মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে সেমিতে রহমতগঞ্জ
শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনী এবং ঢাকা আবাহনীর সঙ্গী হল রহমতগঞ্জ। অবাক হলেও সত্যি যে, তিন বড় ক্লাবের সঙ্গে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল খেলবে পুরান ঢাকার দলটি। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জ ৩-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে বিদায় করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে খেলবে রহমতগঞ্জ। ঘরোয়া আসরে বড় দলগুলোকে হারিয়ে আগেই ‘জায়ান্ট কিলার’ তকমা অর্জন করেছে রহমতগঞ্জ। বড় ম্যাচের চাপও এখন তাদের গাঁসওয়া। তার প্রমাণ পেতে খুব বেশি দূর যেতে হবে না। ফেডারেশন কাপের গ্রুপপর্বে বিজেএমসি’কে ০-৩ গোলে হারানো এবং ব্রাদার্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করাই প্রমাণ করে রহমতগঞ্জের সক্ষমতা। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে মুক্তিযোদ্ধাকে নাকানি-চুবানি খাওয়াটাও প্রমাণ করে কতটা বিধ্বংসী কামাল বাবুর শিষ্যরা। শক্তির বিচারে এগিয়ে থেকেও ম্যাচের প্রথমার্ধে রহমতগঞ্জের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা রহমতগঞ্জ ৩২ মিনিটে এগিয়ে যায়।
বক্সের ভেতর থেকে ডান-পায়ের উঁচু শটে গোল করেন রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার স্মরণ হাওলাদার (১-০)। এরপরে অধিক গোল হজমের শঙ্কায় নিজেদের রক্ষণদুর্গ সামলে নেয় মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি। রহমতগঞ্জের একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। ৫৯ মিনিটে কর্নার থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়ে হেড নেন রহমতগঞ্জের ইসমাইল বাঙ্গুরা। গোলকিপার সামনে এগিয়েও আসেন। অরক্ষিত গোলপোস্টেই শট নেন বাঙ্গুরা। কিন্তু দুর্দান্তভাবে বল সরিয়ে দলকে নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন মুক্তির ডিফেন্ডার তানভীর রানা। ৬৩ মিনিটে রহমতগঞ্জের দ্বিতীয় গোলের পেছনের কারিগরও ছিলেন স্মরণ হাওলাদার। তার বাড়িয়ে দেয়া বল থেকেই দু’ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে ডান-পায়ের কোনাকোনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন রহমতগঞ্জের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা (২-০)। ৬৯ মিনিটে মুক্তির জালে আরও একবার বল জড়ায় জায়ান্ট কিলাররা। জটলার মধ্য থেকে জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেই স্মরণ হাওলাদার (৩-০)। ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় গোল। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে এক গোল শোধ দেন মুক্তিযোদ্ধার মতিউর রহমান (৩-১)। এই সান্ত্বনার গোল নিয়েই হারের ব্যবধান কমায় মুক্তিযোদ্ধা।
No comments