এই যুগে রবিন হুডও অচল! by আশরাফুল ইসলাম
বিল গেটস, মুকেশ আম্বানি, জ্যাক মা |
ব্রিটিশ
লোকসাহিত্যের ঐতিহাসিক চরিত্র রবিন হুডের বীরত্বের কথা অনেকেরই জানা।
ধনীদের সম্পদ লুট করে গরিবের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে বলা হয়
‘গরিবের রাজা’। আজকের দিনে বিশ্বের প্রতিটি দেশে যদি সেই রবিন হুডকে আবার
ফিরে পাওয়া যেত, তাহলে গরিবদের কতটুকু উপকার হতো? এমন প্রশ্নের উত্তর
খুঁজতে গিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ ৪২টি দেশকে নিয়ে গবেষণা করে
দেখিয়েছে, প্রতিটি দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির সম্পদ যদি ওই একই দেশের
সবচেয়ে দরিদ্র লোকদের ভাগ করে দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের অবস্থার খুব বেশি
উন্নতি হবে না। এ জন্য রবিন হুড সূচক নামের একটি আলাদা সূচকও তৈরি করা
হয়েছে।
রবিন হুড সূচকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদ দেশটির দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ৩০ শতাংশ লোকের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হলে প্রত্যেকে পাবেন মাত্র ৫৯ ডলার বা ৪ হাজার ৭২০ টাকা। এ অর্থ দিয়ে একজন লোক ভারতে সর্বোচ্চ দেড় মাস তিন বেলা খেতে পারবেন। তবে খুব ভালো কিছু যে খেতে পারবেন, তা-ও না। প্রতি বেলার খাবারের জন্য ৩৫ রুপি হিসেবে একজনের পাতে জুটবে ভাত, ডাল, দুই প্রকার সবজি, আচার ও তিনটি চাপাতি রুটি। ১২৯ কোটি জনসংখ্যার ভারতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন ৩২ কোটি মানুষ আর মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার। এ অর্থ গড়ে একজন ভারতীয় নাগরিক যে পরিমাণ আয় করেন, তার তুলনায় ১ কোটি ৩৬ লাখ গুণ বেশি!
রবিন হুড সূচকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদ দেশটির দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ৩০ শতাংশ লোকের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হলে প্রত্যেকে পাবেন মাত্র ৫৯ ডলার বা ৪ হাজার ৭২০ টাকা। এ অর্থ দিয়ে একজন লোক ভারতে সর্বোচ্চ দেড় মাস তিন বেলা খেতে পারবেন। তবে খুব ভালো কিছু যে খেতে পারবেন, তা-ও না। প্রতি বেলার খাবারের জন্য ৩৫ রুপি হিসেবে একজনের পাতে জুটবে ভাত, ডাল, দুই প্রকার সবজি, আচার ও তিনটি চাপাতি রুটি। ১২৯ কোটি জনসংখ্যার ভারতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন ৩২ কোটি মানুষ আর মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার। এ অর্থ গড়ে একজন ভারতীয় নাগরিক যে পরিমাণ আয় করেন, তার তুলনায় ১ কোটি ৩৬ লাখ গুণ বেশি!
প্রিন্স তালাল, ইংভার ক্যাম্পরাড, জন ফ্রেডরিকসেন |
ভারতের
চেয়ে চীনের দরিদ্র ব্যক্তিরা নিজেদের একটু ভাগ্যবান ভাবতে পারেন। কারণ,
চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জ্যাক মা যদি তাঁর ১৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ভাগ
করে দেন, তাহলে একজন দরিদ্র চীনা নাগরিক পাবেন ২৩৪ ডলার বা ১৮ হাজার ৭২০
টাকা। বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস তাঁর ৭ হাজার
৬০০ কোটি ডলার যদি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দরিদ্র ১৫ শতাংশ নাগরিকদের দান
করে দেন, তাহলে গড়ে একজন পাবেন ১ হাজার ৭৩৬ ডলার বা ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এ
অর্থ দিয়ে মার্কিন মুলুকে একজন ব্যক্তির এক মাসের খরচ চলতে পারে।
সূচক অনুযায়ী সাইপ্রাস ও সুইডেনের দরিদ্ররা অপেক্ষাকৃতভাবে অনেক বেশি অর্থ পাবেন। সুইডেনের শীর্ষ ধনী আসবাব ব্যবসায়ী আইকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ইংভার ক্যাম্পরাড তাঁর ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ভাগ করে দিলে গড়ে একজন গরিব সুইডিশ পাবেন ৩৩ হাজার ১৪৯ ডলার। একইভাবে সাইপ্রাসের শীর্ষ ধনী জন ফ্রেডরিকসেন তাঁর ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ভাগ করে দিলে একজন গড়ে পাবেন ৪৫ হাজার ৯৮৭ ডলার। দেশ দুটির কম জনসংখ্যা অর্থের ভাগ বেশি হওয়ার মূল কারণ। সুইডেন ও সাইপ্রাসের জনসংখ্যা যথাক্রমে মাত্র ৯৫ লাখ ও ১২ লাখ।
সৌদি আরবের শীর্ষ ধনী যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন তালাল আল সউদের সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। তিনি যদি দেশটির দরিদ্রদের এ সম্পদ ভাগ করে দেন, তাহলে একজন গড়ে পাবেন ৮ হাজার ২৬১ ডলার বা সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
মোদ্দা কথা হলো, আজকের যুগে রবিন হুডের মতো ধনীদের থেকে টাকা নিয়ে দরিদ্রদের যতই দেওয়া হোক না কেন, তা খুব একটা কাজে আসবে না। চীন, ভারত, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে এ কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য।
সূচক অনুযায়ী সাইপ্রাস ও সুইডেনের দরিদ্ররা অপেক্ষাকৃতভাবে অনেক বেশি অর্থ পাবেন। সুইডেনের শীর্ষ ধনী আসবাব ব্যবসায়ী আইকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ইংভার ক্যাম্পরাড তাঁর ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ভাগ করে দিলে গড়ে একজন গরিব সুইডিশ পাবেন ৩৩ হাজার ১৪৯ ডলার। একইভাবে সাইপ্রাসের শীর্ষ ধনী জন ফ্রেডরিকসেন তাঁর ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ভাগ করে দিলে একজন গড়ে পাবেন ৪৫ হাজার ৯৮৭ ডলার। দেশ দুটির কম জনসংখ্যা অর্থের ভাগ বেশি হওয়ার মূল কারণ। সুইডেন ও সাইপ্রাসের জনসংখ্যা যথাক্রমে মাত্র ৯৫ লাখ ও ১২ লাখ।
সৌদি আরবের শীর্ষ ধনী যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন তালাল আল সউদের সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। তিনি যদি দেশটির দরিদ্রদের এ সম্পদ ভাগ করে দেন, তাহলে একজন গড়ে পাবেন ৮ হাজার ২৬১ ডলার বা সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
মোদ্দা কথা হলো, আজকের যুগে রবিন হুডের মতো ধনীদের থেকে টাকা নিয়ে দরিদ্রদের যতই দেওয়া হোক না কেন, তা খুব একটা কাজে আসবে না। চীন, ভারত, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে এ কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য।
No comments