কেন এত গুজব? by মরিয়ম চম্পা
গুজবে
ভাসছে দেশ। একের পর এক ছড়িয়ে পড়ছে গুজব। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ছড়াচ্ছে গুজবের ডালপালা। কেন এত গুজব? কেউ হয়তো গুজব তৈরি করছেন
বিশেষ উদ্দেশ্যে। কেউবা গুজব ছড়াচ্ছেন অজ্ঞতাবশত। বিশেষজ্ঞদের মতে,
মূলধারার মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণের কারণেই এত বেশি গুজব ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ফেসবুক হচ্ছে নতুন একটি প্রযুক্তি। যার সঠিক ব্যবহার আমরা শিখিনি। এখানে চাইলেই ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার দিতে পারছি। কোনো নিউজফিড চেক বা ক্রস চেক করছি না। বা প্রয়োজন মনে করছি না। সচেতনতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মানুষ অনেক বেশি গুজবমুখী হবে। প্রযুক্তির প্রতি ধারণা এবং অন্যকে সম্মান করার যথযথ শিক্ষা নেই বলে আমরা খুব সহজেই যেকোনো একটা মেয়ের ছবি কিংবা মিথ্যা তথ্য ভাইরাল করে দিতে পারি। শুধুমাত্র অ্যাথিকাল স্টান্ডার্ডের অভাবে এ কাজ করা হয়।
এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা এবং একটি রুচিবোধ তৈরি করা। কাউকে আঘাত বা ছোট না করা। একটা গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজ নির্মাণ করতে পারিনি বলেই এসব তৈরি হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলোতে গুজবের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে দায়িত্বশীল ব্যবহারটা অনেক বেশি। আর একটি বিষয় হচ্ছে একটা তথ্য যখন আটকে দেয়া হবে তখনই কিন্তু গুজব তৈরি হবে।
বাংলাদেশের অনেক ঘটনার আসল তথ্য এখনো আমরা জানি না। তাই অতীতে এক সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ বলবে আড়াই হাজার কেউ ৫শ’ কেউবা বলবে ৪০ জন। আসলে কোনটা মানুষ বিশ্বাস করবে। আমরা হচ্ছি গুজব তথ্যপরায়ণ। আঙ্গুর গাছের লতায় পাতায় কোনটা আগা কোনটা মাথা সেটা খুঁজে পাওয়া যায় না। গুজবও ঠিক এভাবেই ছড়ায়। এ ছাড়া গুজব ঠিক তখনই হবে যখন সঠিক তথ্যদাতা মিডিয়ার উপর বাধাবাধ্যকতা সৃষ্টি করা হবে। ফলে ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে তখন গুজব তৈরির ক্ষেত্র বা জায়গা তৈরি হয়। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া বা গণমাধ্যমগুলো যদি স্বাধীনভাবে চর্চা করতে পারে তাহলে কিন্তু গুজবের জায়গাটা থাকে না। এক্ষেত্রে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি বরাবরই মানুষের টানটা বেশি থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গুজব সবসময়ই একটি সমস্যা। যেটা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি হয়। এক্ষেত্রে যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের অনেক বেশি দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে। এখানে নানা রকম মতামত আসবে। সব মতামতকে আমরা গ্রহণ করব না। কোনো একটা তথ্য পাওয়ার পর সেটাকে যাচাই বাছাই না করে বিশ্বাস করা যাবে না। এক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমে যখন কোনো সমস্যা হবে তখনই মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে গুজব ছড়াবে এবং যারা এই গুজব ছড়াচ্ছে তারা এটা নিজেদের স্বার্থেই করবে জনস্বার্থে নয়। এ ছাড়া গুজবকারীরা সুযোগ পেলে মেইনস্ট্রিম ও সোশ্যাল মিডিয়া সব ক্ষেত্রেই এটা করবে। এগুলো তাদের রুচির বহিঃপ্রকাশ। তবে, গুজবের কার্যকারিতা বা প্রভাব বেশিক্ষণ থাকে না। এটা তৎক্ষণিকভাবে একটি প্রভাব সৃষ্টি করে।
সমাজবিজ্ঞানী নেহাল করিম বলেন, পৃথিবীতে প্রত্যেক সমাজে কিছু সুবিধাভোগী শ্রেণি আছে। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই যে গুজব ছড়াচ্ছে তারা হচ্ছেন সেই সুবিধাভোগী। যারা গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতিকে আরো বেশি অস্থিতিশীল ও জট পাকানোর চেষ্টা করে। এদের আমরা স্বার্থান্বেষী মহলও বলতে পারি। এই মহল গুজবগুলো ছড়াচ্ছে যাতে তারা বেনিফিটেড হয়। এককভাবে যখন কিছু করতে পারে না তখনই তারা এটাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি এক অভিনেত্রীকে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যেটা আমাদের সমাজের জন্য খুবই উদ্বেগজনক।
