পুলিশকে মাথায় আঘাত করে কাভার্ডভ্যান থেকে ফেলে হত্যা
উল্টোপথে যাওয়ার সময় কাভার্ডভ্যানকে থামাতে গিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় দায়িত্বরত সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে পুলিশের সদস্য সাদ্দাম হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তার মাথায় আঘাত করে কাভার্ডভ্যান থেকে ফেলে দেয় চালক। এতে আহত সাদ্দামের মৃত্যু হয়। কাভার্ডভ্যানসহ চালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন (২৬) ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ঘোয়ারী এলাকার আবদুস সালামের ছেলে। তিনি ২-৩ মাস আগে সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানায় কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন। হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন দুপুরে চন্দ্রা এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান সড়কে উল্টোপথে যাওয়ার সময় ওই সাদ্দাম কভার্ডভ্যানটি থামার জন্য সিগন্যাল দেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের চালক তার গাড়িটি সামান্য গতিরোধ করে। পুলিশ সদস্য দৌড়ে গেলে চালক কাভার্ডভ্যানটি দ্রুত চালাতে শুরু করে। এরই মধ্যে পুলিশ সদস্য ওই কাভার্ডভ্যানের হাতল ধরে ফেলে।
চালক দরজা না খোলায় সাদ্দাম চলন্ত গাড়ির হাতল ধরে থাকে আর চালক গাড়ি চালিয়ে যায়। গাড়িটি তাকে বেশ কিছুদূর টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। এক সময় সাদ্দাম কাভার্ডভ্যানের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় চালক তাকে মাথায় আঘাত করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে ঘাতক কাভার্ডভ্যানটির পিছু নিয়ে ঘটনাস্থলের একটু দূরে গিয়ে কাভার্ডভ্যানসহ চালক ইউসুফকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে কাভার্ডভ্যানসহ চালককে সালনা-কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার ওসি হোসেন সরকার বলেন, মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে উল্টোপথে আসা একটি কাভার্ডভ্যানকে থামানোর চেষ্টাকালে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম নিহত হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। ঘাতক কাভার্ডভ্যানের চালক ও কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
No comments