‘আগামীতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই বড় চ্যালেঞ্জ’ by কাজী সুমন
প্রধান
বিরোধী জোটের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর
আজ পূর্ণ হচ্ছে সরকারের দুই বছর। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও অবকাঠামোগত
উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে সরকার। তবে প্রত্যাশিত
বেসরকারি বিনিয়োগ না হওয়া এবং নতুন করে উত্থান হওয়া জঙ্গিবাদে সাধারণ
মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এ ছাড়া
আগামীতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সরকারের দুই বছর পূর্তির মূল্যায়নে
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন,
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন না করা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
দেশে যদি সঠিক নির্বাচন না হয় তাহলে এক ধরনের অস্থিরতা থাকে। সুশাসনের অভাব
থাকে। সরকারের আচরণ হয় স্বেচ্ছাচারীদের মতো। সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, শত বাধা সত্ত্বেও সরকার যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার করছে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। গণতন্ত্রের জন্য দলটির দীর্ঘ
সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। মানুষের ভোটাধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান জীবনের অর্ধেক সময় জেলে কাটিয়েছেন। অথচ সেই দলটি ক্ষমতা যেভাবে ধরে
রেখেছে বিশ্বব্যাপী সেটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। সরকার যেদিকে এগুচ্ছে সেখান
থেকে তাদের সহজে সরে আসা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, সরকারের সামনে সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ হলো- আগামীতে বিশ্বাসযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচন। ৫ বছর পরে হলেও
সরকারকে একটি নির্বাচন করতে হবে। সরকার যে ধারায় নির্বাচন করছে তাতে
মানুষের আস্থা থাকবে না। নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা
হারিয়েছে। এ ছাড়া বিচার বিভাগের ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার যে অভিযোগ করেছেন প্রধান
বিচারপতি- সেটি খুবই উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের
পর পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের শীতল সম্পর্ক যাচ্ছে। সেই দেশগুলোর সঙ্গে
সম্পর্ক কিভাবে উন্নয়ন করবে সেটা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এ ছাড়া
প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও উত্থান হওয়া জঙ্গিবাদের মোকাবিলাও সরকারের জন্য
চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, অর্থনৈতিক, কৃষি ও শিক্ষায় সরকারের সাফল্য রয়েছে। আইনের শাসন, সুশাসন, রাজনৈতিক অধিকার, বাক-স্বাধীনতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি নেই। নিঃসন্দেহে অবনতি হয়েছে। প্রখ্যাত এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, দেশে নির্বাচন হচ্ছে কিন্তু জনপ্রিয়তা যাচাই হচ্ছে না। জনপ্রিয়তা আছে কি নেই- তা নিরূপণ করার একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন। সেটাতে যদি ঘাটতি থাকে তাহলে অন্যান্য অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যায়। অর্জনগুলো দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সরকারের কাছে প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সরকার দলের বাইরে যে জনসাধারণ রয়েছে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করাই হবে চ্যালেঞ্জ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, গত দুই বছরে দেশে গণতন্ত্র নির্বাসনে চলে গেছে। আইনের শাসন বাক্সবন্দি হয়ে পড়েছে। নাগরিক অধিকার ও বোধকে অপমান করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে সরকার। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর মামলা-হামলা নির্যাতনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পুরোপুরি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এভাবে সরকার বেশিদিন চালাতে পারবে না মন্তব্য করে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, আগামীতে সরকার দলের নেতাদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ বাড়বে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হবে। অতীতের অর্জনগুলো আরও নিম্নমুখী হবে। সাধারণ মানুষ সরকার বিমুখ হবে। সঠিক নির্বাচন দিতে বাইরের চাপ বাড়বে মন্তব্য করে প্রফেসর এমাজউদ্দীন বলেন, ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গ্রহণ করেনি। সঠিক নির্বাচন দিতে সরকারের ওপর বাইরের দেশগুলোর এখনও চাপ রয়েছে। আগামীতে এই চাপ আরও বাড়বে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মিজানুর রহমান বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সরকার একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল- বিদেশিরা ত্রুটিযুক্ত এই নির্বাচনটি কিভাবে নেয়। কিন্তু পরে দেখা গেছে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ সব দাতা সংস্থা বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে ২০১৫ সালটি ছিল সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। ৫ই জানুয়ারিকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং পেট্রলবোমায় দেশে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। তবে জনসম্পৃক্ততা না থাকায় সেই আন্দোলন সফল হয়নি। সরকারের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই আন্দোলনের পর সরকার দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসে। কৃষি, শিক্ষা, অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতুসহ বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরপর জনগণের মধ্যেও আস্থা ফিরে এসেছে। চ্যালেঞ্জের বিষয় তুলে ধরে মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের সুবিধা দেয়ার পর প্রত্যাশিত বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়েনি। এখানে একটু ব্যর্থতা রয়েছে। আগামীতে এই সেক্টরটিতে সরকারকে একটু নজর দিতে হবে। এ ছাড়া উত্থান হওয়া জঙ্গিবাদ কঠোর হাতে দমন না করতে পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের আইন ভারতের চেয়েও শক্তিশালী। কিন্তু শ’ শ’ লোক নিয়ে কেন্দ্র দখল করলে তো পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কিছু করার থাকে না। তাই আগামীতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় আসতে হবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, গত দুই বছরে সরকারের বেশ কিছু বড় সাফল্য রয়েছে। