সময় যাচ্ছে, খরচ ও দুর্ভোগ বাড়ছে by শরিফুল হাসান
এই
মুহূর্তে রাজধানীবাসীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের নাম নির্মাণাধীন
মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার। ২০১৪ সালের মধ্যে এই ফ্লাইওভারের কাজ
শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। এর পরে সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১৫ সালের ৩১
ডিসেম্বর। এবারও কাজ শেষ হয়নি। তবে ইতিমধ্যে খরচ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। আর
দুর্ভোগ বেড়েছে ‘শত গুণ’। কবে নাগাদ এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হবে, তা-ও
নিশ্চত করে কেউ বলছেন না।
প্রধানমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণের মেয়রসহ সরকারের অনেক নীতিনির্ধারক এই ফ্লাইওভারের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফ্লাইওভারের দুটি অংশের কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হওয়ার সময় বলা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর।
সর্বশেষ আলোচনায় এসেছে ফ্লাইওভারের নকশার ত্রুটি। তবে এর জন্য কার কী দায়, তা নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। এই ফ্লাইওভারটি ঢাকার যানজট কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে—এমন আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এসব সমস্যা মানতে নারাজ তদারকি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভারটির কাজ হচ্ছে তিন ভাগে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত অংশের কাজ ৯০ শতাংশ, ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত অংশের কাজ ৮৫ শতাংশ এবং রামপুরা থেকে মালিবাগ-মৌচাক হয়ে রাজারবাগ-শান্তিনগরের কাজের মাত্র ৪৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে শেষের দুই অংশের কাজ করছে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। অভিযোগ উঠেছে, তাদের কারণেই কাজ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে।
কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি এবং ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত কাজটি শেষ করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই তাদের কাজটি শেষ করতে হবে। তবে রামপুরা থেকে মালিবাগ-মৌচাক হয়ে রাজারবাগ-শান্তিনগরের কাজটি শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।
প্রধানমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণের মেয়রসহ সরকারের অনেক নীতিনির্ধারক এই ফ্লাইওভারের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফ্লাইওভারের দুটি অংশের কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হওয়ার সময় বলা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর।
সর্বশেষ আলোচনায় এসেছে ফ্লাইওভারের নকশার ত্রুটি। তবে এর জন্য কার কী দায়, তা নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। এই ফ্লাইওভারটি ঢাকার যানজট কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে—এমন আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এসব সমস্যা মানতে নারাজ তদারকি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভারটির কাজ হচ্ছে তিন ভাগে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত অংশের কাজ ৯০ শতাংশ, ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত অংশের কাজ ৮৫ শতাংশ এবং রামপুরা থেকে মালিবাগ-মৌচাক হয়ে রাজারবাগ-শান্তিনগরের কাজের মাত্র ৪৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে শেষের দুই অংশের কাজ করছে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। অভিযোগ উঠেছে, তাদের কারণেই কাজ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে।
কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি এবং ইস্কাটন থেকে মৌচাক পর্যন্ত কাজটি শেষ করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই তাদের কাজটি শেষ করতে হবে। তবে রামপুরা থেকে মালিবাগ-মৌচাক হয়ে রাজারবাগ-শান্তিনগরের কাজটি শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।
মগবাজার-মৌচাক উড়ালসড়কের মালিবাগ-রাজারবাগ-শান্তিনগর অংশের অধিকাংশ পিলারই এখনো মাটি ফুঁড়ে দাঁড়ায়নি। ছবিটি মালিবাগ মোড় থেকে তোলা |
সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি, ৯০ ভাগ কাজ শেষ:
তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে মগবাজার হয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত
অংশের (প্যাকেজ নং ডব্লিউ-০৪) কাজটি যৌথভাবে পেয়েছে সিমপ্লেক্স-নাভানা।
ফ্লাইওভারের এই অংশের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ১১ কিলোমিটার। খরচ ২১২ কোটি টাকা।
