মিয়ানমারের রাখাইনকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে
মিয়ানমারের
রাখাইনকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে মার্কিন কংগ্রেসে।
সম্প্রতি কংগ্রেসে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বাজেট বিষয়ক
শুনানিতে এ প্রস্তাব ওঠে। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের এশিয়া
প্রশান্ত-মহাসাগরীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান ব্রাড শেরম্যান মিয়ানমারের রাখাইন
রাজ্যকে দেশটি থেকে আলাদা করে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার সম্ভাবনার
কথা বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্র দফতরের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে যুক্তরাষ্ট্র যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কেন একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না?
এ বিষয়ে ট্রাম্প সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী অ্যালিস জি. ওয়েলস বলেন, সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করা আমাদের ঐতিহ্যগত পররাষ্ট্র নীতি।
তখন শেরম্যান বলেন, খার্তুম সরকার যখন সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করেছিল তখন সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছিল। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংগঠিত করারও অভিযোগ আছে। অথচ সুদান সরকার দক্ষিণ সুদানের মানুষের নাগরিকত্ব কখনো অস্বীকার করেনি। মিয়ানমার যদি রাখাইনের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে যে দেশ তাদের দায়িত্ব নিয়েছে, সেই বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইনকে জুড়ে দেওয়াই তো যৌক্তিক পদক্ষেপ।
এ প্রস্তাবের বিষয়ে ট্রাম্প সরকারের অবস্থান স্পষ্ট না করে ওয়েলস বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে জোর দিচ্ছি। যাতে করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার তৈরি হয় এবং তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। সেখানকার পরিবেশ মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ হলে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে।
জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিকেরা অবশ্য কংগ্রেসম্যান শেরম্যানের বক্তব্যকে সমর্থন বা নাকচ কোনোটিই করেননি।
তিনি বলেন, সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে যুক্তরাষ্ট্র যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কেন একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না?
এ বিষয়ে ট্রাম্প সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী অ্যালিস জি. ওয়েলস বলেন, সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করা আমাদের ঐতিহ্যগত পররাষ্ট্র নীতি।
তখন শেরম্যান বলেন, খার্তুম সরকার যখন সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করেছিল তখন সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে আলাদা করে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছিল। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংগঠিত করারও অভিযোগ আছে। অথচ সুদান সরকার দক্ষিণ সুদানের মানুষের নাগরিকত্ব কখনো অস্বীকার করেনি। মিয়ানমার যদি রাখাইনের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে যে দেশ তাদের দায়িত্ব নিয়েছে, সেই বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইনকে জুড়ে দেওয়াই তো যৌক্তিক পদক্ষেপ।
এ প্রস্তাবের বিষয়ে ট্রাম্প সরকারের অবস্থান স্পষ্ট না করে ওয়েলস বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে জোর দিচ্ছি। যাতে করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার তৈরি হয় এবং তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। সেখানকার পরিবেশ মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ হলে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে।
জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিকেরা অবশ্য কংগ্রেসম্যান শেরম্যানের বক্তব্যকে সমর্থন বা নাকচ কোনোটিই করেননি।
No comments