বিক্ষোভে উত্তাল দেশ
নিরাপদ
সড়কের দাবি ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে
বিক্ষোভ, অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর উত্তরা, রামপুরা, মহাখালী,
বাড্ডা, শাহবাগ, বনানী, আসাদগেট, কুড়িল বিশ্বরোড, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট
রোড, গ্রিন রোড ও মালিবাগ এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি
পালন করে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ছয় শতাধিক
ছাত্র ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে দিতে সড়কে অবস্থান নেন। ওই মিছিলে
স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও উত্তরার একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সমাবেশ হাউজ বিল্ডিং থেকে জসিমউদ্দিন
রোডে ছড়িয়ে পড়ে। তারা সড়কের মধ্যেখানে বসে পড়েন। প্রায় ৩০ মিনিট পর তারা
গাড়িগুলোকে লেন মেনে চলার জন্য নিদের্শনা দেন। গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স
পরীক্ষা করেন। উত্তরার রাজউক মডেল কলেজ, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ,
স্কলাস্টিকা, উত্তরা কমার্স কলেজ, বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড
টেকনোলজি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স
অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা মিছিলে অংশ নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই তাদের মধ্যে যাতে কোনো বহিরাগত ঢুকতে না পারে সেজন্য সবাইকে আইডি কার্ড বুকে ঝুলানোর আহ্বান জানান। হাউজ বিল্ডিংয়ের ফুট ওভার ব্রিজের ওপর থেকে একাধিক সাংবাদিক চিত্র ধারণ করতে গেলে তাদের বাধা দেন তারা। পুলিশ শিক্ষার্থীদের একাধিকবার সড়ক থেকে পাশে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা কেউ কথা শোনেন নি। বরং কোনো কোনো শিক্ষার্থীকে সড়কের মধ্যেখানে শুয়ে যেতে দেখা গেছে।
রাজউক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গতকাল দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ঢাকাসহ দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলের সড়ক এখন প্রাণঘাতী সড়কে পরিণত হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমিও এর শিকার হতে পারি। নৌ-মন্ত্রীর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। সকাল ১১টার দিকে, খিলক্ষেত কুড়িল বিশ্বরোডে খিলক্ষেত মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪শ’ শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে।
তারা তাদের দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সেখানেও তারা গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা জোনের এসি শহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালী আমতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মহাখালীর মোড়ে গিয়ে সড়কে বসে পড়ে। তারা অবিলম্বে নৌ-মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে তারা বাস, পিকঅ্যাপ, মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে সব ধরনের গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করে।
আমতলী থেকে কিছুটা দূরে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশকে। জানা গেছে, সকাল ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের আসাদ গেটের আড়ংয়ের সামনের সড়কে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করে। তারা সেখানে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। দুপুরের পর ওই এলাকায় তারা সেখানে ছিলেন না। দুপুরের পর তারা মিছিল নিয়ে শুক্রাবাদ এলাকার দিকে চলে যায়। এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে মালিবাগ মোড়ে মগবাজারসহ আশপাশের একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সড়কে নেমে বিক্ষোভ করলে সেখানে একদল যুবক হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেখানে থেকে শিক্ষার্থী ও হামলাকারী যুবকদের সরিয়ে দেয়া হয়।
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেরুল বাড্ডা থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাটিতে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে ওই এলাকায় দিনভর কোনো যানবাহন চলেনি। তাছাড়া, গণপরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে টঙ্গী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত চলাচল করা কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
দুপুর ১২টার দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের দিকে লাঠিসোঁটা হাতে এগিয়ে আসে ৩০-৪০ জনের একদল যুবক। এ সময় ছাত্ররাও লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বাড্ডার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের হামলা করতে এসেছিল। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরাও ছিল। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম।
হঠাৎ ছাত্রলীগ যুবলীগের লোকজন এসে ধাওয়া করে। এজন্য আমরাও ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। দুুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দু’জন অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। রামপুরা ব্রিজের ওপর তারা শিক্ষার্থীদের মাঝে মিছিল স্লোগান দিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে গল্প করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ সময় পুলিশ ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
তাদের কাছে কোনো পরিচয়পত্রও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ জানায়, এই দু’জন তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। কোন কলেজে পড়ে সেটাও ঠিক করে বলতে পারে না। তাই তাদের ওই স্থান ত্যাগ করে বাসায় চলে যেতে বলা হয়েছে।
বিকাল ৩টার দিকে আবারো ছাত্রলীগ হামলার উদ্দেশ্যে ছাত্রদের দিকে এগিয়ে আসছে খবর চাউর হলে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠে রামপুরা ব্রিজে। শিক্ষার্থীরা লাটিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে। সকাল থেকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইমপিরিয়াল কলেজ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিসহ আশপাশের প্রায় ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জমায়েত হয় রামপুরা ব্রিজে। কিছুক্ষণ পরপরই তারা মিছিল দিতে থাকেন। এ সময় নিরাপদ সড়ক ও মন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। পাশাপাশি শনিবার বিকালে জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদও জানান।