প্রথম দফায় ২০১৪ সালে এবং পরে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা
থাকলেও হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতরাস্তার ৬৯ নম্বর পিলারের কাছে ঢালাই চলছে। সাতরাস্তা ধরে হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত সবগুলো পিলার নির্মাণ, ঢাল বসানো হয়ে গেছে। এই কাজের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
তবে ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বলেছেন, ‘এই অংশের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। ২৬ মার্চের আগেই এটা উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।’
ইস্কাটন থেকে মৌচাক, দুর্ভোগের শেষ নেই: ফ্লাইওভারের বাংলামোটরের ইস্কাটন থেকে মগবাজার মোড় হয়ে মৌচাক পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারের ২০০ কোটি টাকার কাজটি যৌথভাবে পায় চীনা কোম্পানি এমসিসিসি-এসইএল-ইউডিসি। তবে উপঠিকাদার হিসেবে কাজটি করছে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর এবং পরে গত বছরের ডিসেম্বরের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। প্রকল্প পরিচালক গতকাল জানালেন, ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলামোটর অংশের ২৪০ থেকে ২৪৪ নম্বর পর্যন্ত পিলারের ঢাল এখনো বসেনি। ২১৩ নম্বর পিলারের সামনে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এখানে ফ্লাইওভারের নিচে কাঁচাবাজার বসে গেছে। বাংলামোটরের মোটর পার্টস ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘চার বছর ধরে কাজ হচ্ছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। আল্লাহই জানে কবে কাজ শেষ হবে, কবে আমরা শান্তি পাব।’
ফ্লাইওভারের মগবাজার মোড় পেরিয়ে মৌচাকের দিকে যেতে আড়ংয়ের আগে রাস্তার বেহাল দশা। এখানে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। শীতের মধ্যেও এই রাস্তায় কাদাপানি। ২০২ থেকে ২০৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত একই দশা। এখানে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের চালক মতিন সরকার বলেন, ‘ইস্কাটনের স্কুল থেকে স্যারের মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন মৌচাক যাই। এত কষ্ট হয়, মনে হয় গাড়ি চালানো বাদ দিয়ে দিই।’ পাশ থেকে কয়েকজন রিকশাওয়ালাও এ সময় ফ্লাইওভারের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতরাস্তার ৬৯ নম্বর পিলারের কাছে ঢালাই চলছে। সাতরাস্তা ধরে হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত সবগুলো পিলার নির্মাণ, ঢাল বসানো হয়ে গেছে। এই কাজের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
তবে ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বলেছেন, ‘এই অংশের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। ২৬ মার্চের আগেই এটা উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।’
ইস্কাটন থেকে মৌচাক, দুর্ভোগের শেষ নেই: ফ্লাইওভারের বাংলামোটরের ইস্কাটন থেকে মগবাজার মোড় হয়ে মৌচাক পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারের ২০০ কোটি টাকার কাজটি যৌথভাবে পায় চীনা কোম্পানি এমসিসিসি-এসইএল-ইউডিসি। তবে উপঠিকাদার হিসেবে কাজটি করছে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর এবং পরে গত বছরের ডিসেম্বরের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। প্রকল্প পরিচালক গতকাল জানালেন, ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলামোটর অংশের ২৪০ থেকে ২৪৪ নম্বর পর্যন্ত পিলারের ঢাল এখনো বসেনি। ২১৩ নম্বর পিলারের সামনে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এখানে ফ্লাইওভারের নিচে কাঁচাবাজার বসে গেছে। বাংলামোটরের মোটর পার্টস ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘চার বছর ধরে কাজ হচ্ছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। আল্লাহই জানে কবে কাজ শেষ হবে, কবে আমরা শান্তি পাব।’
ফ্লাইওভারের মগবাজার মোড় পেরিয়ে মৌচাকের দিকে যেতে আড়ংয়ের আগে রাস্তার বেহাল দশা। এখানে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। শীতের মধ্যেও এই রাস্তায় কাদাপানি। ২০২ থেকে ২০৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত একই দশা। এখানে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের চালক মতিন সরকার বলেন, ‘ইস্কাটনের স্কুল থেকে স্যারের মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন মৌচাক যাই। এত কষ্ট হয়, মনে হয় গাড়ি চালানো বাদ দিয়ে দিই।’ পাশ থেকে কয়েকজন রিকশাওয়ালাও এ সময় ফ্লাইওভারের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ইস্কাটন থেকে মৌচাক অংশের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। কিন্তু এখনো তা শেষ হয়নি। ছবিটি ইস্কাটন থেকে তোলা |
