কিডনি ভালো রাখে যেসব খাবার
শরীরকে
সচল ও রোগমুক্ত রাখতে সবচেয়ে দরকারি অঙ্গের অন্যতম হলো কিডনি। আমাদের
শরীরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদান ও বর্জ্য পদার্থকে বের করে দেয়ার কাজটি করে
এই অঙ্গটি। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং আরো নানা
কাজে কিডনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন শরীর থেকে
টক্সিক উপাদান বেরিয়ে না গেলে কী হতে পারে?
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে
শরীরের অন্দরে বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকলে টক্সিসিটিও বাড়তে থাকে। ফলে নানা
অঙ্গের এত মাত্রায় ক্ষতি হয় যে নানাবিধ রোগ একে একে ঘারে চেপে এসে বসে।
এবার বুঝেছেন তো আমাদের সুস্থ রাখতে কিডনি কতটা সাহায্য করে থাকে। তবে
এখানেই শেষ নয়, শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ, ইউরিয়া ও নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ
বর্জ্য বের করে দিতেও কিডনি বিশেষ পালন করে থাকে। বর্জ্য পদার্থকে বের করে
দেয়ার পাশাপাশি কিডনি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। কী সেই কাজ?
রক্তচাপ যাতে কোনোভাবে বেড়ে বা কমে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে কিডনি। আর
কীভাবে এই কাজটি সম্পন্ন হয়? প্রতি মুহূর্তে এই অঙ্গটি রক্তকে ফিল্টার
করতে থাকে। এই সময় অ্যাঞ্জিওটেনসিন নামক প্রোটিনের উৎপাদন বেড়ে যায়, যা
ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং আরো নানা কারণে
আমাদের দেশের যুব সমাজের মধ্যে বাড়ছে কিডনি রোগ আক্রান্ত হওযার প্রবণতা।
এমন পরিস্থিতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিকে বাঁচাতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন
আনা যেমন জরুরি, তেমনি রোজের ডায়েটে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলোর
অন্তর্ভুক্তিও মাস্ট! বিশেষ কিছু খাবারের সঙ্গে কিডনির ভালো-মন্দের কী
সম্পর্ক? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শরীররে অন্দরে
এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা কিডনির কোনো ধরনের ক্ষতি
হওয়ার আশঙ্কা তো কমায়ই, সেই সঙ্গে কিডনি ফাংশেনর এত মাত্রায় উন্নতি ঘটায়
যে রোগভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। যে যে খাবার কিডনি ফাংশন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলো হলো...
১. চেরি : এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট, ভিটামিন বি৬ ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর কিডনি ফাংশানের মারাত্মক উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে শুরু করে। আর যত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে, তত অর্থ্রাটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরের সচলতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কমতে থাকে।
২. ক্র্যানবেরি : চেরির মতো এই ফলটিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম। আর যেমনটা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন যে এই দুটি উপাদান কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো নিয়মিত অল্প করে চেরি খাওয়া শুরু করলে কিডনির কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. দারচিনি : রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে কোনও ভাবে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সেই সঙ্গে কিডনি ফাংশনারেও উন্নতি ঘটায়।
গত কয়েক দশকে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচতে দারচিনি খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
৪. অলিভ অয়েল : সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে এই তেলটির অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে যারা ইতিমধ্যেই ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত, তাদের সুস্থ করে তুলতেও এই তেলটি সাহায্য করে থাকে।
৫. পেঁয়াজ ও রসুন : শুনতে অবাক লাগলেও বেশ কিছু গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে এই দুটি সবজি বাস্তবিকই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে পিঁয়াজ এবং রসুনের মধ্যে কুয়েরসেটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা কিডনিকে নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ কিডনি ডিজিজকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. বিনস : আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমানোর পাশাপাশি শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বাদামজাতীয় খাবার।, বিশেষত কিডনি বিনস বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এত দূষণ ও ভেজাল খাবারের রমরমার মাঝেও যদি কিডনিকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে প্রতিদিনকার ডায়েট থেকে বাদাম বাদ বাদ দেবেন না যেন!
১. চেরি : এই ফলটিতে উপস্থিত ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট, ভিটামিন বি৬ ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর কিডনি ফাংশানের মারাত্মক উন্নতি ঘটায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে শুরু করে। আর যত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে, তত অর্থ্রাটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরের সচলতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কমতে থাকে।
২. ক্র্যানবেরি : চেরির মতো এই ফলটিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম। আর যেমনটা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন যে এই দুটি উপাদান কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো নিয়মিত অল্প করে চেরি খাওয়া শুরু করলে কিডনির কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. দারচিনি : রক্তে শর্করার মাত্রা যাতে কোনও ভাবে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সেই সঙ্গে কিডনি ফাংশনারেও উন্নতি ঘটায়।
গত কয়েক দশকে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচতে দারচিনি খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
৪. অলিভ অয়েল : সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে এই তেলটির অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে যারা ইতিমধ্যেই ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত, তাদের সুস্থ করে তুলতেও এই তেলটি সাহায্য করে থাকে।
৫. পেঁয়াজ ও রসুন : শুনতে অবাক লাগলেও বেশ কিছু গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে এই দুটি সবজি বাস্তবিকই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে পিঁয়াজ এবং রসুনের মধ্যে কুয়েরসেটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা কিডনিকে নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ কিডনি ডিজিজকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. বিনস : আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমানোর পাশাপাশি শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বাদামজাতীয় খাবার।, বিশেষত কিডনি বিনস বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এত দূষণ ও ভেজাল খাবারের রমরমার মাঝেও যদি কিডনিকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে প্রতিদিনকার ডায়েট থেকে বাদাম বাদ বাদ দেবেন না যেন!
No comments