পরিবহন মালিকদের কাছে জিম্মি জনগণ
অযৌক্তিক
কারণে টানা চার দিন ধরে পুরো দেশকে জিম্মি করে রেখেছে পরিবহন
মালিক-শ্রমিকরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে
নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখায় চরম দুর্ভোগ চলছে
দেশজুড়ে। পরিবহন মালিক- শ্রমিকদের এমন স্বেচ্ছাচারী অবস্থান পুরনো হলেও
এমন ঠুনকো অজুহাতে পরিবহন বন্ধ রাখার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। পরিবহন খাতের
বিশ্লেষকরা বলছেন, মালিক-শ্রমিকরা অস্ত্র হিসেবেই এমন অবস্থান নিয়েছে।
তাদের এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হলে সরকারকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিনা কারণে মানুষকে জিম্মি করলে গাড়ির লাইসেন্স ও রুট পারমিট বাতিলের মতো
ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের
পদ থেকে সরাতে হবে। তাদের কলকাঠিতেই মালিক-শ্রমিকরা দেশবাসীকে শাস্তি দেয়ার
কর্মসূচিতে নামে বলে মনে করেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন ক্রমাগত আইন ভঙ্গের
ধারাবাহিকতা থেকে তারা যে বের হতে চায় না অঘোষিত ধর্মঘট এর বড় প্রমাণ।
গত ৪ঠা আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, পরিবহন শ্রমিকদের কাছে দেশ জিম্মি। রাস্তায় না চলুক বাস, ওদের কাছে জিম্মি থাকতে পারি না। জ্বালা যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছি না। কয়টা মানুষের কাছে দেশ জিম্মি থাকতে পারে না। আজ কতগুলো বাসের মালিক দেশকে অচল করে দিয়েছে।
নিরাপত্তার অজুহাতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত গতকাল চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘটে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। ধর্মঘটের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বাস না পেয়ে নগরবাসীকে গন্তব্যে যেতে রিকশা, অটোরিকশায় দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় এসব পরিবহনও সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া গতকাল থেকে শুরু হওয়া ট্রাফিক সপ্তাহের কারণেও কাগজপত্র না থাকায় রাস্তায় থাকা যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে। গত ২৯শে জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এরপর বৃহস্পতিবার অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এর আগে রাতে দূরপাল্লার যানবাহন চললেও শনিবার রাত থেকে তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিবহন মালিকরা বলছেন, গাড়ি ভাঙচুরের কারণে ও নিরাপত্তা না থাকায় চালকরা বাস চালাতে চাচ্ছেন না। রোববার সরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকায় সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় থাকলেও গণপরিবহন ছিল না। স্বল্পসংখ্যক বিআরটিসি বাস থাকলেও তাতে ওঠার কোনো উপায় ছিল না। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা প্রাইভেটকার, বাইকে চেপে গন্তব্যে রওনা হন। সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর-১০ মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বাহন বলতে শুধু রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। তাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ভাড়া নেয়া হচ্ছে চার-পাঁচগুণ বেশি। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে যাচ্ছিলেন গন্তব্যে।
এদিকে ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদের কব্জায় জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের পরিবহন সেক্টর। পরিবহন খাতে ক্রমবর্ধমান নৈরাজ্যের নৈপথ্যে রাজনৈতিক মালিকানার এই অশুভ প্রভাব। সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারদলীয় নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় থাকা পরিবহনগুলোর কারণে নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরছে না। মানা হচ্ছে না সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়মনীতি। যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, রুট নির্ধারণ, সিটি সার্ভিসে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানিরও অন্যতম কারণ পরিবহন মালিকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। সরকারের দু-একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ অন্য দলের নেতারাও পরিবহন সেক্টরে তৎপরতায় রয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারের মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী নেতা ও সরকারি দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মালিকানাধীন বাস কোম্পানিগুলোই এখন রাজধানীতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে।
জেলা-উপজেলার সড়ক পরিবহনেও তাদের দৌরাত্ম্য। রাজনৈতিক নেতাদের তৎপরতায় মিলছে যানবাহনের সহজ রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও রুট পারমিট। বিভিন্ন রুটে আধিপত্য বিস্তারের কাজ তারাই করছেন। সূত্র জানায়, নিয়ন্ত্রকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে কোনো সরকারই পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য এখন পর্যন্ত দূর করতে পারেনি। ফলে জনদুর্ভোগ-চাঁদাবাজি-ভাড়া সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে। একজন প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতার গাড়ি চলে ঢাকার বাইরে। সূত্র জানায়, বর্তমানে পরিবহন সেক্টরে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব বাড়লেও এ প্রক্রিয়া চলে আসছে অনেক দিন থেকে। খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বর্তমান সরকারের আমলে পরিবহন সেক্টরের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ও বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব। পরিবহন খাতের ভাড়া নির্ধারণ থেকে শুরু করে এ খাতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আইন প্রণয়ন ও সংশোধনসহ সরকারি সব বৈঠকে তার উপস্থিতি দেখা যায়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে তার ‘এনা পরিবহন’ নামের বাস চলে। সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন সেক্টরের রাজনৈতিক নেতাদের কারণে সরকারই এ খাতটি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলেই এ খাতকে জিম্মি করছেন তারা। এমনকি পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছেন। এ অবস্থায় পরিবহন খাতে নেয়া সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, আমরা এখনো গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেইনি। রাস্তায় এখনো গণ্ডগোল আছে। আন্দোলনকারীরা তো কোনো গাড়িকে বাধা দিচ্ছে না এবং আপনারা কি তাহলে জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছেন- এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশের গণপরিবহনগুলো আইনকানুনের কিছুই তোয়াক্কা করে না। আর এখানে মালিকদের এমন একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে যারা কোনো না কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পরিবহন মালিকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে এ সেক্টরে অনিয়ম বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতারা পরিবহন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় এ খাতে নিয়মনীতি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে জনপ্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে ভবিষ্যতেও পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য থাকবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের নেতাও মন্ত্রী, মালিকদের নেতাও মন্ত্রী এবং আমাদের নেতা তো মালিকদের পকেটে ঢুকে গেছে। এখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই।
