সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি ভারতীয় গোয়েন্দারা
জেএমবি নেতা সোহেল মাহফুজকে ভারতের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। বুধবার সকালে ডিএমপি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দারা সোহেল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। তবে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল হলি আর্টিজান হামলায় জড়িত ছিল বলে তথ্য দিয়েছে। এই মামলার অভিযোগপত্র শিগগিরই দেয়া হবে। ইতিমধ্যে এ মামলা-সংশ্লিষ্ট ফরেনসিক প্রতিবেদন পুলিশের হাতে পৌঁছেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ নিয়ে সোহেল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাক্সফোর্স (এসটিএফ) ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তাদের। এর আগে গত ৭ জুলাই রাতে শিবগঞ্জের পুস্কনি এলাকার একটি আমবাগান থেকে সোহেল মাহফুজ ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেন, সোহেলকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক তছনছ হয়ে গেল। তিনি জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোরের জঙ্গি আস্তানায় সোহেলের যাতায়াত ছিল। সে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করতো। বোমা বানাতেও পারদর্শী সে। সোহেল মাহফুজের সঙ্গে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মূলত জঙ্গিদের বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট দিয়ে থাকে। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবি নেতা মাহফুজ সোহেল জেএমবির ভারতীয় শাখার প্রথম আমির ও খাগড়াগড় বোমা হামলার অন্যতম আসামি। সোহেলকে ধরিয়ে দিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বলেও জানান তিনি। গ্রেফতার হওয়া সোহেলের অন্য তিন সহযোগীর মধ্যে রয়েছেন- নব্য জেএমবির প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ, অস্ত্র সরবরাহকারী জুয়েল রানা এবং নব্য জেএমবির রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলার সমন্বয়কারী জামাল হোসেন।
No comments