অন্যদিকে, রামপুরা ব্রিজে শিক্ষার্থীদের এ অবস্থানে প্রায় অর্ধশত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে রামপুরা থানার ওসি প্রলয় কুমার জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আমাদের পুলিশবাহিনীও এখানে সতর্ক অবস্থানে ছিল। কোনো ঝামেলা হয়নি রামপুরায়। এদিকে, রামপুরার পরিস্থিতি ছাড়াও উত্তর বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা ও নতুন বাজারসহ চারপাশের সড়কগুলোর পরিস্থিতি বেশ শান্ত ছিল। তবে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান ফটকের সামনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছিলেন নর্থ সাউথ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সকালে মিরপুর ১০নম্বরে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিলেও পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের পরামর্শে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন। ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সড়কে নামলে কিছু যুবক লাঠি হাতে তাদের ওপর হামলা করে। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই তাদের মধ্যে যাতে কোনো বহিরাগত ঢুকতে না পারে সেজন্য সবাইকে আইডি কার্ড বুকে ঝুলানোর আহ্বান জানান। হাউজ বিল্ডিংয়ের ফুট ওভার ব্রিজের ওপর থেকে একাধিক সাংবাদিক চিত্র ধারণ করতে গেলে তাদের বাধা দেন তারা। পুলিশ শিক্ষার্থীদের একাধিকবার সড়ক থেকে পাশে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা কেউ কথা শোনেন নি। বরং কোনো কোনো শিক্ষার্থীকে সড়কের মধ্যেখানে শুয়ে যেতে দেখা গেছে।
রাজউক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গতকাল দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ঢাকাসহ দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলের সড়ক এখন প্রাণঘাতী সড়কে পরিণত হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমিও এর শিকার হতে পারি। নৌ-মন্ত্রীর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। সকাল ১১টার দিকে, খিলক্ষেত কুড়িল বিশ্বরোডে খিলক্ষেত মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪শ’ শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে।
তারা তাদের দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সেখানেও তারা গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা জোনের এসি শহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালী আমতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মহাখালীর মোড়ে গিয়ে সড়কে বসে পড়ে। তারা অবিলম্বে নৌ-মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে তারা বাস, পিকঅ্যাপ, মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে সব ধরনের গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করে।
আমতলী থেকে কিছুটা দূরে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশকে। জানা গেছে, সকাল ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের আসাদ গেটের আড়ংয়ের সামনের সড়কে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করে। তারা সেখানে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। দুপুরের পর ওই এলাকায় তারা সেখানে ছিলেন না। দুপুরের পর তারা মিছিল নিয়ে শুক্রাবাদ এলাকার দিকে চলে যায়। এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে মালিবাগ মোড়ে মগবাজারসহ আশপাশের একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সড়কে নেমে বিক্ষোভ করলে সেখানে একদল যুবক হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেখানে থেকে শিক্ষার্থী ও হামলাকারী যুবকদের সরিয়ে দেয়া হয়।
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেরুল বাড্ডা থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাটিতে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে ওই এলাকায় দিনভর কোনো যানবাহন চলেনি। তাছাড়া, গণপরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে টঙ্গী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত চলাচল করা কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
দুপুর ১২টার দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের দিকে লাঠিসোঁটা হাতে এগিয়ে আসে ৩০-৪০ জনের একদল যুবক। এ সময় ছাত্ররাও লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বাড্ডার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের হামলা করতে এসেছিল। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরাও ছিল। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম।
হঠাৎ ছাত্রলীগ যুবলীগের লোকজন এসে ধাওয়া করে। এজন্য আমরাও ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। দুুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দু’জন অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। রামপুরা ব্রিজের ওপর তারা শিক্ষার্থীদের মাঝে মিছিল স্লোগান দিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে গল্প করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ সময় পুলিশ ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
তাদের কাছে কোনো পরিচয়পত্রও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ জানায়, এই দু’জন তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। কোন কলেজে পড়ে সেটাও ঠিক করে বলতে পারে না। তাই তাদের ওই স্থান ত্যাগ করে বাসায় চলে যেতে বলা হয়েছে।
বিকাল ৩টার দিকে আবারো ছাত্রলীগ হামলার উদ্দেশ্যে ছাত্রদের দিকে এগিয়ে আসছে খবর চাউর হলে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠে রামপুরা ব্রিজে। শিক্ষার্থীরা লাটিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে। সকাল থেকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইমপিরিয়াল কলেজ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিসহ আশপাশের প্রায় ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জমায়েত হয় রামপুরা ব্রিজে। কিছুক্ষণ পরপরই তারা মিছিল দিতে থাকেন। এ সময় নিরাপদ সড়ক ও মন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। পাশাপাশি শনিবার বিকালে জিগাতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদও জানান।
অন্যদিকে, রামপুরা ব্রিজে শিক্ষার্থীদের এ অবস্থানে প্রায় অর্ধশত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে রামপুরা থানার ওসি প্রলয় কুমার জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আমাদের পুলিশবাহিনীও এখানে সতর্ক অবস্থানে ছিল। কোনো ঝামেলা হয়নি রামপুরায়। এদিকে, রামপুরার পরিস্থিতি ছাড়াও উত্তর বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা ও নতুন বাজারসহ চারপাশের সড়কগুলোর পরিস্থিতি বেশ শান্ত ছিল। তবে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রধান ফটকের সামনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছিলেন নর্থ সাউথ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সকালে মিরপুর ১০নম্বরে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নিলেও পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের পরামর্শে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন। ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সড়কে নামলে কিছু যুবক লাঠি হাতে তাদের ওপর হামলা করে। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান।
No comments