ম্যাক্রোঁর হ্যান্ডশেকে কাবু ট্রাম্প
প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে হাত মেলাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কূটনৈতিক শিষ্টাচার লংঘন করে হোয়াইট হাউসে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গেও করমর্দন এড়িয়ে গেছেন তিনি। এ নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা কম হয়নি। অপরদিকে তার বিপরীত চিত্রও কিন্তু রয়েছে। বলা হয়, ট্রাম্প একবার হাত ধরলে তাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন। তবে ট্রাম্পের এ অভ্যাস সম্পর্কে সম্ভবত আগে থেকেই সচেতন ছিলেন ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কৌশলটা বুঝে নিয়ে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই একহাত নিলেন তিনি। এএফপি জানায়, বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত উত্তর আমেরিকা নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক বৈঠকে হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ট্রাম্প। মনে হচ্ছিল ম্যাক্রোঁর চোখের জল বের করে ছাড়বেন এমন প্রত্যাশা নিয়েই হ্যান্ডশেক শুরু করেন ট্রাম্প। কিন্তু ফল হল উল্টো।
ম্যাক্রোঁই শক্ত করে চাপ দিলেন ট্রাম্পের হাতে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের তরুণ পেশির কাছে হার মানল ট্রাম্পের ‘ত্রাস সৃষ্টিকারী হাত’। অবস্থা সঙ্গীন হলে হাত ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। কিন্তু তখনও চোয়াল শক্ত করে ট্রাম্পের হাত শক্ত করে ধরে বসে আছেন ম্যাক্রোঁ। শেষ পর্যায়ে মুখ লাল হয়ে যাওয়ার পর মুক্তি মিলল ট্রাম্পের। রয়টার্সের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি স্টিভ ওঁলাদ বলেন, ট্রাম্প ও ম্যাক্রোঁ হ্যান্ডশেক শুরু করার পর মনে হচ্ছিল যেন ট্রাম্প হাত ছাড়িয়ে নিতে চাচ্ছেন। এদিকে ন্যাটো সম্মেলন শুরুর দিনে জোটটির নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে যান ম্যাক্রোঁ। সেখানে ট্রাম্পের বিধ্বংসী হ্যান্ডশেকের কবলে পড়েন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে ম্যাক্রোঁর হাত ধরে টানাটানি করেন ট্রাম্প। একপর্যায়ে জোর করে হাত ছাড়িয়ে নেন ম্যাক্রোঁ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবার আগের ঘটনার প্রতিশোধ নিলেন কিনা কে জানে? কেউ বলছেন, আঁতে ঘা লাগতেই এমন কাণ্ড। অনেকে আবার দিন কয়েক আগেকার পুরনো কাসুন্দি ঘাটছেন। প্রথমে ইসরাইল আর পরেরটা রোমে।
No comments