মুসলিমদের হেনস্থায় সঙ্ঘ পরিবারকে কাঠগড়ায় তুললেন আসাউদ্দীন
ধর্মের
ভিত্তিতে দেশেক ভাগ করার চেষ্টা করছে বিজেপি৷ দাবি বিরোধীদের৷ তাদের সেই
অভিযোগের প্রতিফলন অবশ্য মেলেনি বোট বাক্সে৷ দ্বিতীয়বারের জন্য জনাদেশ
বিজেপির পক্ষে৷ তবে ঘটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি ঘটনা৷ ‘জয়শ্রী রাম’ না বলায়
ঝাড়খণ্ডে একদল ধর্মান্ধের হাতে খুন হতে হয় মুসলিম যুবককে৷ যা নিয়ে সরব
এআইএমআইএন সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি৷
হায়দ্রাবাদের সাংসদের দাবি, দেশজুড়ে অপরাধের প্রবণতা বলছে এর জন্য দায়ী সঙ্ঘ পরিবার৷ তিনি বলেন, ‘‘জয়শ্রী রাম বা বন্দেমাতরম না বললেই মারধর করা হচ্ছ৷ যা কখনই থামানো যাচ্ছে না৷ শুধুমাত্র মুসলিম ও দলিতরাই এই আক্রমণের শিকার৷ এইসবের পিছনে যারা জড়িত তারা কোনও কোনওভাবে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত৷”
দিন কয়েক আগেই মোবাইলে তোলা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে, ল্যাম্পপোস্টে বাঁধা যুবক হাঁপাতে হাঁপাতে বলছেন, ‘‘জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম।” তাকে দিয়ে জোর করে ওইসব বলানো হচ্ছে৷ মোটরবাইক চোর সন্দেহে গত ১৮ জুন তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে পেটায় সরাইকেলা-খরসোঁয়া জেলার ধক্তিদি গ্রামের কিছু মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পেটাতে পেটাতে যুবককে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করে কয়েক জন। তিনি বলেন, ‘‘সোনু।” পুরো নাম বলতে বলা হয়। উত্তর আসে, ‘‘তবরেজ আনসারি।” শোনা মাত্রই মারের বহর বাড়ে। আসে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার নির্দেশ।
ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তবরেজকে পেটাতে পেটাতে লাঠিই ভেঙে গিয়েছে। আর্তনাদে ছটফট করছে সে৷ অনেক পরে আসে পুলিশ৷ তবরেজকে উদ্ধার করে চুরির দায়ে কোর্টে তোলে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তবরেজকে। সেখানে সে মারা যায়।
এই ঘটনাকে ‘লজ্জা’র বলে মন্তব্য করেন এআইএমআইএন সাংসদ৷ তাঁর কথায়, ‘‘মুসলিমদের ঘৃনার চোখে দেখে আরএসএস ও সঙ্ঘ পরিবার৷ তাই দেশে দলিত ও মুসলিমদের মারধরের ঘটনা বাড়ছে ক্রমশ৷”
গোরক্ষার নামে এর আগেও তাণ্ডব দেখেছে দেশ৷ সেই সময়ও প্রতিবাদে সরব ছিলেন হায়দাবাদের সাংসদ৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি সরকার মধ্যযুগীয় আচরণ করছে৷ যেখানে মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী, দেশ বিরোধী ও গো-পাচারকারী বলে ভাবা হয়৷ ’’ স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ দেশে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বলে দাবি ওয়েইসির৷
শুধু ঝাড়খণ্ডেই নয়৷ বুধবারের পর গত শুক্রবার কানপুরে এক মুসলিম যুবককে হেনস্থার ঘটনা ঘটে৷ ধর্মীয় টুপি পড়ে থাকায় তাকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়৷ তার আগে মহারাষ্টের থানেতে এক মুসলিম ক্যাব চালককে মারধর করা হয়৷ ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে না চাওয়ায় পরে তাকে ব্যাপক মারা হয়৷ ঘটনার তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
হায়দ্রাবাদের সাংসদের দাবি, দেশজুড়ে অপরাধের প্রবণতা বলছে এর জন্য দায়ী সঙ্ঘ পরিবার৷ তিনি বলেন, ‘‘জয়শ্রী রাম বা বন্দেমাতরম না বললেই মারধর করা হচ্ছ৷ যা কখনই থামানো যাচ্ছে না৷ শুধুমাত্র মুসলিম ও দলিতরাই এই আক্রমণের শিকার৷ এইসবের পিছনে যারা জড়িত তারা কোনও কোনওভাবে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত৷”
দিন কয়েক আগেই মোবাইলে তোলা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে, ল্যাম্পপোস্টে বাঁধা যুবক হাঁপাতে হাঁপাতে বলছেন, ‘‘জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম।” তাকে দিয়ে জোর করে ওইসব বলানো হচ্ছে৷ মোটরবাইক চোর সন্দেহে গত ১৮ জুন তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে পেটায় সরাইকেলা-খরসোঁয়া জেলার ধক্তিদি গ্রামের কিছু মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পেটাতে পেটাতে যুবককে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করে কয়েক জন। তিনি বলেন, ‘‘সোনু।” পুরো নাম বলতে বলা হয়। উত্তর আসে, ‘‘তবরেজ আনসারি।” শোনা মাত্রই মারের বহর বাড়ে। আসে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার নির্দেশ।
ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তবরেজকে পেটাতে পেটাতে লাঠিই ভেঙে গিয়েছে। আর্তনাদে ছটফট করছে সে৷ অনেক পরে আসে পুলিশ৷ তবরেজকে উদ্ধার করে চুরির দায়ে কোর্টে তোলে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তবরেজকে। সেখানে সে মারা যায়।
এই ঘটনাকে ‘লজ্জা’র বলে মন্তব্য করেন এআইএমআইএন সাংসদ৷ তাঁর কথায়, ‘‘মুসলিমদের ঘৃনার চোখে দেখে আরএসএস ও সঙ্ঘ পরিবার৷ তাই দেশে দলিত ও মুসলিমদের মারধরের ঘটনা বাড়ছে ক্রমশ৷”
গোরক্ষার নামে এর আগেও তাণ্ডব দেখেছে দেশ৷ সেই সময়ও প্রতিবাদে সরব ছিলেন হায়দাবাদের সাংসদ৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি সরকার মধ্যযুগীয় আচরণ করছে৷ যেখানে মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী, দেশ বিরোধী ও গো-পাচারকারী বলে ভাবা হয়৷ ’’ স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ দেশে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বলে দাবি ওয়েইসির৷
শুধু ঝাড়খণ্ডেই নয়৷ বুধবারের পর গত শুক্রবার কানপুরে এক মুসলিম যুবককে হেনস্থার ঘটনা ঘটে৷ ধর্মীয় টুপি পড়ে থাকায় তাকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়৷ তার আগে মহারাষ্টের থানেতে এক মুসলিম ক্যাব চালককে মারধর করা হয়৷ ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে না চাওয়ায় পরে তাকে ব্যাপক মারা হয়৷ ঘটনার তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
No comments