গত ৪ঠা আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, পরিবহন শ্রমিকদের কাছে দেশ জিম্মি। রাস্তায় না চলুক বাস, ওদের কাছে জিম্মি থাকতে পারি না। জ্বালা যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছি না। কয়টা মানুষের কাছে দেশ জিম্মি থাকতে পারে না। আজ কতগুলো বাসের মালিক দেশকে অচল করে দিয়েছে।
নিরাপত্তার অজুহাতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত গতকাল চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘটে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। ধর্মঘটের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বাস না পেয়ে নগরবাসীকে গন্তব্যে যেতে রিকশা, অটোরিকশায় দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় এসব পরিবহনও সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া গতকাল থেকে শুরু হওয়া ট্রাফিক সপ্তাহের কারণেও কাগজপত্র না থাকায় রাস্তায় থাকা যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে। গত ২৯শে জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এরপর বৃহস্পতিবার অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এর আগে রাতে দূরপাল্লার যানবাহন চললেও শনিবার রাত থেকে তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিবহন মালিকরা বলছেন, গাড়ি ভাঙচুরের কারণে ও নিরাপত্তা না থাকায় চালকরা বাস চালাতে চাচ্ছেন না। রোববার সরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকায় সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় থাকলেও গণপরিবহন ছিল না। স্বল্পসংখ্যক বিআরটিসি বাস থাকলেও তাতে ওঠার কোনো উপায় ছিল না। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা প্রাইভেটকার, বাইকে চেপে গন্তব্যে রওনা হন। সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর-১০ মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বাহন বলতে শুধু রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। তাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ভাড়া নেয়া হচ্ছে চার-পাঁচগুণ বেশি। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে যাচ্ছিলেন গন্তব্যে।
এদিকে ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদের কব্জায় জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের পরিবহন সেক্টর। পরিবহন খাতে ক্রমবর্ধমান নৈরাজ্যের নৈপথ্যে রাজনৈতিক মালিকানার এই অশুভ প্রভাব। সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারদলীয় নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় থাকা পরিবহনগুলোর কারণে নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরছে না। মানা হচ্ছে না সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়মনীতি। যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, রুট নির্ধারণ, সিটি সার্ভিসে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানিরও অন্যতম কারণ পরিবহন মালিকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। সরকারের দু-একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ অন্য দলের নেতারাও পরিবহন সেক্টরে তৎপরতায় রয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারের মন্ত্রী, এমপি, প্রভাবশালী নেতা ও সরকারি দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মালিকানাধীন বাস কোম্পানিগুলোই এখন রাজধানীতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে।
জেলা-উপজেলার সড়ক পরিবহনেও তাদের দৌরাত্ম্য। রাজনৈতিক নেতাদের তৎপরতায় মিলছে যানবাহনের সহজ রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও রুট পারমিট। বিভিন্ন রুটে আধিপত্য বিস্তারের কাজ তারাই করছেন। সূত্র জানায়, নিয়ন্ত্রকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে কোনো সরকারই পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য এখন পর্যন্ত দূর করতে পারেনি। ফলে জনদুর্ভোগ-চাঁদাবাজি-ভাড়া সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে। একজন প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতার গাড়ি চলে ঢাকার বাইরে। সূত্র জানায়, বর্তমানে পরিবহন সেক্টরে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব বাড়লেও এ প্রক্রিয়া চলে আসছে অনেক দিন থেকে। খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বর্তমান সরকারের আমলে পরিবহন সেক্টরের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ও বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব। পরিবহন খাতের ভাড়া নির্ধারণ থেকে শুরু করে এ খাতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আইন প্রণয়ন ও সংশোধনসহ সরকারি সব বৈঠকে তার উপস্থিতি দেখা যায়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে তার ‘এনা পরিবহন’ নামের বাস চলে। সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন সেক্টরের রাজনৈতিক নেতাদের কারণে সরকারই এ খাতটি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলেই এ খাতকে জিম্মি করছেন তারা। এমনকি পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছেন। এ অবস্থায় পরিবহন খাতে নেয়া সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, আমরা এখনো গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেইনি। রাস্তায় এখনো গণ্ডগোল আছে। আন্দোলনকারীরা তো কোনো গাড়িকে বাধা দিচ্ছে না এবং আপনারা কি তাহলে জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছেন- এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশের গণপরিবহনগুলো আইনকানুনের কিছুই তোয়াক্কা করে না। আর এখানে মালিকদের এমন একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে যারা কোনো না কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পরিবহন মালিকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে এ সেক্টরে অনিয়ম বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতারা পরিবহন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় এ খাতে নিয়মনীতি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে জনপ্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে ভবিষ্যতেও পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য থাকবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের নেতাও মন্ত্রী, মালিকদের নেতাও মন্ত্রী এবং আমাদের নেতা তো মালিকদের পকেটে ঢুকে গেছে। এখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই।
No comments