ্য নিউইয়র্ক
টাইমস’কে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ আখ্যা দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন
এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির মুক্ত ও স্বাধীন
গণমাধ্যমের গণ্ডি সংকুচিত করার অপচেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ একটি মতামতধর্মী নিবন্ধ লিখেছেন ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রকাশক এ জি সুলজবারগার। ওই নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর তোপ দাগাচ্ছেন ট্রাম্প। প্রথম দিকে ট্রাম্প ‘ফেক নিউজ’ রব তুলেছিলেন। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁর বিরুদ্ধে অযথাই মিথ্যা খবর পরিবেশন করছে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে ‘জনগণের শত্রু’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোকে একাধিকবার ‘অসৎ’ আখ্যা দেন। সম্প্রতি ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। তাতে আমেরিকা থেকে রাশিয়ার বিদ্যুৎ গ্রিডে হামলা চালানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় টুইট করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি সেই টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণ করছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাবে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রকাশক এ জি সুলজবারগার বলেছেন, ট্রাম্পের সহযোগীদের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ কোনো ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। তাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণ তখনই হবে, যখন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের বিভিন্নভাবে সহায়তা দেবে বা পৃষ্ঠপোষকতা করবে। সুলজবারগার বলেছেন, এই সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো আচরণ করেনি। অন্যদিকে সংবিধানে এটিও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আছে, কোনো রাজনীতিবিদ নিজের সুবিধার জন্য ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ শব্দটি যত্রতত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।
সুলজবারগার বলছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট যখন কোনো স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলেন, তখন তা অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। কোনো সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে এর চেয়ে বড় অভিযোগ আর হতে পারে না।
অভিযোগ আছে, ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আইনি প্রচারণা চালাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে এবং সাংবাদিকদের ওপর জনগণের আস্থায় চিড় ধরানোর চেষ্টা চলছে।
সুলজবারগার বলছেন, আমেরিকার এক-চতুর্থাংশ জনগণ এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, সংবাদমাধ্যম তাদের শত্রু। প্রেসিডেন্ট পদে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন হরহামেশা এই অভিযোগ তুলছেন, তখন তা জনমনে এক ধরনের আস্থার সংকট সৃষ্টি করছে। এবং শুধু নিজের স্বার্থেই প্রেসিডেন্টের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে এই সংকট সৃষ্টি করছেন ট্রাম্প।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা নেতারা সব সময় বিশ্বাস করে এসেছিলেন, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্যই স্বাধীন সংবাদমাধ্যম জরুরি। আমেরিকার অভিজ্ঞতাও সেই বিশ্বাসের ভিতকে শক্তিশালী করেছে। এর আগে সব মার্কিন প্রেসিডেন্টই এই মূলনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন এবং যেকোনো মূল্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই ঐতিহ্য ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। এ জি সুলজবারগার বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কার্যকলাপ সব দেশপ্রেমিক মার্কিন নাগরিককে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ একটি মতামতধর্মী নিবন্ধ লিখেছেন ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রকাশক এ জি সুলজবারগার। ওই নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর তোপ দাগাচ্ছেন ট্রাম্প। প্রথম দিকে ট্রাম্প ‘ফেক নিউজ’ রব তুলেছিলেন। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁর বিরুদ্ধে অযথাই মিথ্যা খবর পরিবেশন করছে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে ‘জনগণের শত্রু’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোকে একাধিকবার ‘অসৎ’ আখ্যা দেন। সম্প্রতি ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। তাতে আমেরিকা থেকে রাশিয়ার বিদ্যুৎ গ্রিডে হামলা চালানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় টুইট করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি সেই টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণ করছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাবে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রকাশক এ জি সুলজবারগার বলেছেন, ট্রাম্পের সহযোগীদের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ কোনো ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। তাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহী আচরণ তখনই হবে, যখন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের বিভিন্নভাবে সহায়তা দেবে বা পৃষ্ঠপোষকতা করবে। সুলজবারগার বলেছেন, এই সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো আচরণ করেনি। অন্যদিকে সংবিধানে এটিও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আছে, কোনো রাজনীতিবিদ নিজের সুবিধার জন্য ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ শব্দটি যত্রতত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।
সুলজবারগার বলছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট যখন কোনো স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলেন, তখন তা অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। কোনো সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে এর চেয়ে বড় অভিযোগ আর হতে পারে না।
অভিযোগ আছে, ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আইনি প্রচারণা চালাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে এবং সাংবাদিকদের ওপর জনগণের আস্থায় চিড় ধরানোর চেষ্টা চলছে।
সুলজবারগার বলছেন, আমেরিকার এক-চতুর্থাংশ জনগণ এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, সংবাদমাধ্যম তাদের শত্রু। প্রেসিডেন্ট পদে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন হরহামেশা এই অভিযোগ তুলছেন, তখন তা জনমনে এক ধরনের আস্থার সংকট সৃষ্টি করছে। এবং শুধু নিজের স্বার্থেই প্রেসিডেন্টের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে এই সংকট সৃষ্টি করছেন ট্রাম্প।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা নেতারা সব সময় বিশ্বাস করে এসেছিলেন, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্যই স্বাধীন সংবাদমাধ্যম জরুরি। আমেরিকার অভিজ্ঞতাও সেই বিশ্বাসের ভিতকে শক্তিশালী করেছে। এর আগে সব মার্কিন প্রেসিডেন্টই এই মূলনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন এবং যেকোনো মূল্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই ঐতিহ্য ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। এ জি সুলজবারগার বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কার্যকলাপ সব দেশপ্রেমিক মার্কিন নাগরিককে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
No comments