রাশিয়ান অস্ত্রে পাকিস্তানের চোখ, যা আছে মস্কোর ভাণ্ডারে
পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার দেশ রাশিয়ার অস্ত্র কিনতে চায় এবং এ
ব্যাপারে মস্কোর অনেক কিছুই দেয়ার রয়েছে, তা সেটা প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক এবং
জঙ্গি বিমান হোক, বা হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হোক। একজন সামরিক
বিশেষজ্ঞ আরটিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কয়েক দশক ধরে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অস্ত্রের আপগ্রেড এবং নতুন অস্ত্র কেনার জন্য পশ্চিমা এবং চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর ভরসা করেছে। এখন সময় বদলে যাচ্ছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি এখন রাশিয়ান অস্ত্র সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছে। একই সাথে মস্কোর সাথে তারা সামরিক সম্পর্কও তৈরি করতে চাচ্ছে।
স্পুটনিকের সাথে এক সাক্ষাতকারে খান বলেন, “পাকিস্তান আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাঁধা ছিল এবং আমরা সবাই জানি ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ ছিল”। বিশ্ব এখন সেই শীতল যুদ্ধের সময় পেরিয়ে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্থল ও সাগরে রাশিয়ার প্রায় সব অস্ত্র সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী, কিন্তু ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার সম্ভাবনাই এখানে বেশি – এমন ব্যাখ্যা দিলেন সামরিক বিশেষজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিখাইল খোদারেনোক।
খোদারেনোক বললেন, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী হয়তো টি-৯০ কিনতে চাইবে, যেটা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং পাকিস্তানের প্রতিবেশী ভারত ২০০০ সালের পর থেকে এটা ব্যবহার করে আসছে। ইসলামাবাদ সম্প্রতি এ ব্যাপারে ইউক্রেন বা চীনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাদের ট্যাঙ্কের বহর আপগ্রেড করাটা অত্যন্ত জরুরি।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, রাশিয়ার তৈরি হেলিকপ্টারের ব্যাপারেও পাকিস্তানের আগ্রহ থাকতে পারে। পাকিস্তানী বিমান বাহিনী চারটি এমআই-৩৫এম হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছে। এটা এমআই-২৪ হিন্দ অ্যাটাক হেলিকপ্টারের নতুন ভার্সান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বহরে আগে থেকেই ছয়টি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার রয়েছে।
আকাশযান ছাড়াও ইসলামাবাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তানও সেখানে পিছিয়ে নেই। তবে, এ ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্র পাকিস্তানের জন্য কেনা দুরূহ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন খোদারেনোক। এর পরিবর্তে, পাকিস্তান বরং বুক, থর বা পান্তসির-এস২ টাইপ স্বল্প-পাল্লার সিস্টেম বেছে নিতে পারে।
তিনি বলেন, বহু কারণ রয়েছে, যে জন্য রাশিয়া পাকিস্তানকে তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রাদি কেনার প্রস্তাব দিতে পারে। পাকিস্তান এখন একটি উদীয়মান অস্ত্রের বাজার, এবং তাদের রাশিয়ান অস্ত্রের যে চাহিদা রয়েছে, সেটার পরিমাণ আগামী বছরগুলোতে ৮-৯ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর
কয়েক দশক ধরে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অস্ত্রের আপগ্রেড এবং নতুন অস্ত্র কেনার জন্য পশ্চিমা এবং চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর ভরসা করেছে। এখন সময় বদলে যাচ্ছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি এখন রাশিয়ান অস্ত্র সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছে। একই সাথে মস্কোর সাথে তারা সামরিক সম্পর্কও তৈরি করতে চাচ্ছে।
স্পুটনিকের সাথে এক সাক্ষাতকারে খান বলেন, “পাকিস্তান আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাঁধা ছিল এবং আমরা সবাই জানি ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ ছিল”। বিশ্ব এখন সেই শীতল যুদ্ধের সময় পেরিয়ে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্থল ও সাগরে রাশিয়ার প্রায় সব অস্ত্র সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী, কিন্তু ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার সম্ভাবনাই এখানে বেশি – এমন ব্যাখ্যা দিলেন সামরিক বিশেষজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিখাইল খোদারেনোক।
খোদারেনোক বললেন, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী হয়তো টি-৯০ কিনতে চাইবে, যেটা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং পাকিস্তানের প্রতিবেশী ভারত ২০০০ সালের পর থেকে এটা ব্যবহার করে আসছে। ইসলামাবাদ সম্প্রতি এ ব্যাপারে ইউক্রেন বা চীনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাদের ট্যাঙ্কের বহর আপগ্রেড করাটা অত্যন্ত জরুরি।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, রাশিয়ার তৈরি হেলিকপ্টারের ব্যাপারেও পাকিস্তানের আগ্রহ থাকতে পারে। পাকিস্তানী বিমান বাহিনী চারটি এমআই-৩৫এম হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছে। এটা এমআই-২৪ হিন্দ অ্যাটাক হেলিকপ্টারের নতুন ভার্সান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বহরে আগে থেকেই ছয়টি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার রয়েছে।
আকাশযান ছাড়াও ইসলামাবাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তানও সেখানে পিছিয়ে নেই। তবে, এ ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্র পাকিস্তানের জন্য কেনা দুরূহ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন খোদারেনোক। এর পরিবর্তে, পাকিস্তান বরং বুক, থর বা পান্তসির-এস২ টাইপ স্বল্প-পাল্লার সিস্টেম বেছে নিতে পারে।
তিনি বলেন, বহু কারণ রয়েছে, যে জন্য রাশিয়া পাকিস্তানকে তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রাদি কেনার প্রস্তাব দিতে পারে। পাকিস্তান এখন একটি উদীয়মান অস্ত্রের বাজার, এবং তাদের রাশিয়ান অস্ত্রের যে চাহিদা রয়েছে, সেটার পরিমাণ আগামী বছরগুলোতে ৮-৯ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর
No comments