গবেষক অধ্যাপক আফসান চৌধুরী বলেন, মানুষের মুখে মুখে যে কথাটা ছড়ায় সেটা যখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সেটাকেই তখন গুজব বলে। গুজবকে মানুষ সবসময় গুজব হিসেবেই দেখে। মানুষ হিসেবে গুজব যারা বিশ্বাস করার তারা করবেই। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করে কেউ তার মতামত প্রকাশ করলে গুজবতো হবেই। তাই কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের আগে সেটা মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলোতে যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে তারা কি বলে। তবে, না জেনে কিছু করাটা বাঙালির স্বভাব। আমরা কি খুব একটা তথ্যভিত্তিক। আমরাতো তথ্য জানতেই চাই না। তথ্য নিয়ে আমাদের অস্বস্তি আছে।
সেই কারণেই তথ্যের চেয়ে যেটা আমরা শুনতে চাই বা জানতে চাই ওইটার দিকে আমাদের আগ্রহ বেশি। এক্ষেত্রে সরকার যখন ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিল তখনো কিন্তু গুজব থেমে থাকেনি। অর্থাৎ এটা কোনো না কোনোভাবে হবেই। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে মোবাইল ফোন। এটাকে ভালো মন্দ দুটো কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজেই আমাদের দেশের মানুষের যে পরিপক্বতার দরকার সেটা নাই। গণমাধ্যম, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সাধারণ জনগণ কোনোটারই পরিপক্বতা নেই। একইসঙ্গে ফেসবুকে যারা আছে তারাও অপরিপক্ব। তাই এই অপরিপক্বতা দূর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নিয়ন্ত্রণ তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, একটা দেশের ক্রাইসিস মোমেন্টে গুজব ছড়ানোটা খুব একটা আশ্চর্যজনক কিছু না। গুজব সবসময়ই অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল বয়ে নিয়ে আসে। অতীত ইতিহাসে দেখা গেছে ক্রাইসিস মোমেন্টে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। দেশে এখন একটা কনফ্লিক্ট চলছে তাই গুজবের বিষয়টা এত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। আরেকটা দিক হলে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার কাভারেজটা আমরা ওভাবে পাচ্ছি না বলেই গুজব জায়গা করে নিচ্ছে।
কারণ গণমাধ্যম চাইলেও অনেক কিছুই কাভার করতে পারছে না। ক্রাইসিস মোমেন্টে টেলিভিশনের লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই গুজবের সম্ভাবনা খুব বেড়ে যাচ্ছে। মিডিয়া যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তাহলে গুজবের সংখ্যা কমে আসবে। একইসঙ্গে কোনো বিষয়ে না বুঝে শুনে হুটহাট নিউজ শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনতে পারে। নিউজ শেয়ার করার আগে এটা কোন মিডিয়ার, তাদের ব্রান্ডের নাম কি, এটা কি প্রথম দেখলাম। না কি আগেও অনেকবার দেখেছি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ফেসবুক হচ্ছে নতুন একটি প্রযুক্তি। যার সঠিক ব্যবহার আমরা শিখিনি। এখানে চাইলেই ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার দিতে পারছি। কোনো নিউজফিড চেক বা ক্রস চেক করছি না। বা প্রয়োজন মনে করছি না। সচেতনতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মানুষ অনেক বেশি গুজবমুখী হবে। প্রযুক্তির প্রতি ধারণা এবং অন্যকে সম্মান করার যথযথ শিক্ষা নেই বলে আমরা খুব সহজেই যেকোনো একটা মেয়ের ছবি কিংবা মিথ্যা তথ্য ভাইরাল করে দিতে পারি। শুধুমাত্র অ্যাথিকাল স্টান্ডার্ডের অভাবে এ কাজ করা হয়।
এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা এবং একটি রুচিবোধ তৈরি করা। কাউকে আঘাত বা ছোট না করা। একটা গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজ নির্মাণ করতে পারিনি বলেই এসব তৈরি হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলোতে গুজবের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে দায়িত্বশীল ব্যবহারটা অনেক বেশি। আর একটি বিষয় হচ্ছে একটা তথ্য যখন আটকে দেয়া হবে তখনই কিন্তু গুজব তৈরি হবে।
বাংলাদেশের অনেক ঘটনার আসল তথ্য এখনো আমরা জানি না। তাই অতীতে এক সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ বলবে আড়াই হাজার কেউ ৫শ’ কেউবা বলবে ৪০ জন। আসলে কোনটা মানুষ বিশ্বাস করবে। আমরা হচ্ছি গুজব তথ্যপরায়ণ। আঙ্গুর গাছের লতায় পাতায় কোনটা আগা কোনটা মাথা সেটা খুঁজে পাওয়া যায় না। গুজবও ঠিক এভাবেই ছড়ায়। এ ছাড়া গুজব ঠিক তখনই হবে যখন সঠিক তথ্যদাতা মিডিয়ার উপর বাধাবাধ্যকতা সৃষ্টি করা হবে। ফলে ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে তখন গুজব তৈরির ক্ষেত্র বা জায়গা তৈরি হয়। