কেন বাড়ছে ধর্ষণ?
আশঙ্কাজনক
হারে বাড়ছে নারী-শিশু ধর্ষণের ঘটনা। বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিশুরা।
দেশে প্রতিদিন চারজন ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। খোদ রাজধানীতে প্রতিদিন এক জন
ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। গত জুলাই মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৩ জন। আগস্ট
মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯ জনে। চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে ঢাকায় ধর্ষণের
ঘটনা ঘটেছে ১৫টি। এরমধ্যে ১২ জনই শিশু-কিশোরী। ধর্ষণের এই ভয়াবহ
পরিসংখ্যানে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, নৈতিক অবক্ষয়
ও বিচারহীনতাই ধর্ষণ বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে যৌনতার উপর শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেক্স এডুকেশন বলতে কিছু নেই। বরং নৈতিকতার স্খলন ঘটছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যৌন সুড়সুড়ি দেয়ার মতো বিভিন্ন ফিল্ম তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ষকরা তাকেই টার্গেট করে যে প্রতিবাদ করতে পারবে না। যাকে সহজেই ভোগ করা যাবে। এজন্যই শিশু ও প্রতিবন্ধী শিশুরা এর শিকার হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য নৈতিক শিক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তবে বিচারহীনতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতাও ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বলেন, অনেক সময় সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুরা বিচার থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া ধর্ষক প্রভাবশালী হলে মামলা নিতে চায় না পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদন সঠিকভাবে দেয়া হয় না। রয়েছে বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রিতা। পাশাপাশি বিদেশী অপসংস্কৃতি অনুসরণ-অনুকরণের কারণেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদের মতো অনেকেই মনে করেন বিদেশী অপসংস্কৃতির কারণেই বিপথগামী হচ্ছে যুবকরা। যে কারণে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনাও। তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধার কারণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই ভিনদেশী সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশী টেলিভিশনের বিভিন্ন রগরগে অনুষ্ঠান প্রবেশ করেছে আমাদের বেডরুমে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন দেশে গড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অন্তত ৫৭টি। এরমধ্যে অন্তত ১০টি হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনা। কিন্তু সামাজিকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক ধর্ষণের ঘটনাই থেকে যায় আড়ালে। ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ-সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সামাজিক মানহানির ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন নির্যাতিতাদের অনেকে। বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যনুসারে জানা গেছে এই ভয়াবহ চিত্র। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যানুসারে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭০৪ জন। এরমধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬০ জনকে। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪২ ও ধর্ষণের শিকার ৫০২ জন। গত জুলাই মাসে ধর্ষণের শিকার ৫৯ ও গণধর্ষণের শিকার ১৫ জন। কিন্তু আগস্ট মাসে আশঙ্কাজনকভাবে তা বেড়েছে। আগস্টে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯২ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৮ জন। এই দুই মাসে ধর্ষণের পর নয় জন করে ১৮ জনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে গত আগস্ট মাসে ওসিসিতে সেবা নিয়েছেন ৩৩ জন। তার আগে জুলাই মাসে ১৪, জুন মাসে ২৩ ও মে মাসে ২২ জন সেবা নিয়েছেন। এরমধ্যে জুলাই মাসে চার , জুনে ১৪ ও মে মাসে ১০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ওসিসিতে ভর্তি হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুসারে গত বছর ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩৪ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে ৮৭ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী বলেন, যারা অবোধ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছেন তাদের মনুষ্যত্ববোধ ও বিবেক বলতে কিছু নেই। তারা মানসিকভাবে বিকৃত। যৌন সম্পর্ক হবে প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে বৈধভাবে। কিন্তু অবোধ শিশুদের নির্যাতন করার কারণে তার ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। সমাজ ও মানুষ সম্পর্কে আজন্ম সে ভয় ও নেতিবাচক ধারণা পোষণ করবে। যা একজন মানুষকে হত্যার চেয়েও জঘন্য। এজন্য নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ২১ হাজার ২শ’ ৯১টি। তার আগের বছর মামলা হয়েছে ১৯ হাজার ৬শ’ একটি। ২০১২ সালে ২০ হাজার ৯শ’ ৪৭টি, ২০১১ সালে ২১ হাজার ৩শ’ ৮৯টি, ২০১০ সালে ১৭ হাজার ৭শ’ ৫২টি। শুধু গত জুলাই মাসে সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ৬১টি। এরমধ্যে ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকায় ১শ’২৯টি, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটনে ২৭, খুলনা মেট্টোপলিটনে পাঁচ, রাজশাহী মেট্টোপলিটনে ১৪, বরিশাল মেট্টোপলিটনে আট ও সিলেট মেট্টোপলিটেন ১২টি। এছাড়া ঢাকা রেঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ৪শ’ ২৩, চট্টগ্রামে ৩শ’ ৪, সিলেটে ৭৫, খুলনায় ২শ’ ৩১, বরিশালে ১শ’ ৭, রাজশাহীতে ২শ’ ৭, রংপুরে ২শ’ ১৭ ও রেলওয়ে রেঞ্জে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ধর্ষণের মামলাগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অর্ন্তভুক্ত। যে কারণে আলাদাভাবে ধর্ষণের কোন পরিসংখ্যান নেই তাদের কাছে। পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু শুধু আইনের শাসন দিয়ে ধর্ষণের প্রতিকার সম্ভব না জানিয়ে তিনি বলেন, ৯০ ভাগ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় নির্যাতিতার কাছের মানুষেরা। এজন্য নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষার দরকার। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, একটা সময় ছিল মুখ ঢেকে সিনেমা দেখতে যেতে মানুষ। এখন নিজেরাই বিভিন্ন নোংরামি করে ইন্টারনেটে আপলোড করে দিচ্ছে। যৌনতা সহজাত প্রবৃত্তি। শারীরিকভাবে কারও প্রতি আকৃষ্ট হলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ শিক্ষা, মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত থাকতে হবে। এজন্য পারিবারিকভাবে নৈতিক শিক্ষা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন এই উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।
মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে যৌনতার উপর শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেক্স এডুকেশন বলতে কিছু নেই। বরং নৈতিকতার স্খলন ঘটছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যৌন সুড়সুড়ি দেয়ার মতো বিভিন্ন ফিল্ম তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ষকরা তাকেই টার্গেট করে যে প্রতিবাদ করতে পারবে না। যাকে সহজেই ভোগ করা যাবে। এজন্যই শিশু ও প্রতিবন্ধী শিশুরা এর শিকার হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য নৈতিক শিক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তবে বিচারহীনতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতাও ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বলেন, অনেক সময় সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুরা বিচার থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া ধর্ষক প্রভাবশালী হলে মামলা নিতে চায় না পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদন সঠিকভাবে দেয়া হয় না। রয়েছে বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রিতা। পাশাপাশি বিদেশী অপসংস্কৃতি অনুসরণ-অনুকরণের কারণেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদের মতো অনেকেই মনে করেন বিদেশী অপসংস্কৃতির কারণেই বিপথগামী হচ্ছে যুবকরা। যে কারণে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনাও। তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধার কারণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই ভিনদেশী সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশী টেলিভিশনের বিভিন্ন রগরগে অনুষ্ঠান প্রবেশ করেছে আমাদের বেডরুমে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন দেশে গড়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অন্তত ৫৭টি। এরমধ্যে অন্তত ১০টি হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনা। কিন্তু সামাজিকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক ধর্ষণের ঘটনাই থেকে যায় আড়ালে। ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ-সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সামাজিক মানহানির ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন নির্যাতিতাদের অনেকে। বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যনুসারে জানা গেছে এই ভয়াবহ চিত্র। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যানুসারে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭০৪ জন। এরমধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬০ জনকে। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪২ ও ধর্ষণের শিকার ৫০২ জন। গত জুলাই মাসে ধর্ষণের শিকার ৫৯ ও গণধর্ষণের শিকার ১৫ জন। কিন্তু আগস্ট মাসে আশঙ্কাজনকভাবে তা বেড়েছে। আগস্টে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯২ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৮ জন। এই দুই মাসে ধর্ষণের পর নয় জন করে ১৮ জনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে গত আগস্ট মাসে ওসিসিতে সেবা নিয়েছেন ৩৩ জন। তার আগে জুলাই মাসে ১৪, জুন মাসে ২৩ ও মে মাসে ২২ জন সেবা নিয়েছেন। এরমধ্যে জুলাই মাসে চার , জুনে ১৪ ও মে মাসে ১০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ওসিসিতে ভর্তি হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুসারে গত বছর ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩৪ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে ৮৭ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী বলেন, যারা অবোধ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছেন তাদের মনুষ্যত্ববোধ ও বিবেক বলতে কিছু নেই। তারা মানসিকভাবে বিকৃত। যৌন সম্পর্ক হবে প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে বৈধভাবে। কিন্তু অবোধ শিশুদের নির্যাতন করার কারণে তার ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। সমাজ ও মানুষ সম্পর্কে আজন্ম সে ভয় ও নেতিবাচক ধারণা পোষণ করবে। যা একজন মানুষকে হত্যার চেয়েও জঘন্য। এজন্য নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ২১ হাজার ২শ’ ৯১টি। তার আগের বছর মামলা হয়েছে ১৯ হাজার ৬শ’ একটি। ২০১২ সালে ২০ হাজার ৯শ’ ৪৭টি, ২০১১ সালে ২১ হাজার ৩শ’ ৮৯টি, ২০১০ সালে ১৭ হাজার ৭শ’ ৫২টি। শুধু গত জুলাই মাসে সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ৬১টি। এরমধ্যে ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকায় ১শ’২৯টি, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটনে ২৭, খুলনা মেট্টোপলিটনে পাঁচ, রাজশাহী মেট্টোপলিটনে ১৪, বরিশাল মেট্টোপলিটনে আট ও সিলেট মেট্টোপলিটেন ১২টি। এছাড়া ঢাকা রেঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ৪শ’ ২৩, চট্টগ্রামে ৩শ’ ৪, সিলেটে ৭৫, খুলনায় ২শ’ ৩১, বরিশালে ১শ’ ৭, রাজশাহীতে ২শ’ ৭, রংপুরে ২শ’ ১৭ ও রেলওয়ে রেঞ্জে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ধর্ষণের মামলাগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অর্ন্তভুক্ত। যে কারণে আলাদাভাবে ধর্ষণের কোন পরিসংখ্যান নেই তাদের কাছে। পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু শুধু আইনের শাসন দিয়ে ধর্ষণের প্রতিকার সম্ভব না জানিয়ে তিনি বলেন, ৯০ ভাগ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় নির্যাতিতার কাছের মানুষেরা। এজন্য নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষার দরকার। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, একটা সময় ছিল মুখ ঢেকে সিনেমা দেখতে যেতে মানুষ। এখন নিজেরাই বিভিন্ন নোংরামি করে ইন্টারনেটে আপলোড করে দিচ্ছে। যৌনতা সহজাত প্রবৃত্তি। শারীরিকভাবে কারও প্রতি আকৃষ্ট হলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ শিক্ষা, মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত থাকতে হবে। এজন্য পারিবারিকভাবে নৈতিক শিক্ষা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন এই উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।
No comments