১১ দিন পর পাওয়া গেল সোহেল তাজের ভাগ্নেকে: ‘আর কারও সঙ্গে যেন এমনটি না হয়’ -সোহেল তাজ
১১
দিন নিখোঁজ থাকার পর মায়ের কোলে ফিরে এসেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের ভাগ্নে সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার আলম
সৌরভ (২৫)। গতকাল ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় তাকে কে বা কারা হাত বাধা
অবস্থায় রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
করে পুলিশ। সকাল ১১টা ৩৪ মিনিটে একটি গাড়িতে করে সৌরভকে বনানীর বাসায় নিয়ে
যাওয়া হয়। এসময় পুলিশের একটি পিকআপও ছিলো। গাড়ি থেকে নেমেই মা, বাবা ও
মামাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সোহেল তাজ।
তিনি বলেন, সৌরভ ফিরে এসেছে বলে আজ আমরা হাসতে পারছি।
সৌরভ আমার ভাগ্নে বলেই তাকে সহযোগিতা করতে পেরেছি। সৌরভের মতো যেন কারও জীবনে এমন ঘটনা না ঘটে। কাউকে হারানো বা খুঁজে না পাওয়া কী যে মানসিক যন্ত্রণা, তা বুঝানো যাবে না। এটি একটি বিষাক্ত অনুভূতি। এটি জীবন্ত অবস্থায় দোযখের যন্ত্রণা অনুভব করা। কোনো মানুষেরই এই যন্ত্রণা কাম্য হতে পারে না।
একইভাবে সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, এরকম যেন কারও না হয়। দেশের কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে এমনটি কাম্য না। আমার ছেলেটি খুব নিরীহ। নিরপরাধ। মা হিসেবে বলবো দেশের কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে যেন এরকম না ঘটে। এসময় ফুফাতো ভাই সোহেল তাজের ভূমিকার প্রশংসা করেন সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান।
কারা সৌরভের গুমের সঙ্গে জড়িত এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোহেল তাজ সাংবাদিকদের বলেন, সৌরভকে বাধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার পড়নে কোনো জামা ছিল না। শুধু পায়জামা ছিলো। ময়মনসিংহের এসপি সাহেবের বাসায় নিয়ে তার গোসলের ব্যবস্থা করেছেন। সৌরভ বুঝতে পারেনি সে কোথায় ছিল। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এখন তার ওপর কোনো চাপ দেয়া যাবে না। আমাদের প্রত্যাশা ছিলো তাকে ফিরে পাব। পেয়েছি। এখন এর চেয়ে বেশি কথা বলতে চাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। এসময় সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
ময়মনসিংহের তারাকান্দার মধুপুর একটি অটো রাইসমিলের ম্যানেজার সৌরভকে পাওয়া গেছে বলে তার পরিবারকে ফোনে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি চট্রগ্রামে পুলিশকে জানান সোহেল তাজ। এরপর চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন (সিএমপি) পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারাকান্দা থেকে সৌরভকে নিয়ে আসেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন। সকাল সোয়া ৯টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, তারাকান্দা উপজেলার বটতলা বাজারের জামিল অটো রাইসমিলের ম্যানেজার সমির তার ফোন থেকে সৌরভের পরিবারকে কল করেন। এরপর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডিসি আমাকে বিষয়টি জানালে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যাই। পরে তাকে উদ্ধার করে নিজের কার্যালয়ে নিয়ে যান বলে জানান এসপি।
তিনি জানান, সৌরভ সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে উদ্ধারের বিষয়টি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে জানানো হয়। পরে তার কথার প্রেক্ষিতে সৌরভকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে তারাকান্দা বটতলা জামিল অটো রাইস মিলের ফোরম্যান গকুল বিশ্বাসের ছেলে সমির উদ্দিন জানান, ভোর ৪টার দিকে ‘বাচাঁও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে ম্যানেজার শর্মা সরকারকে নিয়ে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের পাশে গিয়ে সৌরভকে পান। এসময় সৌরভ জানান, তাকে ছেঁড়া কাপড়ে গাছে হাত বেঁধে রেখে যায় কে বা কারা। সৌরভ নিজেই হাতের বাঁধন খুলে মুক্ত হন। তাকে রাইস মিলের অফিসে নিয়ে যাওয়ার পর ম্যানেজারকে পরিবারের ফোন নম্বর দিয়ে কল করতে বলেন সৌরভ।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা এলাকার একটি রাইস মিলের কাছে কে বা কারা সৌরভকে রেখে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৯ই জুন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার আফমি প্লাজার সামনে থেকে সৌরভকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। ভাগ্নে সৌরভের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। তাছাড়াও এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ভাগ্নেকে খোঁজে বের করতে পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করেন সোহেল তাজ। সৌরভ নিখোঁজের পরদিন তার বাবা সৈয়দ ইদ্রিস আলম চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঈদের ছুটিতে সৌরভ চট্টগ্রামের বাসায় বেড়াতে যান। গত ৯ই জুন পাঁচলাইশ আফমি প্লাজার সামনে থেকে দু’জন লোক তাকে অপহরণ করে গাড়িতে তোলে নিয়ে যায়। সৌরভ ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষে ডকুমেন্টরি তৈরির কাজ করতেন। সৌরভ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের মামাতো বোন সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমানের ছেলে।
