দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করলে আস্থার জায়গা তৈরি হবে: জিল্লুর
চলমান
সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের অবিশ্বাস দূর করতে হবে। এজন্য সরকারকে দুই
পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে তত্তা¡বধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ও
অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নৌ পরিবহনমন্ত্রী ও পল্লী উন্নয়ন
প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ ও আইনের বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করলে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি হবে। তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
ঘরে ফিরে যাবে।
শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই পরিবেশিত ‘তৃতীয় মাত্রা’ শীর্ষক টকশোতে এসব পরামর্শ দেন তিনি। জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় টক শোতে আরো অংশ নেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর। সরকারকে পরামর্শ দিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সড়কে নিরাপত্তার জন্য গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দূর করতে হবে। গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের সমস্যা তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন এ উপদেষ্টা বলেন, বিআরটিএ-এর অধীনে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কাউন্সিল (আরটিসি) নামে একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটি নির্ধারণ করে দেয় কোন সড়কে কী পরিমাণ গাড়ি চলবে। আরটিসি ব্যবস্থাপনাটি রাজনৈতিক কুশাসনের আখড়া হিসেবে আছে। তিনি বলেন, গণপরিবহনের এই ব্যবস্থাপনাটি দুই মন্ত্রী নৌ পরিবহন ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) এর অবস্থানে আছে। দু’জনই মন্ত্রী পরিষদের সদস্য। একজন শ্রমিকদের নেতা। আরেকজন বাস মালিকদের নেতা। এই দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করলে সড়কপথে নিরাপত্তা ফিরে আসবে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
অন্য আরেক পদক্ষেপের বিষয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আইনে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি সংযুক্তির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে পুলিশের সহায়তায় একবার সারা দেশে গাড়ির লাইসেন্স চেক করার দায়িত্ব দিতে হবে। একইভাবে মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চ পদস্থদেরকে মাসে একদিন গণপরিবহনে চলাচল করার পরামর্শ দেন তিনি। সড়ক ব্যবস্থাপনায় মনিটরিংয়ের বিষয়ে জোর দিয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
বলেন, মনিটরিং বিষয়টি কোনো কারিগরি বিষয় না যে একটি সেমিনারের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব না। এটা একটি অব্যাহত সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়। তাই এই কিশোর আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষকে শাসন প্রক্রিয়ায় আনার এক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
কিশোর আন্দোলনের পুরো ঘটনাকে অভূতর্পূব উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার নৈতিক পরাজয়ের জায়গায় রয়েছে। কেননা কোমলমতি সেকশন যাদের ঘরে থাকার কথা তারা জনগণের চাহিদা পূরণ করছে। সরকারকে হ্যান্ডল করছে। আমরা সঙ্গীন অবস্থায় আছি এবং একটা সম্ভাবনার জায়গায় রয়েছি। এমতাবস্থায় সরকারকে লক্ষ্য করে টকশোতে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলতে পারলাম এমন যেন না হয়। যদিও অতীতে বাংলাদেশে মানুষের অবস্থান নেই। কে ক্ষমতায় আসবে কে যাবে, তারা কী করবেÑ তারাই সব। আমাদের এখানে না থেকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিলেও কিছু হতো না। কিন্তু এখন জোরালোভাবে জনগণ ফিরে এসেছে, আলোচনায় এসেছে শিশু কিশোরদের হাত ধরে। তাই আশ্বাস ও হুমকি এই দুই অকার্যকর কৌশল বাদ দিয়ে সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
দৃশ্যমান পদক্ষেপের বিষয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দৃশ্যমান পদক্ষেপ শুধুÑ যারা প্রাণ হারালো তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বা কয়েকটি বাস দেয়া নয়। বরং গভর্নেন্স এঙ্গেলে পদক্ষেপের বিষয় রয়েছে। দু’দিন ধরে যে অঘোষিত গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে নিরাপত্তার অজুহাতে একে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হলো সম্পূর্ণ অহিংস। তারা শুধু লাইসেন্স চাইছে। এ ধর্মঘট এক অর্থে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা। গণপরিবহন ব্যবস্থায় অযৌক্তিক অঘোষিত ধর্মঘট প্রতিকারের জন্য সরকারকে আইনের ঘাটতি, ব্যবস্থাপনার ঘাটতি ও অব্যাহত মনিটরিংয়ের ঘাটতি দূরীকরণের পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।
শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই পরিবেশিত ‘তৃতীয় মাত্রা’ শীর্ষক টকশোতে এসব পরামর্শ দেন তিনি। জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় টক শোতে আরো অংশ নেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর। সরকারকে পরামর্শ দিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সড়কে নিরাপত্তার জন্য গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দূর করতে হবে। গণপরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের সমস্যা তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন এ উপদেষ্টা বলেন, বিআরটিএ-এর অধীনে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কাউন্সিল (আরটিসি) নামে একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটি নির্ধারণ করে দেয় কোন সড়কে কী পরিমাণ গাড়ি চলবে। আরটিসি ব্যবস্থাপনাটি রাজনৈতিক কুশাসনের আখড়া হিসেবে আছে। তিনি বলেন, গণপরিবহনের এই ব্যবস্থাপনাটি দুই মন্ত্রী নৌ পরিবহন ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) এর অবস্থানে আছে। দু’জনই মন্ত্রী পরিষদের সদস্য। একজন শ্রমিকদের নেতা। আরেকজন বাস মালিকদের নেতা। এই দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করলে সড়কপথে নিরাপত্তা ফিরে আসবে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
অন্য আরেক পদক্ষেপের বিষয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আইনে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি সংযুক্তির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে পুলিশের সহায়তায় একবার সারা দেশে গাড়ির লাইসেন্স চেক করার দায়িত্ব দিতে হবে। একইভাবে মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চ পদস্থদেরকে মাসে একদিন গণপরিবহনে চলাচল করার পরামর্শ দেন তিনি। সড়ক ব্যবস্থাপনায় মনিটরিংয়ের বিষয়ে জোর দিয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
বলেন, মনিটরিং বিষয়টি কোনো কারিগরি বিষয় না যে একটি সেমিনারের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব না। এটা একটি অব্যাহত সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়। তাই এই কিশোর আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষকে শাসন প্রক্রিয়ায় আনার এক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
কিশোর আন্দোলনের পুরো ঘটনাকে অভূতর্পূব উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার নৈতিক পরাজয়ের জায়গায় রয়েছে। কেননা কোমলমতি সেকশন যাদের ঘরে থাকার কথা তারা জনগণের চাহিদা পূরণ করছে। সরকারকে হ্যান্ডল করছে। আমরা সঙ্গীন অবস্থায় আছি এবং একটা সম্ভাবনার জায়গায় রয়েছি। এমতাবস্থায় সরকারকে লক্ষ্য করে টকশোতে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলতে পারলাম এমন যেন না হয়। যদিও অতীতে বাংলাদেশে মানুষের অবস্থান নেই। কে ক্ষমতায় আসবে কে যাবে, তারা কী করবেÑ তারাই সব। আমাদের এখানে না থেকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিলেও কিছু হতো না। কিন্তু এখন জোরালোভাবে জনগণ ফিরে এসেছে, আলোচনায় এসেছে শিশু কিশোরদের হাত ধরে। তাই আশ্বাস ও হুমকি এই দুই অকার্যকর কৌশল বাদ দিয়ে সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
দৃশ্যমান পদক্ষেপের বিষয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দৃশ্যমান পদক্ষেপ শুধুÑ যারা প্রাণ হারালো তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বা কয়েকটি বাস দেয়া নয়। বরং গভর্নেন্স এঙ্গেলে পদক্ষেপের বিষয় রয়েছে। দু’দিন ধরে যে অঘোষিত গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে নিরাপত্তার অজুহাতে একে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হলো সম্পূর্ণ অহিংস। তারা শুধু লাইসেন্স চাইছে। এ ধর্মঘট এক অর্থে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা। গণপরিবহন ব্যবস্থায় অযৌক্তিক অঘোষিত ধর্মঘট প্রতিকারের জন্য সরকারকে আইনের ঘাটতি, ব্যবস্থাপনার ঘাটতি ও অব্যাহত মনিটরিংয়ের ঘাটতি দূরীকরণের পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।
No comments