গ্লোবাল হক বিধ্বস্ত হওয়ার পর এবারে যুদ্ধে নামানো হচ্ছে মুঠো-ড্রোন
আফগানিস্তানের
যুদ্ধে হাতের মুঠোতে বহনযোগ্য চালকহীন বিমান নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে
আমেরিকা। আগামী মাসে দেশটিতে মার্কিন ছত্রীসেনা বহরের সঙ্গে ব্ল্যাক হর্নেট
নামের এ চালকহীন বিমানবহর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম মোতায়েন করা হবে। ইরানের
বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির হাতে মার্কিন সর্ববৃহৎ ড্রোন আরকিউ-৪
গ্লোবাল হক বিধ্বস্ত হওয়ার পরই নতুন এ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হলো।
আফগানিস্তানে আগামী মাসে মোতায়েন করা হবে মার্কিন ১তম ব্যাটেলিয়ন, ৫০৮তম প্যারাসুট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট। এ সেনাদলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদের সঙ্গেই মোতায়েন করা হবে ব্ল্যাক হর্নেট পারসোনাল রিকনিস্যান্স সিস্টেম নামে পরিচিত পকেট বা মুঠোতে বহনযোগ্য চালকহীন বিমান।
আফগানিস্তানে আগামী মাসে মোতায়েন করা হবে মার্কিন ১তম ব্যাটেলিয়ন, ৫০৮তম প্যারাসুট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট। এ সেনাদলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদের সঙ্গেই মোতায়েন করা হবে ব্ল্যাক হর্নেট পারসোনাল রিকনিস্যান্স সিস্টেম নামে পরিচিত পকেট বা মুঠোতে বহনযোগ্য চালকহীন বিমান।
ক্ষুদে হেলিকপ্টারের মতো উড়তে সক্ষম এটি |
পূর্ণ
বয়সী একটি ইঁদুরের ওজনের সমান এ ড্রোন টানা ২৫ মিনিট উড়তে পারে। ১৮ গ্রাম
ওজনের চালকহীন বিমানটিতে বসানো থাকবে একটি সাধারণ এবং একটি তাপভিত্তিক বা
থার্মাল ক্যামেরা। ঘাঁটি থেকে এক মাইল দূর পর্যন্ত টহল দিতে সক্ষম এ
চালকহীন বিমানের সেকেন্ডে ১০ মিটার বেগে ওড়ার সক্ষমতা রয়েছে।
ক্ষুদে হেলিকপ্টারের মতো উড়তে সক্ষম এটি জিপিএস বা জিপিএস ছাড়াই ঘোরাফেরা করতে পারবে। মাত্র দু’মিনিটের মধ্যেই একে মোতায়েন করা সম্ভব এবং এটি চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে সময় লাগবে মাত্র তিন দিন।
ক্ষুদে হেলিকপ্টারের মতো উড়তে সক্ষম এটি জিপিএস বা জিপিএস ছাড়াই ঘোরাফেরা করতে পারবে। মাত্র দু’মিনিটের মধ্যেই একে মোতায়েন করা সম্ভব এবং এটি চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে সময় লাগবে মাত্র তিন দিন।
মার্কিন সর্ববৃহৎ ড্রোন আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক |
শত্রুকে
শনাক্ত করা ছাড়াও এ দিয়ে চলাচলের পথে পেতে রাখা আইইডি নামে পরিচিত ঘরে
তৈরি বোমা খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে জানান হয়েছে। এ ছাড়া, কোথাও
অভিযানের চালানোর আগে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম খবর নিতে সহায়তা
করবে এটি। নয় হাজার ব্ল্যাক হর্নেট ব্যবস্থা সরবরাহ করার জন্য মার্কিন
বাহিনী এরই মধ্যে চার কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে ।
বিশালবপু এবং ব্যাপক ব্যয়বহুল চালকহীন বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে মার্কিন বাহিনীর ব্যর্থতাই ক্ষুদ্রাকৃতির ড্রোনের দিকে দেশটির ঝুঁকে পড়ার অন্যমত কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
বিশালবপু এবং ব্যাপক ব্যয়বহুল চালকহীন বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে মার্কিন বাহিনীর ব্যর্থতাই ক্ষুদ্রাকৃতির ড্রোনের দিকে দেশটির ঝুঁকে পড়ার অন্যমত কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
No comments