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। জনসাধারণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি বলেন, আগামীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জঙ্গিবাদ দমন, ধর্মান্ধতা দূরীকরণসহ সরকারকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই মন্তব্য করে আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রধান বিরোধী জোট আগাম নির্বাচনে দাবি জানালেও সরকারের ভাষা দেখে মনে হচ্ছে- ২০১৯ সালের আগে তাদের দাবি মেনে নেবে না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, অর্থনৈতিক, কৃষি ও শিক্ষায় সরকারের সাফল্য রয়েছে। আইনের শাসন, সুশাসন, রাজনৈতিক অধিকার, বাক-স্বাধীনতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি নেই। নিঃসন্দেহে অবনতি হয়েছে। প্রখ্যাত এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, দেশে নির্বাচন হচ্ছে কিন্তু জনপ্রিয়তা যাচাই হচ্ছে না। জনপ্রিয়তা আছে কি নেই- তা নিরূপণ করার একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন। সেটাতে যদি ঘাটতি থাকে তাহলে অন্যান্য অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যায়। অর্জনগুলো দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সরকারের কাছে প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সরকার দলের বাইরে যে জনসাধারণ রয়েছে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করাই হবে চ্যালেঞ্জ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, গত দুই বছরে দেশে গণতন্ত্র নির্বাসনে চলে গেছে। আইনের শাসন বাক্সবন্দি হয়ে পড়েছে। নাগরিক অধিকার ও বোধকে অপমান করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে সরকার। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর মামলা-হামলা নির্যাতনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পুরোপুরি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এভাবে সরকার বেশিদিন চালাতে পারবে না মন্তব্য করে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, আগামীতে সরকার দলের নেতাদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ বাড়বে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হবে। অতীতের অর্জনগুলো আরও নিম্নমুখী হবে। সাধারণ মানুষ সরকার বিমুখ হবে। সঠিক নির্বাচন দিতে বাইরের চাপ বাড়বে মন্তব্য করে প্রফেসর এমাজউদ্দীন বলেন, ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গ্রহণ করেনি। সঠিক নির্বাচন দিতে সরকারের ওপর বাইরের দেশগুলোর এখনও চাপ রয়েছে। আগামীতে এই চাপ আরও বাড়বে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মিজানুর রহমান বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সরকার একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল- বিদেশিরা ত্রুটিযুক্ত এই নির্বাচনটি কিভাবে নেয়। কিন্তু পরে দেখা গেছে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ সব দাতা সংস্থা বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে ২০১৫ সালটি ছিল সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। ৫ই জানুয়ারিকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং পেট্রলবোমায় দেশে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। তবে জনসম্পৃক্ততা না থাকায় সেই আন্দোলন সফল হয়নি। সরকারের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই আন্দোলনের পর সরকার দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসে। কৃষি, শিক্ষা, অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতুসহ বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরপর জনগণের মধ্যেও আস্থা ফিরে এসেছে। চ্যালেঞ্জের বিষয় তুলে ধরে মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের সুবিধা দেয়ার পর প্রত্যাশিত বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়েনি। এখানে একটু ব্যর্থতা রয়েছে। আগামীতে এই সেক্টরটিতে সরকারকে একটু নজর দিতে হবে। এ ছাড়া উত্থান হওয়া জঙ্গিবাদ কঠোর হাতে দমন না করতে পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের আইন ভারতের চেয়েও শক্তিশালী। কিন্তু শ’ শ’ লোক নিয়ে কেন্দ্র দখল করলে তো পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কিছু করার থাকে না। তাই আগামীতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় আসতে হবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, গত দুই বছরে সরকারের বেশ কিছু বড় সাফল্য রয়েছে। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। জনসাধারণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি বলেন, আগামীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জঙ্গিবাদ দমন, ধর্মান্ধতা দূরীকরণসহ সরকারকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই মন্তব্য করে আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রধান বিরোধী জোট আগাম নির্বাচনে দাবি জানালেও সরকারের ভাষা দেখে মনে হচ্ছে- ২০১৯ সালের আগে তাদের দাবি মেনে নেবে না।
No comments