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া বা গণমাধ্যমগুলো যদি স্বাধীনভাবে চর্চা করতে পারে তাহলে কিন্তু গুজবের জায়গাটা থাকে না। এক্ষেত্রে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি বরাবরই মানুষের টানটা বেশি থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গুজব সবসময়ই একটি সমস্যা। যেটা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি হয়। এক্ষেত্রে যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের অনেক বেশি দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে। এখানে নানা রকম মতামত আসবে। সব মতামতকে আমরা গ্রহণ করব না। কোনো একটা তথ্য পাওয়ার পর সেটাকে যাচাই বাছাই না করে বিশ্বাস করা যাবে না। এক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমে যখন কোনো সমস্যা হবে তখনই মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে গুজব ছড়াবে এবং যারা এই গুজব ছড়াচ্ছে তারা এটা নিজেদের স্বার্থেই করবে জনস্বার্থে নয়। এ ছাড়া গুজবকারীরা সুযোগ পেলে মেইনস্ট্রিম ও সোশ্যাল মিডিয়া সব ক্ষেত্রেই এটা করবে। এগুলো তাদের রুচির বহিঃপ্রকাশ। তবে, গুজবের কার্যকারিতা বা প্রভাব বেশিক্ষণ থাকে না। এটা তৎক্ষণিকভাবে একটি প্রভাব সৃষ্টি করে।
সমাজবিজ্ঞানী নেহাল করিম বলেন, পৃথিবীতে প্রত্যেক সমাজে কিছু সুবিধাভোগী শ্রেণি আছে। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই যে গুজব ছড়াচ্ছে তারা হচ্ছেন সেই সুবিধাভোগী। যারা গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতিকে আরো বেশি অস্থিতিশীল ও জট পাকানোর চেষ্টা করে। এদের আমরা স্বার্থান্বেষী মহলও বলতে পারি। এই মহল গুজবগুলো ছড়াচ্ছে যাতে তারা বেনিফিটেড হয়। এককভাবে যখন কিছু করতে পারে না তখনই তারা এটাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি এক অভিনেত্রীকে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যেটা আমাদের সমাজের জন্য খুবই উদ্বেগজনক।
গবেষক অধ্যাপক আফসান চৌধুরী বলেন, মানুষের মুখে মুখে যে কথাটা ছড়ায় সেটা যখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সেটাকেই তখন গুজব বলে। গুজবকে মানুষ সবসময় গুজব হিসেবেই দেখে। মানুষ হিসেবে গুজব যারা বিশ্বাস করার তারা করবেই। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করে কেউ তার মতামত প্রকাশ করলে গুজবতো হবেই। তাই কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের আগে সেটা মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলোতে যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে তারা কি বলে। তবে, না জেনে কিছু করাটা বাঙালির স্বভাব। আমরা কি খুব একটা তথ্যভিত্তিক। আমরাতো তথ্য জানতেই চাই না। তথ্য নিয়ে আমাদের অস্বস্তি আছে।
সেই কারণেই তথ্যের চেয়ে যেটা আমরা শুনতে চাই বা জানতে চাই ওইটার দিকে আমাদের আগ্রহ বেশি। এক্ষেত্রে সরকার যখন ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিল তখনো কিন্তু গুজব থেমে থাকেনি। অর্থাৎ এটা কোনো না কোনোভাবে হবেই। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে মোবাইল ফোন। এটাকে ভালো মন্দ দুটো কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজেই আমাদের দেশের মানুষের যে পরিপক্বতার দরকার সেটা নাই। গণমাধ্যম, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সাধারণ জনগণ কোনোটারই পরিপক্বতা নেই। একইসঙ্গে ফেসবুকে যারা আছে তারাও অপরিপক্ব। তাই এই অপরিপক্বতা দূর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নিয়ন্ত্রণ তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, একটা দেশের ক্রাইসিস মোমেন্টে গুজব ছড়ানোটা খুব একটা আশ্চর্যজনক কিছু না। গুজব সবসময়ই অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল বয়ে নিয়ে আসে। অতীত ইতিহাসে দেখা গেছে ক্রাইসিস মোমেন্টে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। দেশে এখন একটা কনফ্লিক্ট চলছে তাই গুজবের বিষয়টা এত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। আরেকটা দিক হলে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার কাভারেজটা আমরা ওভাবে পাচ্ছি না বলেই গুজব জায়গা করে নিচ্ছে।
কারণ গণমাধ্যম চাইলেও অনেক কিছুই কাভার করতে পারছে না। ক্রাইসিস মোমেন্টে টেলিভিশনের লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই গুজবের সম্ভাবনা খুব বেড়ে যাচ্ছে। মিডিয়া যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তাহলে গুজবের সংখ্যা কমে আসবে। একইসঙ্গে কোনো বিষয়ে না বুঝে শুনে হুটহাট নিউজ শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনতে পারে। নিউজ শেয়ার করার আগে এটা কোন মিডিয়ার, তাদের ব্রান্ডের নাম কি, এটা কি প্রথম দেখলাম। না কি আগেও অনেকবার দেখেছি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
No comments