ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
ইরানের ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অন্তত ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও আঞ্চলিক উত্তেজনা উসকে দেয়ার কারণে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আরও বলেছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানের সামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গে ড্রোন ও সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। খবর আলজাজিরার। নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জারিফ বলেছেন, নিজ আরোপিত নিষেধাজ্ঞার হাতে বন্দি হয়ে পড়বে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতি খতিয়ে দেখার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ কথা বলেন তিনি। নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রবিষয়ক পরিষদের সভাপতি রিচার্ড হ্যাসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, অন্য দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সাধারণভাবে কোনো ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশা করা যায় না। নিষেধাজ্ঞা আরোপের চলমান নীতি পরিবর্তন না করলে অচিরেই আমেরিকা নিজ আরোপিত নিষেধাজ্ঞার হাতে বন্দি হয়ে পড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর আগের দিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পরমাণু সমঝোতা মেনে চলছে ইরান। সোমবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়। এর মধ্য দিয়ে গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করল, বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে নিজেদের পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে ইরান। গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইরানের সঙ্গে এ পরমাণু সমঝোতা চুক্তিকে ‘এ যাবৎকালের সবচেয়ে বাজে চুক্তি’ বলে সমালোচনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় গেলে এ চুক্তি বাতিল করবেন বলে হুশিয়ারিও দেন তিনি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এ সমঝোতায় সই করে ইরান এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর সদস্য আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি। মার্কিন আইন অনুযায়ী, প্রতি ৯০ দিন পরপর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কংগ্রেসের কাছে ইরানের সমঝোতা মেনে চলার বিষয়টি অবশ্যই অবহিত করতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য গত সোমবার ছিল কংগ্রেসকে অবহিত করার শেষ দিন।
No comments