কচুক্ষেতে দুর্বৃত্তের কোপে মিলিটারি পুলিশ আহত- ছোরাসহ যুবক আটক
রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় সেনাসদস্যের ওপর হামলার স্থানটি ঘেরাও করে রাখে নিরাপত্তা কর্মীরা |
এক
মিলিটারি পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করেছে এক দুর্বৃত্ত। আহতের নাম সামিদুল
ইসলাম। তিনি ১৩ নম্বর মিলিটারি পুলিশের (এমপি) ল্যান্স কর্পোরাল। গতকাল
(মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টায় কাফরুল থানাধীন কচুক্ষেতে সেনাবাহিনীর একটি
তল্লাশিচৌকিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সেনাসদস্যকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে
(সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানা যায়নি।
এ দিকে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কাফরুল এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ধারালো ছোরা। তবে আটক যুবকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর সদর দফতরের কাছে সংঘটিত ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে মিলিটারি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাচৌকি।
কাফরুল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকালে মিলিটারি পুলিশ সামিদুলসহ কয়েকজন সেনাসদস্য কচুক্ষেত সেনানিবাসের এ প্রবেশমুখে নিরাপত্তাচৌকিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই এলাকায় রিকশা প্রবেশ নিষিদ্ধ। তারপরও সে সময় একটি রিকশা প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন সামিদুল ওই রিকশা আটক করে তার চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় রিকশায় থাকা এক যুবক ধারালো অস্ত্র বের করে সামিদুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন তার সহকর্মীরা হামলাকারী যুবকটিকে ধাওয়া করে। যুবকটি ক্যান্টনমেন্টের নিকটবর্তী আবাসিক এলাকা কাফরুলের দিকে ছুটে যায়। সে ২৩৯/১/খ নম্বর কাফরুলের একটি পাঁচতলা বাড়িতে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মিলিটারি পুলিশের আরো সদস্য, কাফরুল থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এসে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। প্রায় এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাড়িটি থেকে একজনকে আটক করেন তারা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, এমপি চেকপোস্টের পাশের রাস্তার পিচের ওপর ছোপ ছোপ রক্ত। পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে। সিআইডির ক্রাইমসিন টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন। ঘটনার পর উৎসুক জনতা ওই এলাকায় ভিড় জমাতে থাকে। এ সময় পুলিশ ও মিলিটারি পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
এ দিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রিকশাচালক নিজে, নাকি আরোহী এমপি সদস্যকে কুপিয়েছে এটা নিশ্চিত জানতে পারেননি তারা। পাশেই কচুক্ষেত বাজার হওয়ায় এ এলাকায় বহিরাগতদের যাতায়াত রয়েছে। সালাউদ্দিন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি আর্মি চেকপোস্টের দিকে একটি রিকশা যেতে দেখেন। এরপর একজন মিলিটারি পুলিশ ওই রিকশার কাছে গিয়ে চালককে গালমন্দ করতে করতে চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন। ঠিক ওই সময় রিকশা থেকে একজন নেমে সেনাসদস্যকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি কোপ ঠেকানোর চেষ্টা করলে তার হাতেও কয়েকটি আঘাত লাগে। তিনি আরো জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যে যুবকটি সেনাসদস্যকে কুপিয়ে দ্রুত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অন্যান্য মিলিটারি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন তাকে ধাওয়া করে।
যুবক কাফরুলের পাঁচতলা একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই বাড়ির একজন মহিলা ভাড়াটে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সকালে তার বাসায় ডোরবেলের শব্দ পেয়ে তিনি দরজা খোলেন। এ সময় হাতে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে একজন যুবক তাকে ধাক্কা দিয়ে বাসায় ঢুকে পড়েন। তিনি ওই মহিলার কাছে পানি চান। পানি দিলে ওই যুবকটি তার হাতে থাকা ছুরিটি খাবার টেবিলের নিচে রাখেন। পানি খাওয়ার পর বলেন, ‘আমার পেছনে লোক লেগেছে, আমাকে একটু লুকানোর জায়গা দেন’। পরে ওই মহিলার দেবর কৌশলে জায়গা দেয়ার কথা বলে ঘরের বাইরে নিয়ে গেলে মহিলা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ততক্ষণে এমপি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা চার দিক থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। তারা হামলাকারী যুবককে নিচে নামার জন্য আহ্বান করতে থাকে। কিন্তু তাতেও না শোনায় গুলি করার হুমকি দিলে ওই যুবক ভবনের ছাদে ওঠার চেষ্টা করে। সে জানিয়ে দেয় তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়বে। কিন্তু ছাদের দরজা তালা থাকায় ব্যর্থ হয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। পুলিশ আরো জানায়, এর আগে হামলাকারী ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় সেখানে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। হামলাকারীকে প্রাথমিকভাবে ডিজিএফআই সদর দফতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, নাশকতা সৃষ্টি করতে কেউ যদি পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় তাহলে সেটা বন্ধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও পুলিশ অ্যালার্ট থাকায় সেনাসদস্যের ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ হামলার পেছনে থাকা নির্দেশদাতা ও অর্থদাতা কারা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকাল পৌনে ১০টায় কাফরুল এলাকায় কর্তব্যরত একজন মিলিটারি পুলিশকে এক পথচারী পেছন থেকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে। এতে ওই মিলিটারি পুলিশসদস্য সামান্য আহত হন। কর্তব্যরত অন্য সামরিক সদস্যরা সন্দেহভাজন একজন হামলাকারীকে আটক করেছে। বিস্তারিত জানার জন্য ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ দিকে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কাফরুল এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ধারালো ছোরা। তবে আটক যুবকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর সদর দফতরের কাছে সংঘটিত ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে মিলিটারি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাচৌকি।
