এখনো স্থবির সংগীতাঙ্গন by ফয়সাল রাব্বিকীন
ধীরগতিতে
চলছে সংগীতাঙ্গনের বর্তমান কার্যক্রম। গেল রোজার ঈদ নিয়ে অনেক আশাবাদ
থাকলেও তার শিকিভাগও পূরণ হয়নি। কারণ হাতেগোনা কয়েকটি বাদে ঈদের গানগুলো
মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি। সব মিলিয়ে এখনো স্থবিরতা বিরাজ করছে
সংগীতাঙ্গনে। চলতি বছরের ভালোবাসা দিবস ও পহেলা বৈশাখে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক
গান প্রকাশ পায়নি। তবে সবচেয়ে বড় উৎসব রোজার ঈদে অন্তত গানের বাজার ঘুরে
দাঁড়াবে বলে আশা করেছিলেন শিল্পী ও সংগীত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সে আশার
গুড়েবালি। বেশ ক’জন তারকা শিল্পীর গানই ঈদে প্রকাশ হয়েছে।
প্রকাশ হয়েছে হালের ভাইরাল শিল্পীদের গানও। কিন্তু সে অর্থে এবারের ঈদে কোনো গানই তেমন ভালো অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি। এরমধ্যে ঈদে প্রকাশিত কুমার বিশ্বজিতের ‘রস কইয়া বিষ খাওয়াইলো’ শীর্ষক গানটি ছিল প্রশংসিত। অন্যদিকে আসিফ আকবর-কর্নিয়ার ‘তোমার হাসি’, হাবিব ওয়াহিদের ‘মনের কিনারায়’, ইমরান-পড়শীর ‘আবদার’, কাজী শুভর ‘ভুলিয়া না যাইও’ ও মিলনের ‘পল্টি’ শীর্ষক গানগুলো ছিল শ্রোতাপ্রিয়তায়। তবে এর বাইরে অনেক গানই প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সেসবের বেশিরভাগই মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন সংগীতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে। কারণ ওয়েলকাম টিউন থেকে আয় একেবারেই শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। কমেছে বিভিন্ন সেলফোন কোম্পানির অ্যাপস থেকে আয়ও। শুধু ইউটিউবের ওপর নির্ভর করে গানের বিনিয়োগ উঠিয়ে আনাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। এদিকে সংগীত বোদ্ধারা জোর দিচ্ছেন মিউজিক ভিডিওর বাজেট কমিয়ে ভালো অডিওর প্রতি মনোযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে। কারণ তাদের মতে, ভালো গান হলে মোটামুটি মানের ভিডিও হলেই সেটি শ্রোতাপ্রিয়তায় চলে আসবে। এমন নজিরও কাছাকাছি সময়ে কম নয়। আর সেটি হলে গানের বিনিযোগ উঠিয়ে আনাও সহজ হবে। সেক্ষেত্রে গানে বিনিয়োগও বাড়বে। সুযোগ পাবে তারকা শিল্পী থেকে নতুন শিল্পীরাও। গানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এমআইবি সভাপতি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজারভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, ইন্ডাস্টির অবস্থা সত্যিই ভালো না। কারণ একটি অডিও এবং ভিডিও করতে গিয়ে যে খরচ হয় সেটা উঠিয়ে আনা কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি মনে করি একটি ভালো মানের অডিওর সঙ্গে মোটামুটি বাজেটের কোয়ালিটিসম্পন্ন ভিডিও হলেই সে গানটি বেরিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে ভিডিও কেবল সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবে। আমরাও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সেলফোন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনাও চলছে। আমি বিশ্বাস করি হয়তো সামনে এ অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারবো। সেই অপেক্ষাতেই আছি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে তারকা সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেন, আমি সব সময় ভালো গানে বিশ্বাসী। এখনও আমি জানি একটি গান ভালো হলে সেটা মোটামুটি মানের ভিডিও হলেই শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় চলে আসবে। ব্যয়বহুল ভিডিও নিয়ে যে প্রতিযোগিতা চলছে সেটা আসলে সংগীতের জন্য ভালো বিষয় নয়। এতে করে অস্থিরতা বাড়ছে। আমার মতে ভালো কথা, সুর ও গায়কীর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আর প্রচারের জন্য একটি ভিডিও হলেই চলে। সেটা যে ব্যয়বহুল হতে হবে তেমনটা আমি মনে করি না।
প্রকাশ হয়েছে হালের ভাইরাল শিল্পীদের গানও। কিন্তু সে অর্থে এবারের ঈদে কোনো গানই তেমন ভালো অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি। এরমধ্যে ঈদে প্রকাশিত কুমার বিশ্বজিতের ‘রস কইয়া বিষ খাওয়াইলো’ শীর্ষক গানটি ছিল প্রশংসিত। অন্যদিকে আসিফ আকবর-কর্নিয়ার ‘তোমার হাসি’, হাবিব ওয়াহিদের ‘মনের কিনারায়’, ইমরান-পড়শীর ‘আবদার’, কাজী শুভর ‘ভুলিয়া না যাইও’ ও মিলনের ‘পল্টি’ শীর্ষক গানগুলো ছিল শ্রোতাপ্রিয়তায়। তবে এর বাইরে অনেক গানই প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সেসবের বেশিরভাগই মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন সংগীতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে। কারণ ওয়েলকাম টিউন থেকে আয় একেবারেই শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। কমেছে বিভিন্ন সেলফোন কোম্পানির অ্যাপস থেকে আয়ও। শুধু ইউটিউবের ওপর নির্ভর করে গানের বিনিয়োগ উঠিয়ে আনাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। এদিকে সংগীত বোদ্ধারা জোর দিচ্ছেন মিউজিক ভিডিওর বাজেট কমিয়ে ভালো অডিওর প্রতি মনোযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে। কারণ তাদের মতে, ভালো গান হলে মোটামুটি মানের ভিডিও হলেই সেটি শ্রোতাপ্রিয়তায় চলে আসবে। এমন নজিরও কাছাকাছি সময়ে কম নয়। আর সেটি হলে গানের বিনিযোগ উঠিয়ে আনাও সহজ হবে। সেক্ষেত্রে গানে বিনিয়োগও বাড়বে। সুযোগ পাবে তারকা শিল্পী থেকে নতুন শিল্পীরাও। গানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এমআইবি সভাপতি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজারভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, ইন্ডাস্টির অবস্থা সত্যিই ভালো না। কারণ একটি অডিও এবং ভিডিও করতে গিয়ে যে খরচ হয় সেটা উঠিয়ে আনা কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি মনে করি একটি ভালো মানের অডিওর সঙ্গে মোটামুটি বাজেটের কোয়ালিটিসম্পন্ন ভিডিও হলেই সে গানটি বেরিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে ভিডিও কেবল সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবে। আমরাও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সেলফোন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনাও চলছে। আমি বিশ্বাস করি হয়তো সামনে এ অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারবো। সেই অপেক্ষাতেই আছি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে তারকা সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেন, আমি সব সময় ভালো গানে বিশ্বাসী। এখনও আমি জানি একটি গান ভালো হলে সেটা মোটামুটি মানের ভিডিও হলেই শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় চলে আসবে। ব্যয়বহুল ভিডিও নিয়ে যে প্রতিযোগিতা চলছে সেটা আসলে সংগীতের জন্য ভালো বিষয় নয়। এতে করে অস্থিরতা বাড়ছে। আমার মতে ভালো কথা, সুর ও গায়কীর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আর প্রচারের জন্য একটি ভিডিও হলেই চলে। সেটা যে ব্যয়বহুল হতে হবে তেমনটা আমি মনে করি না।
No comments