একটুও হাত কাঁপলো না বিশ্বনাথের হেলালের
হাত
কাঁপলো না হেলাল মিয়ার। মন গলেনি একটুও। দিন-দুপুরে স্ত্রীকে ঘর থেকে
ডেকে নিয়ে গলায় ছুরি চালিয়েছে সে। আর এতে কেটে যায় হেলালের স্ত্রী লুবনার
গলা। ছটফট করতে করতে লুবনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। রক্তাক্ত চাকু নিয়েই সবার
সামনে দিয়ে পালিয়ে যায় হেলাল মিয়া।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লুবনার দুই অবুঝ সন্তান কাঁদছে মায়ের জন্য। সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই কারও। বিশ্বনাথের জানাই গ্রামের মৃত জহুর আলীর পুত্র হেলাল মিয়া। আর দেওকলস ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের ওয়াহিদ আলীর মেয়ে লুবনা বেগম। প্রায় ১০ বছর আগে হেলালের সঙ্গে বিয়ে হয় লুবনার। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। এর মধ্যে তাদের সংসারে দুটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। বড় ছেলে আল আমীনের বয়স ৯ বছর। আর ছোট মেয়ে নাজিফার বয়স সাড়ে ৩ বছর। গত ক’মাস ধরে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে লুবনাকে নিয়ে পিতার ঘর থেকে বের হয়ে যায় হেলাল মিয়া। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতে থাকে আত্মীয় স্বজন ও শ্বশুরের বাড়িতে। কয়েক মাস মামার বাড়িতেও বসবাস করেছে। পরিবারের লোকজন জানান- বৃহস্পতিবার দুপুরে হেলাল মিয়া পৈতৃক বাড়িতে আসেন। এরপর চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বসে স্ত্রীকে ফোন করে আসতে বলে। স্বামীর ফোন পেয়ে মা-ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলালের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে আসেন লুবনা বেগম। কথা বলার এক পর্যায়ে হেলাল লুবনাকে চাচাতো ভাইয়ের গরুর ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-মুখ বেঁধে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় লুবনাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত জানিয়েছেন- লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লুবনার দুই অবুঝ সন্তান কাঁদছে মায়ের জন্য। সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই কারও। বিশ্বনাথের জানাই গ্রামের মৃত জহুর আলীর পুত্র হেলাল মিয়া। আর দেওকলস ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের ওয়াহিদ আলীর মেয়ে লুবনা বেগম। প্রায় ১০ বছর আগে হেলালের সঙ্গে বিয়ে হয় লুবনার। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। এর মধ্যে তাদের সংসারে দুটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। বড় ছেলে আল আমীনের বয়স ৯ বছর। আর ছোট মেয়ে নাজিফার বয়স সাড়ে ৩ বছর। গত ক’মাস ধরে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে লুবনাকে নিয়ে পিতার ঘর থেকে বের হয়ে যায় হেলাল মিয়া। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতে থাকে আত্মীয় স্বজন ও শ্বশুরের বাড়িতে। কয়েক মাস মামার বাড়িতেও বসবাস করেছে। পরিবারের লোকজন জানান- বৃহস্পতিবার দুপুরে হেলাল মিয়া পৈতৃক বাড়িতে আসেন। এরপর চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বসে স্ত্রীকে ফোন করে আসতে বলে। স্বামীর ফোন পেয়ে মা-ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলালের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে আসেন লুবনা বেগম। কথা বলার এক পর্যায়ে হেলাল লুবনাকে চাচাতো ভাইয়ের গরুর ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-মুখ বেঁধে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় লুবনাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত জানিয়েছেন- লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
No comments