কাফরুল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকালে মিলিটারি পুলিশ সামিদুলসহ কয়েকজন সেনাসদস্য কচুক্ষেত সেনানিবাসের এ প্রবেশমুখে নিরাপত্তাচৌকিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই এলাকায় রিকশা প্রবেশ নিষিদ্ধ। তারপরও সে সময় একটি রিকশা প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন সামিদুল ওই রিকশা আটক করে তার চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় রিকশায় থাকা এক যুবক ধারালো অস্ত্র বের করে সামিদুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন তার সহকর্মীরা হামলাকারী যুবকটিকে ধাওয়া করে। যুবকটি ক্যান্টনমেন্টের নিকটবর্তী আবাসিক এলাকা কাফরুলের দিকে ছুটে যায়। সে ২৩৯/১/খ নম্বর কাফরুলের একটি পাঁচতলা বাড়িতে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মিলিটারি পুলিশের আরো সদস্য, কাফরুল থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এসে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। প্রায় এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাড়িটি থেকে একজনকে আটক করেন তারা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, এমপি চেকপোস্টের পাশের রাস্তার পিচের ওপর ছোপ ছোপ রক্ত। পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে। সিআইডির ক্রাইমসিন টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন। ঘটনার পর উৎসুক জনতা ওই এলাকায় ভিড় জমাতে থাকে। এ সময় পুলিশ ও মিলিটারি পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
এ দিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রিকশাচালক নিজে, নাকি আরোহী এমপি সদস্যকে কুপিয়েছে এটা নিশ্চিত জানতে পারেননি তারা। পাশেই কচুক্ষেত বাজার হওয়ায় এ এলাকায় বহিরাগতদের যাতায়াত রয়েছে। সালাউদ্দিন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি আর্মি চেকপোস্টের দিকে একটি রিকশা যেতে দেখেন। এরপর একজন মিলিটারি পুলিশ ওই রিকশার কাছে গিয়ে চালককে গালমন্দ করতে করতে চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন। ঠিক ওই সময় রিকশা থেকে একজন নেমে সেনাসদস্যকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি কোপ ঠেকানোর চেষ্টা করলে তার হাতেও কয়েকটি আঘাত লাগে। তিনি আরো জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যে যুবকটি সেনাসদস্যকে কুপিয়ে দ্রুত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অন্যান্য মিলিটারি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন তাকে ধাওয়া করে।
যুবক কাফরুলের পাঁচতলা একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই বাড়ির একজন মহিলা ভাড়াটে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সকালে তার বাসায় ডোরবেলের শব্দ পেয়ে তিনি দরজা খোলেন। এ সময় হাতে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে একজন যুবক তাকে ধাক্কা দিয়ে বাসায় ঢুকে পড়েন। তিনি ওই মহিলার কাছে পানি চান। পানি দিলে ওই যুবকটি তার হাতে থাকা ছুরিটি খাবার টেবিলের নিচে রাখেন। পানি খাওয়ার পর বলেন, ‘আমার পেছনে লোক লেগেছে, আমাকে একটু লুকানোর জায়গা দেন’। পরে ওই মহিলার দেবর কৌশলে জায়গা দেয়ার কথা বলে ঘরের বাইরে নিয়ে গেলে মহিলা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ততক্ষণে এমপি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা চার দিক থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। তারা হামলাকারী যুবককে নিচে নামার জন্য আহ্বান করতে থাকে। কিন্তু তাতেও না শোনায় গুলি করার হুমকি দিলে ওই যুবক ভবনের ছাদে ওঠার চেষ্টা করে। সে জানিয়ে দেয় তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়বে। কিন্তু ছাদের দরজা তালা থাকায় ব্যর্থ হয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। পুলিশ আরো জানায়, এর আগে হামলাকারী ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় সেখানে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। হামলাকারীকে প্রাথমিকভাবে ডিজিএফআই সদর দফতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, নাশকতা সৃষ্টি করতে কেউ যদি পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় তাহলে সেটা বন্ধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও পুলিশ অ্যালার্ট থাকায় সেনাসদস্যের ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ হামলার পেছনে থাকা নির্দেশদাতা ও অর্থদাতা কারা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকাল পৌনে ১০টায় কাফরুল এলাকায় কর্তব্যরত একজন মিলিটারি পুলিশকে এক পথচারী পেছন থেকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে। এতে ওই মিলিটারি পুলিশসদস্য সামান্য আহত হন। কর্তব্যরত অন্য সামরিক সদস্যরা সন্দেহভাজন একজন হামলাকারীকে আটক করেছে। বিস্তারিত জানার জন্য ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
No comments