বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটারবিমুখতা: বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, নির্বাচনে ভোট
দেয়ার ব্যাপারে জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মসজিদে মসজিদে মাইকে আহ্বান করেও
ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনা যাচ্ছে না। এটা কেবল নির্বাচনের জন্য নয়,
গণতন্ত্রের জন্যও বিপদ সংকেত।
গতকাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মেনন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ যদি নির্বাচনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তাহলে রাজনৈতিক দল কেবল নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলবে। এটা সবার জন্য যেমন, আওয়ামী লীগের জন্যও প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার কাজটি আমাদের করতে হবে। কারণ রোগ এখন উপজেলা নির্বাচন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পাঁচ দফা উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলের অভিজ্ঞতা, এমনকি আওয়ামী লীগ নিজ দলের প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা করুণ। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। বরং তাদের যোগসাজশ রয়েছে। এর ফলে নির্বাচন ও সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সেই ’৬৩ সাল থেকে ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। সর্বশেষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ভুয়া ভোটার তালিকা আর নীল-নক্সার নির্বাচনের বিরুদ্ধে ১৪ দল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণের ভোট প্রয়োগের আন্দোলনে সফলতা অর্জন করেছিলাম। আবার যেন এই বৃদ্ধ বয়সে সবটাই পুনঃমুষিকভব করতে না হয়।
এদিকে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের নিম্ন হার দেখে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব তালুকদার তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “এবারের উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে আশঙ্কার দিক হচ্ছে ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও জাতির জন্য এরকম নির্বাচনবিমুখতা অশনি সংকেত। এই নির্বাচন বিমুখতা জাতিকে গভীর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।"
তিনি আরো জানান, “কর্তৃত্ববাদী শাসনের অনিশ্চিত গন্তব্যে বাংলাদেশ। এই অবস্থা কখনও কাম্য হতে পারে না। আমরা গণতন্ত্রের শোকযাত্রায় সামিল হতে চাই না। যথোপযুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে।”
উল্লেখ্য, সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবারের উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত এবারের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৪০ শতাংশের কিছু বেশি।
গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, আওয়ামী লীগের শাসনে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে কারচুপির কারণে নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
গতকাল মাহবুব তালুকদার তার সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, “বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ না করায় এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল একতরফা। একতরফা নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠের অভিমত এবং তা বহুত্ববাদের ভেতর থেকে উৎসারিত হতে হয়। একতরফা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠের কোনো অভিব্যক্তি প্রতিফলিত হয় না বলে এর কোনো ঔজ্জ্বল্য থাকে না। নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরিতে উপযুক্ত পরিবেশ অপরিহার্য। কিন্তু আমরা ক্রমাগত একতরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, যা গণতন্ত্রের জন্য অনভিপ্রেত।”
বাংলাদেশে সকল পর্যায়ের নির্বাচনে ভোটারদের আনাগ্রহের মাঝেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ঘোষণা করেছেন, ভবিষ্যতে সব নির্বাচনেই ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা হবে। আর সে জন্য আইনগত কাঠামো তৈরি হয়েছে।
বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে বুধবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম নুরুল হুদা এ ঘোষণা দেন।
অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কবিতা খানম আজ জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর। জন্মনিবন্ধনসহ স্বচ্ছ নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তকরণ ও ভুল তথ্য সংশোধনও করা হচ্ছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রংপুর নগরীর বড়বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ছবি যুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শকালে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগদ কার্যক্রমে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মেনন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ যদি নির্বাচনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তাহলে রাজনৈতিক দল কেবল নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলবে। এটা সবার জন্য যেমন, আওয়ামী লীগের জন্যও প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার কাজটি আমাদের করতে হবে। কারণ রোগ এখন উপজেলা নির্বাচন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পাঁচ দফা উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলের অভিজ্ঞতা, এমনকি আওয়ামী লীগ নিজ দলের প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা করুণ। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। বরং তাদের যোগসাজশ রয়েছে। এর ফলে নির্বাচন ও সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সেই ’৬৩ সাল থেকে ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। সর্বশেষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ভুয়া ভোটার তালিকা আর নীল-নক্সার নির্বাচনের বিরুদ্ধে ১৪ দল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণের ভোট প্রয়োগের আন্দোলনে সফলতা অর্জন করেছিলাম। আবার যেন এই বৃদ্ধ বয়সে সবটাই পুনঃমুষিকভব করতে না হয়।
এদিকে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের নিম্ন হার দেখে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব তালুকদার তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “এবারের উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে আশঙ্কার দিক হচ্ছে ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও জাতির জন্য এরকম নির্বাচনবিমুখতা অশনি সংকেত। এই নির্বাচন বিমুখতা জাতিকে গভীর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।"
তিনি আরো জানান, “কর্তৃত্ববাদী শাসনের অনিশ্চিত গন্তব্যে বাংলাদেশ। এই অবস্থা কখনও কাম্য হতে পারে না। আমরা গণতন্ত্রের শোকযাত্রায় সামিল হতে চাই না। যথোপযুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে।”
উল্লেখ্য, সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবারের উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত এবারের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৪০ শতাংশের কিছু বেশি।
গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, আওয়ামী লীগের শাসনে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে কারচুপির কারণে নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
গতকাল মাহবুব তালুকদার তার সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, “বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ না করায় এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল একতরফা। একতরফা নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠের অভিমত এবং তা বহুত্ববাদের ভেতর থেকে উৎসারিত হতে হয়। একতরফা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠের কোনো অভিব্যক্তি প্রতিফলিত হয় না বলে এর কোনো ঔজ্জ্বল্য থাকে না। নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরিতে উপযুক্ত পরিবেশ অপরিহার্য। কিন্তু আমরা ক্রমাগত একতরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, যা গণতন্ত্রের জন্য অনভিপ্রেত।”
বাংলাদেশে সকল পর্যায়ের নির্বাচনে ভোটারদের আনাগ্রহের মাঝেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ঘোষণা করেছেন, ভবিষ্যতে সব নির্বাচনেই ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা হবে। আর সে জন্য আইনগত কাঠামো তৈরি হয়েছে।
বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে বুধবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম নুরুল হুদা এ ঘোষণা দেন।
অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কবিতা খানম আজ জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর। জন্মনিবন্ধনসহ স্বচ্ছ নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তকরণ ও ভুল তথ্য সংশোধনও করা হচ্ছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রংপুর নগরীর বড়বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ছবি যুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শকালে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগদ কার্যক্রমে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে।
No comments