ভারতে বিরোধী নেতাদের সরকার গঠনের লক্ষ্যে দৌড়ঝাঁপ by পরিতোষ পাল
ভারতে
লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষ পর্যায়ে। কোন পক্ষ জিতবে তা নিয়ে একটা সাসপেন্স
বিরাজ করছে। তবে শাসক দল বিজেপি ও তার শরিকরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও
বিরোধী নেতাদের মতে, বিজেপির পক্ষে দু’শর গণ্ডি পেরোনো সম্ভব নয়। ফলে সরকার
গঠনে এবার বিরোধীরাই ভূমিকা রাখবে। অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার ঘোষণা করেছেন, বাংলার নেতৃত্বেই দিল্লিতে সরকার
গঠিত হবে। তবে কোন অঙ্কে সেটা সম্ভব তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন কোনো দলই।
বিরোধী জোটে কংগ্রেসের অবস্থান কি হবে তাও স্পষ্ট নয়। বিরোধীদের একাংশ মনে
করেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বেই জোট করে সরকার গঠনের চেষ্টা হবে।
আবার বিরোধীদের আরেকটি অংশ মনে করেন, কংগ্রেস ও বিজেপিকে দূরে রেখে আঞ্চলিক দলগুলোর সমন্বয়ে গঠন করা হবে নতুন সরকার। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে কংগ্রেসের সমর্থন নেয়ার পক্ষপাতী মমতার মতো কিছু নেতার। তবে সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের নেতারা ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু গত বৃহস্পতিবার মমতার সঙ্গে সরকার গঠনের প্রাথমিক আলোচনা করে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে চন্দ্রবাবু বলেছেন, মমতার নেতৃত্বে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত হবে। তিনিই সকলকে সংগঠিত করছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বাংলার বাঘই শুধু নয়। দেশের বাঘিনী। তাকে প্রাণশক্তি দিন। জানা গেছে, মমতা-চন্দ্রবাবুর বৈঠকে অবিজেপি জোটের ন্যূনতম কর্মসূচি-সহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চন্দ্র্রবাবু দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে ১৯শে মে ভোট শেষ হওয়ার দু’দিনের মধ্যে বিজেপি-বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
এ যাবৎ হওয়া ভোটের ভিত্তিতে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ অনুমান, বিজেপি ১৬০-১৭০টির বেশি আসন পাবে না। বিজেপির শরিক আকালি দলের নেতা নরেশ গুজরালও প্রকাশ্যে বলেছেন, বিজেপি গতবারের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। নির্ভর করতে হবে শরিকদের উপরেই। এমন একটি আবহে কংগ্রেস ভোটের পরে মোদির জন্য সব পথ বন্ধ করে দিতে চাইছে। ভোট শেষ হলেই বিরোধীরা মিলে একযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি নিয়ে যেতে চাইছেন। যাতে রাষ্ট্রপতি একক বড় দল হিসেবে আগেই বিজেপিকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ না জানান। তবে মমতা ও মায়াবতীর মতো নেত্রীরা এত আগেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি নন। তবে বিরোধীরা যাতে দ্রুত অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসে সে বিষয়ে মমতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে ভোটের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাতে সহযোগী জুটিয়ে সরকার গড়তে না পারেন, সে জন্য এখন থেকেই সক্রিয় হয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা ভোট হয়ে যাওয়া কেন্দ্রগুলোর বুথ থেকে আসা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মনে করছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক পিছিয়ে থাকবে মোদির দল। এনডিএ’র শরিকদের নিয়েও সরকার গড়া কঠিন হবে। এই পরিস্থিতিতে কে চন্দ্রশেখর রাও, জগন্মোহন রেড্ডি, নবীন পট্টনায়কের উপরে ভরসা করতে হতে পারে বিজেপিকে। কিন্তু এই নেতারা যাতে মোদিমুখী না হন, সে জন্য এখন থেকেই চেষ্টা করতে হবে বলে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোট পরবর্তী বিরোধীদের বৈঠকে এই সব নেতাদের হাজির করার জন্য চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও আর একবার বিজেপি ও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ গড়ার চেষ্টায় নেমেছেন। এর আগে যখন তিনি এ নিয়ে সক্রিয় হয়েছিলেন, তখন বিরোধী নেতারা বলেছিলেন, আসলে মোদির হাতে তামাক খাচ্ছেন তিনি। এবারেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিরোধী নেতারা। ইতিমধ্যেই রাও কেরালায় গিয়ে সিপিআইএম নেতা বিজয়নের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন। ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। কেননা, স্ট্যালিন আগেই জানিয়েছেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বেই বিরোধী জোট হবে। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, কেসিআর আসলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী পদ না পেলেও উপ-প্রধানমন্ত্রী হতে চান। সে বার্তা কেসিআর-এর পক্ষ থেকে দক্ষিণের কিছু দলকে দেয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেস বোঝানোর চেষ্টা করছে, তাদের বাদ দিয়ে বিরোধী শিবিরের আঞ্চলিক দলগুলো সরকার গড়তে পারবে না। তবে বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় বিতর্ক নেতা কে হবেন? চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতারা চাইছেন মমতাই নেতৃত্ব দিন।
আবার স্ট্যালিন ও শরদ পাওয়ারের মতো নেতারা মনে করেন, রাহুলই হবেন যোগ্য নেতা। তবে উত্তর প্র্রদেশের বিরোধী নেতারা নিজেদের অঙ্কে মশগুল। বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে নিঃশর্ত সমর্থনের রাস্তায় তিনি হাঁটবেন না। উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোটের সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী মায়াবতী। ভোটের পর ঝুলিতে যদি যথেষ্ট সংখ্যক আসন থাকে তবে অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে তিনি ঝাঁপাবেন প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য। এর আগে উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচার চলাকালীন বারবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন মায়াবতী। আপাত ভাবে প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে অখিলেশের সমর্থনও রয়েছে তার সঙ্গে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধী জোট তৈরি হলেও প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে এই জোটের সব অঙ্ক ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অবশ্য সব নির্ভর করছে ২৩শে মে’র ফল প্রকাশের উপরই।