মৌচাক-রাজারবাগ-শান্তিনগর, এখনো খোঁড়াখুঁড়িই চলছে:
ফ্লাইওভারের তিনটি অংশের মধ্যে সবচেয়ে দুরবস্থা রামপুরা (আবুল হোটেল)
থেকে মালিবাগ, মৌচাক মোড় হয়ে রাজারবাগ ও শান্তিনগর পর্যন্ত অংশের। প্রায়
চার কিলোমিটার অংশের এই কাজ পেয়েছে এমসিসিসি-তমা। খরচ ৩৪৩ কোটি টাকা।
প্রকল্প পরিচালক গতকাল জানালেন, এই অংশের মাত্র ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এলজিইডির গত বছর বার্ষিক প্রতিবেদনে এই অংশের কাজের ৩৬ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে
উল্লেখ করা আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মালিবাগ মোড়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও শান্তিনগরের অন্তত আটটি পিলার এলাকায় সবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এ ছাড়া অধিকাংশ পিলারের রড বাঁধাই শেষ হয়নি। মৌচাক মোড়ে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নানা সমস্যায় কাজ করা কঠিন। তাই দেরি।’ একই কথা জানালেন শান্তিনগরের সামনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান।
তবে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ মতামত জানালেন। শান্তিনগরের বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ফ্লাইওভারের কাজ নিয়ে এত দুর্ভোগ হচ্ছে যে নিজের বাড়ি না হলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতাম।
অভিযোগ উঠেছে, তমার কারণে এই ফ্লাইওভারের কাজের দেরি হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বললেন, ‘আমরা তাদের বারবার কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দিয়ে চিঠি দিয়েছি।’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেকও একই কথা জানালেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মালিবাগ মোড়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও শান্তিনগরের অন্তত আটটি পিলার এলাকায় সবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এ ছাড়া অধিকাংশ পিলারের রড বাঁধাই শেষ হয়নি। মৌচাক মোড়ে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নানা সমস্যায় কাজ করা কঠিন। তাই দেরি।’ একই কথা জানালেন শান্তিনগরের সামনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান।
তবে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ মতামত জানালেন। শান্তিনগরের বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ফ্লাইওভারের কাজ নিয়ে এত দুর্ভোগ হচ্ছে যে নিজের বাড়ি না হলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতাম।
অভিযোগ উঠেছে, তমার কারণে এই ফ্লাইওভারের কাজের দেরি হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বললেন, ‘আমরা তাদের বারবার কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দিয়ে চিঠি দিয়েছি।’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেকও একই কথা জানালেন।
সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছর। কিন্তু এখনো চলছে শেষ সময়ের কাজ। এফডিসির মোড় থেকে তোলা ছবি -সাইফুল ইসলাম |
কাজ শেষ হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড
কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন,
‘কোথাও পাইলিং করতে গেলে দেখা যায় মাটির নিচে বিদ্যুতের লাইন, ওয়াসার
লাইন, টেলিফোনের লাইন। আমাদের যে নকশা দেওয়া হয়েছিল, তাতে এগুলো ছিল না।
বিভিন্ন বিভাগ থেকে যে নকশা নিয়েছি, তাতেও দেখা গেছে অনেক জায়গায় পরিবর্তন।
এসব মোকাবিলা করে কাজ করা কঠিন।’
যানজট কমবে না বাড়বে: বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাঁ পাশে বসে চালিত যানের কথা মাথায় রেখে করা নকশায় এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে ডান হাতে চালিত যানের জন্য ব্যবহার করতে হবে। ফলে অনেক সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করছেন সড়ক যোগাযোগ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি সমীক্ষা করে এই উড়ালসড়েকর নকশা করে। আট বছর পর ২০১৩ সালে এই নকশা ধরেই কাজ শুরু হয়। কিন্তু তত দিনে এই প্রকল্প এলাকার পাশে হাতিরঝিল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রকল্পস্থলের মাটির নিচে বিভিন্ন সেবা সংস্থার পাইপ ও তার বসে গেছে। এসব যাচাই-বাছাই না করেই কার্যাদেশ দেওয়ায় কাজ শুরুর পর বারবার নকশা পরিবর্তন করতে হয়।
জানতে চাইলে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহরের ভেতরে ফ্লাইওভার কখনোই সমাধান নয়। এটি যানজট কমায় না বরং বাড়ায়। ২০০৩-০৪ সালে ফ্লাইওভারের নকশা করা হয়। এই সময়ে নকশাটি অনেক বেশি আধুনিক করার সুযোগ ছিল। সেটি হয়নি। আমাদের কাছে যখন এই ফ্লাইওভারের কাঠামোগাত নকশা (স্ট্রাকচারাল ডিজাইন) নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়, আমরা যতটুকু সংশোধনের সুযোগ ছিল সেটি করে দিয়েছি।’
