সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মার্কিন সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রীর
বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেছেন সফররত মার্কিন সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়ান স্টেফের নেতৃত্বাধীন
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল সকালে উপদেষ্টার
গুলশান কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ-বৈঠক হয়। এতে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আর্ল রবার্ট মিলারও উপস্থিতি ছিলেন। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে
দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কৃষি, অবকাঠামো ও অর্থনীতিসহ
আর্থ-সামাজিক খাতে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন
বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের বিস্তারিত তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
দেশে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা এবং ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার যেসব উদ্যোগ বা ব্যবস্থা নিয়েছে, যার মধ্যে উন্নততর ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিবেশ, ডিজিটাইজেশন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য চালু হওয়া ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’- এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বেগবান করতে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসমূহও ব্যাখ্যা করেন উপদেষ্টা। মার্কিন সহকারী মন্ত্রী ইয়ান স্টেফ বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর মধ্যে যে ক্রমবর্ধমান আস্থা ও আশাবাদ বিরাজ করছে, তা উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
মন্ত্রী জানান, মার্কিন বহু কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ কিংবা বিদ্যমান ব্যবসা সমপ্রসারণে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের জ্বালানী, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, এলএনজি খাত বিশেষ করে ড্রেজিং-এ মার্কিন কোম্পানিগুলোর আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। স্টেফ বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সিস্টেম সংক্রান্ত কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তিনি মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন ও নকল (কাউন্টার ফেইট) পণ্যের প্রসঙ্গও বৈঠকে উত্থাপন করেন। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরণ শেষে মেধাস্বত্ব বিষয়ক বিধি বিধান যথাযথ প্রতিপালনসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে একটি স্থায়ী সেল গঠন করা হয়েছে। নকল পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো গুরুতর ঘটনা তার নজরে আসেনি। তবে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন যে, পণ্য নকল করার যে কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বৈঠকে উভয় পক্ষ দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক
মার্কিন সহকারি মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি বিকালে বাণিজ্য সচিব মো: মফিজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকাল ৩টা থেকে সোয়া ৪টা অবধি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ সরকারের যেসব নীতি ও পলিসি গ্রহণ করেছে সচিব মার্কিন প্রতিনিধি দলকে সে বিষয়ে অবহিত করেন। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব সন্ধ্যায় মানবজমিনকে জানান, বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ দেখিয়েছে, তারা এ সংক্রান্ত বাধাসমূহ দূরীকরণের তাগিদ দিয়েছে। জবাবে সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব কর্মসূচী তুলে ধরে বলা হয়েছে এ অঞ্চলে মার্কিন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে বাংলাদেশ। সচিব আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে যে ১৬টি শর্ত দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ তার সবই পূরণ করেছে বলে মার্কিন প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়। তবে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল জিএসপি পূণর্বহাল বা এ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে কোন মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
দেশে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা এবং ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে সরকার যেসব উদ্যোগ বা ব্যবস্থা নিয়েছে, যার মধ্যে উন্নততর ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিবেশ, ডিজিটাইজেশন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য চালু হওয়া ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’- এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বেগবান করতে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসমূহও ব্যাখ্যা করেন উপদেষ্টা। মার্কিন সহকারী মন্ত্রী ইয়ান স্টেফ বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর মধ্যে যে ক্রমবর্ধমান আস্থা ও আশাবাদ বিরাজ করছে, তা উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
মন্ত্রী জানান, মার্কিন বহু কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ কিংবা বিদ্যমান ব্যবসা সমপ্রসারণে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের জ্বালানী, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, এলএনজি খাত বিশেষ করে ড্রেজিং-এ মার্কিন কোম্পানিগুলোর আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। স্টেফ বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সিস্টেম সংক্রান্ত কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তিনি মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন ও নকল (কাউন্টার ফেইট) পণ্যের প্রসঙ্গও বৈঠকে উত্থাপন করেন। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরণ শেষে মেধাস্বত্ব বিষয়ক বিধি বিধান যথাযথ প্রতিপালনসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে একটি স্থায়ী সেল গঠন করা হয়েছে। নকল পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো গুরুতর ঘটনা তার নজরে আসেনি। তবে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন যে, পণ্য নকল করার যে কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বৈঠকে উভয় পক্ষ দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক
মার্কিন সহকারি মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি বিকালে বাণিজ্য সচিব মো: মফিজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকাল ৩টা থেকে সোয়া ৪টা অবধি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ সরকারের যেসব নীতি ও পলিসি গ্রহণ করেছে সচিব মার্কিন প্রতিনিধি দলকে সে বিষয়ে অবহিত করেন। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব সন্ধ্যায় মানবজমিনকে জানান, বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ দেখিয়েছে, তারা এ সংক্রান্ত বাধাসমূহ দূরীকরণের তাগিদ দিয়েছে। জবাবে সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব কর্মসূচী তুলে ধরে বলা হয়েছে এ অঞ্চলে মার্কিন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে বাংলাদেশ। সচিব আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে যে ১৬টি শর্ত দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ তার সবই পূরণ করেছে বলে মার্কিন প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়। তবে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল জিএসপি পূণর্বহাল বা এ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে কোন মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
No comments