আবার বিরোধীদের আরেকটি অংশ মনে করেন, কংগ্রেস ও বিজেপিকে দূরে রেখে আঞ্চলিক দলগুলোর সমন্বয়ে গঠন করা হবে নতুন সরকার। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে কংগ্রেসের সমর্থন নেয়ার পক্ষপাতী মমতার মতো কিছু নেতার। তবে সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের নেতারা ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু গত বৃহস্পতিবার মমতার সঙ্গে সরকার গঠনের প্রাথমিক আলোচনা করে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে চন্দ্রবাবু বলেছেন, মমতার নেতৃত্বে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত হবে। তিনিই সকলকে সংগঠিত করছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বাংলার বাঘই শুধু নয়। দেশের বাঘিনী। তাকে প্রাণশক্তি দিন। জানা গেছে, মমতা-চন্দ্রবাবুর বৈঠকে অবিজেপি জোটের ন্যূনতম কর্মসূচি-সহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চন্দ্র্রবাবু দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে ১৯শে মে ভোট শেষ হওয়ার দু’দিনের মধ্যে বিজেপি-বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
এ যাবৎ হওয়া ভোটের ভিত্তিতে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ অনুমান, বিজেপি ১৬০-১৭০টির বেশি আসন পাবে না। বিজেপির শরিক আকালি দলের নেতা নরেশ গুজরালও প্রকাশ্যে বলেছেন, বিজেপি গতবারের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। নির্ভর করতে হবে শরিকদের উপরেই। এমন একটি আবহে কংগ্রেস ভোটের পরে মোদির জন্য সব পথ বন্ধ করে দিতে চাইছে। ভোট শেষ হলেই বিরোধীরা মিলে একযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি নিয়ে যেতে চাইছেন। যাতে রাষ্ট্রপতি একক বড় দল হিসেবে আগেই বিজেপিকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ না জানান। তবে মমতা ও মায়াবতীর মতো নেত্রীরা এত আগেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি নন। তবে বিরোধীরা যাতে দ্রুত অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসে সে বিষয়ে মমতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে ভোটের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাতে সহযোগী জুটিয়ে সরকার গড়তে না পারেন, সে জন্য এখন থেকেই সক্রিয় হয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা ভোট হয়ে যাওয়া কেন্দ্রগুলোর বুথ থেকে আসা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মনে করছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক পিছিয়ে থাকবে মোদির দল। এনডিএ’র শরিকদের নিয়েও সরকার গড়া কঠিন হবে। এই পরিস্থিতিতে কে চন্দ্রশেখর রাও, জগন্মোহন রেড্ডি, নবীন পট্টনায়কের উপরে ভরসা করতে হতে পারে বিজেপিকে। কিন্তু এই নেতারা যাতে মোদিমুখী না হন, সে জন্য এখন থেকেই চেষ্টা করতে হবে বলে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোট পরবর্তী বিরোধীদের বৈঠকে এই সব নেতাদের হাজির করার জন্য চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও আর একবার বিজেপি ও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ গড়ার চেষ্টায় নেমেছেন। এর আগে যখন তিনি এ নিয়ে সক্রিয় হয়েছিলেন, তখন বিরোধী নেতারা বলেছিলেন, আসলে মোদির হাতে তামাক খাচ্ছেন তিনি। এবারেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিরোধী নেতারা। ইতিমধ্যেই রাও কেরালায় গিয়ে সিপিআইএম নেতা বিজয়নের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন। ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। কেননা, স্ট্যালিন আগেই জানিয়েছেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বেই বিরোধী জোট হবে। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, কেসিআর আসলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী পদ না পেলেও উপ-প্রধানমন্ত্রী হতে চান। সে বার্তা কেসিআর-এর পক্ষ থেকে দক্ষিণের কিছু দলকে দেয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেস বোঝানোর চেষ্টা করছে, তাদের বাদ দিয়ে বিরোধী শিবিরের আঞ্চলিক দলগুলো সরকার গড়তে পারবে না। তবে বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় বিতর্ক নেতা কে হবেন? চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতারা চাইছেন মমতাই নেতৃত্ব দিন।
আবার স্ট্যালিন ও শরদ পাওয়ারের মতো নেতারা মনে করেন, রাহুলই হবেন যোগ্য নেতা। তবে উত্তর প্র্রদেশের বিরোধী নেতারা নিজেদের অঙ্কে মশগুল। বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে নিঃশর্ত সমর্থনের রাস্তায় তিনি হাঁটবেন না। উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোটের সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী মায়াবতী। ভোটের পর ঝুলিতে যদি যথেষ্ট সংখ্যক আসন থাকে তবে অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে তিনি ঝাঁপাবেন প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য। এর আগে উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচার চলাকালীন বারবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন মায়াবতী। আপাত ভাবে প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে অখিলেশের সমর্থনও রয়েছে তার সঙ্গে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধী জোট তৈরি হলেও প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে এই জোটের সব অঙ্ক ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অবশ্য সব নির্ভর করছে ২৩শে মে’র ফল প্রকাশের উপরই।
No comments