উড়ালসড়কের নির্মাণত্রুটির বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, ‘শান্তিনগর, রাজারবাগ, মগবাজারসহ প্রতিটি ওঠা-নামার জায়গায় র্যাম্প অনেক বেশি জায়গা নিয়েছে। এর ফলে উড়ালসড়কের নিচের রাস্তা দিয়ে গণপরিবহনের চলতে সমস্যা হবে। ফলে নগরবাসীর যতটুকু উপকার হতে পারত তা হবে না।’
তবে প্রকল্প পরিচাক নাজমুল আলম বলেন, ‘সবার সামনেই এই ফ্লাইওভার হয়েছে। সবাই দেখেছে। নানা কথা বলা হয়েছে। ৬০টি পিলারে ত্রুটি। এগুলো ভাঙতে হবে। এসবের কোনো ভিত্তি নেই। বাম দিক থেকে গাড়ি উঠবে, ডান দিক দিয়ে নামবে। কোনো সমস্যা হবে না।’
খরচও বাড়ছে: ২০১১ সালে একনেকে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম ধাপে প্রকল্পের খরচ ছিল ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে এ খরচ নির্ধারণ করা হয় ৭৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তবে এখন প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। ধরন বলছে, সময় যত যাবে, এই খরচ আরও বাড়িয়ে নেবে ঠিকাদার।
তবে প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম মনে করেন, এই ফ্লাইওভারটি ‘সবচেয়ে সস্তায় হচ্ছে’।
খরচ ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘একনেকের পরের সভায় খরচের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে এই ফ্লাইওভারের কাজ এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে। দ্রুত এই কাজ শেষ করতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৬ মার্চের আগেই আমরা এটি উদ্বোধন করতে চাই।’
যানজট কমবে না বাড়বে: বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাঁ পাশে বসে চালিত যানের কথা মাথায় রেখে করা নকশায় এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে ডান হাতে চালিত যানের জন্য ব্যবহার করতে হবে। ফলে অনেক সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করছেন সড়ক যোগাযোগ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি সমীক্ষা করে এই উড়ালসড়েকর নকশা করে। আট বছর পর ২০১৩ সালে এই নকশা ধরেই কাজ শুরু হয়। কিন্তু তত দিনে এই প্রকল্প এলাকার পাশে হাতিরঝিল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রকল্পস্থলের মাটির নিচে বিভিন্ন সেবা সংস্থার পাইপ ও তার বসে গেছে। এসব যাচাই-বাছাই না করেই কার্যাদেশ দেওয়ায় কাজ শুরুর পর বারবার নকশা পরিবর্তন করতে হয়।
জানতে চাইলে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহরের ভেতরে ফ্লাইওভার কখনোই সমাধান নয়। এটি যানজট কমায় না বরং বাড়ায়। ২০০৩-০৪ সালে ফ্লাইওভারের নকশা করা হয়। এই সময়ে নকশাটি অনেক বেশি আধুনিক করার সুযোগ ছিল। সেটি হয়নি। আমাদের কাছে যখন এই ফ্লাইওভারের কাঠামোগাত নকশা (স্ট্রাকচারাল ডিজাইন) নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়, আমরা যতটুকু সংশোধনের সুযোগ ছিল সেটি করে দিয়েছি।’
উড়ালসড়কের নির্মাণত্রুটির বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, ‘শান্তিনগর, রাজারবাগ, মগবাজারসহ প্রতিটি ওঠা-নামার জায়গায় র্যাম্প অনেক বেশি জায়গা নিয়েছে। এর ফলে উড়ালসড়কের নিচের রাস্তা দিয়ে গণপরিবহনের চলতে সমস্যা হবে। ফলে নগরবাসীর যতটুকু উপকার হতে পারত তা হবে না।’
তবে প্রকল্প পরিচাক নাজমুল আলম বলেন, ‘সবার সামনেই এই ফ্লাইওভার হয়েছে। সবাই দেখেছে। নানা কথা বলা হয়েছে। ৬০টি পিলারে ত্রুটি। এগুলো ভাঙতে হবে। এসবের কোনো ভিত্তি নেই। বাম দিক থেকে গাড়ি উঠবে, ডান দিক দিয়ে নামবে। কোনো সমস্যা হবে না।’
খরচও বাড়ছে: ২০১১ সালে একনেকে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম ধাপে প্রকল্পের খরচ ছিল ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে এ খরচ নির্ধারণ করা হয় ৭৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তবে এখন প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। ধরন বলছে, সময় যত যাবে, এই খরচ আরও বাড়িয়ে নেবে ঠিকাদার।
তবে প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম মনে করেন, এই ফ্লাইওভারটি ‘সবচেয়ে সস্তায় হচ্ছে’।
খরচ ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘একনেকের পরের সভায় খরচের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে এই ফ্লাইওভারের কাজ এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে। দ্রুত এই কাজ শেষ করতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৬ মার্চের আগেই আমরা এটি উদ্বোধন করতে চাই।’
No comments