ভিডিও ক্লিপ নিয়ে সরগরম বৃটেন
রগরগে
একটি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে এবার বৃটেনের রাজনীতি গরম হয়ে উঠেছে। ওই ভিডিও
ক্লিপটি বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও পরিবেশ, খাদ্য ও শহর উন্নয়ন
বিষয় মন্ত্রী মাইকেল গভ সহ মন্ত্রীপরিষদের অনেক সদস্য ব্যবহার করেন
হোয়াটঅ্যাপেরা এমন একটি গ্রুপে গোপনে পোস্ট করে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন । কিন্তু
সেই ভিডিও ক্লিপটি গোপনে হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করেছেন ক্ষমতাসীন দলের একজন
এমপি অ্যানড্রু বাইজেন। ফলে এ নিয়ে গরম বিতর্ক চলছে। বলা হচ্ছে, ওই ভিডিও
ক্লিপে খুব কাছ থেকে একজন নারীর শরীরের আপত্তিকর অঙ্গগুলো দেখানো হয়। তিনি
যখন একটি স্পোর্টস কারের পাশে একজন যুবককে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন তখন এসব
দেখানো হয়। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হওয়ার পর অ্যানড্র্রু ব্রাইজেন
বলেছেন, কমপিউটারে কি-বোর্ডে ভুল করে চাপ লেগে এটা পোস্ট হয়ে গেছে। এমনটা
হয়ে গেছে দুর্ঘটনাক্রমে। তবে তাতে তাকে কেউ ছেড়ে কথা বলছেন না। তার
বিরুদ্ধে নিন্দা জানাচ্ছেন নারী-পুরুষ মন্ত্রী ও এমপিরা। জ্বালানি বিষয়ক
মন্ত্রী ক্লেয়ার পেরি বলেছেন, এমন ছবি পোস্ট করা একেবারেই অনভিপ্রেত। কারণ,
তার ১৬ বছর বয়সী ছেলে এই ছবি দেখতে পেয়েছে। পেরি যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার
করেন তা চেক করতে গিয়ে তার ছেলে দেখে ফেলেছে এই ছবি। তিনি এমন অভিযোগ করার
পর উল্টো তাকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন অ্যানড্র্রু ব্রাইজেন। তিনি বলেছেন,
মিস পেরির ছেলে ওই ক্লিপ দেখে ফেলেছেন বলে যে কথা বলেছেন, তা খুবই হাস্যকর।
কারণ, তিনি এটা তার ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কেলম্সফোর্ডের
কনজার্ভেটিভ দলের এমপি ভিকি ফোর্ডও সমালোচনা করেছেন অ্যানড্র্রু
ব্রাইজেনের। বলেছেন, নিজের আচরণ নিয়ে খুব বেশি ভাবতে হবে অ্যানড্র্রু
ব্রাইজেনকে। তাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী অ্যানড্রু
গ্রিফিথস। একজন এমপি বলেছেন, যখন আমার মোবাইল ফোনে এই ছবি দেখতে পেয়েছি
ভেবেছিলাম এটা কোনো সফট পর্নো ছবি ছিল।
No comments