সৌরভ আমার ভাগ্নে বলেই তাকে সহযোগিতা করতে পেরেছি। সৌরভের মতো যেন কারও জীবনে এমন ঘটনা না ঘটে। কাউকে হারানো বা খুঁজে না পাওয়া কী যে মানসিক যন্ত্রণা, তা বুঝানো যাবে না। এটি একটি বিষাক্ত অনুভূতি। এটি জীবন্ত অবস্থায় দোযখের যন্ত্রণা অনুভব করা। কোনো মানুষেরই এই যন্ত্রণা কাম্য হতে পারে না।
একইভাবে সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, এরকম যেন কারও না হয়। দেশের কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে এমনটি কাম্য না। আমার ছেলেটি খুব নিরীহ। নিরপরাধ। মা হিসেবে বলবো দেশের কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে যেন এরকম না ঘটে। এসময় ফুফাতো ভাই সোহেল তাজের ভূমিকার প্রশংসা করেন সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান।
কারা সৌরভের গুমের সঙ্গে জড়িত এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোহেল তাজ সাংবাদিকদের বলেন, সৌরভকে বাধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার পড়নে কোনো জামা ছিল না। শুধু পায়জামা ছিলো। ময়মনসিংহের এসপি সাহেবের বাসায় নিয়ে তার গোসলের ব্যবস্থা করেছেন। সৌরভ বুঝতে পারেনি সে কোথায় ছিল। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এখন তার ওপর কোনো চাপ দেয়া যাবে না। আমাদের প্রত্যাশা ছিলো তাকে ফিরে পাব। পেয়েছি। এখন এর চেয়ে বেশি কথা বলতে চাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। এসময় সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
ময়মনসিংহের তারাকান্দার মধুপুর একটি অটো রাইসমিলের ম্যানেজার সৌরভকে পাওয়া গেছে বলে তার পরিবারকে ফোনে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি চট্রগ্রামে পুলিশকে জানান সোহেল তাজ। এরপর চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন (সিএমপি) পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারাকান্দা থেকে সৌরভকে নিয়ে আসেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন। সকাল সোয়া ৯টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, তারাকান্দা উপজেলার বটতলা বাজারের জামিল অটো রাইসমিলের ম্যানেজার সমির তার ফোন থেকে সৌরভের পরিবারকে কল করেন। এরপর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডিসি আমাকে বিষয়টি জানালে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যাই। পরে তাকে উদ্ধার করে নিজের কার্যালয়ে নিয়ে যান বলে জানান এসপি।
তিনি জানান, সৌরভ সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে উদ্ধারের বিষয়টি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে জানানো হয়। পরে তার কথার প্রেক্ষিতে সৌরভকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে তারাকান্দা বটতলা জামিল অটো রাইস মিলের ফোরম্যান গকুল বিশ্বাসের ছেলে সমির উদ্দিন জানান, ভোর ৪টার দিকে ‘বাচাঁও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে ম্যানেজার শর্মা সরকারকে নিয়ে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের পাশে গিয়ে সৌরভকে পান। এসময় সৌরভ জানান, তাকে ছেঁড়া কাপড়ে গাছে হাত বেঁধে রেখে যায় কে বা কারা। সৌরভ নিজেই হাতের বাঁধন খুলে মুক্ত হন। তাকে রাইস মিলের অফিসে নিয়ে যাওয়ার পর ম্যানেজারকে পরিবারের ফোন নম্বর দিয়ে কল করতে বলেন সৌরভ।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা এলাকার একটি রাইস মিলের কাছে কে বা কারা সৌরভকে রেখে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৯ই জুন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার আফমি প্লাজার সামনে থেকে সৌরভকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। ভাগ্নে সৌরভের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। তাছাড়াও এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ভাগ্নেকে খোঁজে বের করতে পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করেন সোহেল তাজ। সৌরভ নিখোঁজের পরদিন তার বাবা সৈয়দ ইদ্রিস আলম চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঈদের ছুটিতে সৌরভ চট্টগ্রামের বাসায় বেড়াতে যান। গত ৯ই জুন পাঁচলাইশ আফমি প্লাজার সামনে থেকে দু’জন লোক তাকে অপহরণ করে গাড়িতে তোলে নিয়ে যায়। সৌরভ ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষে ডকুমেন্টরি তৈরির কাজ করতেন। সৌরভ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের মামাতো বোন সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমানের ছেলে।
No comments