সিরিয়ায় রুশ হামলায় আইএস লাভবান হচ্ছে: ওবামা
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অভিযোগ করেছেন, সিরিয়ায় চলমান রুশ বিমান
হামলায় জঙ্গি ইসলামিক স্টেট (আইএস) বাহিনী লাভবান হচ্ছে। সিরিয়ার
প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দেওয়ার জন্য চালানো এই হামলা মধ্যপন্থী
সরকারবিরোধীদের আড়ালে চলে যেতে বাধ্য করছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সমালোচনার মধ্যে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গতকাল শনিবার টানা চতুর্থ দিন হামলা চালিয়েছে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো। খবর বিবিসি ও এএফপির।
হোয়াইট হাউসে গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘সিরিয়ার সমস্যা হলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নিজে এবং সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান। এটা বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, বাশারের প্রতি হতাশ কোনো পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে চালানো রুশ হামলায় ওয়াশিংটন সহযোগিতা করবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মস্কো সিরিয়ায় আইএস এবং মধ্যপন্থী সরকারবিরোধীদের মধ্যে পার্থক্য করছে না। রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি হলো, তারা সবাই সন্ত্রাসী। আর এটা সিরিয়ায় বিপর্যয় নেমে আসার আয়োজন চূড়ান্ত করছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা জোর দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো ছায়াযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে না।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, আইএসের ক্ষমতার কেন্দ্র রাকা এলাকায় ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে সংগঠনটির ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতেও আঘাত হানা হয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় আইএসের নয়টি স্থাপনা লক্ষ্য করে ২০ বারেরও বেশি হামলা হয়। এ নিয়ে গত ৭২ ঘণ্টায় ৬০ বার হামলা হলো।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, রাশিয়া রাকা এলাকায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে রাতে হামলা চালিয়েছে। ব্যাপক বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
রুশ হামলার সমালোচনা করে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন অভিযোগ করেছেন, এসব হামলার মাত্র ৫ শতাংশ আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সকালে এই হামলাগুলোর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করছি। হামলার অধিকাংশই আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে না।’ ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, রাশিয়ার বিমান হামলা প্রেসিডেন্ট বাশারের অবস্থানকে শক্তিশালী করছে এবং সিরিয়ার জনগণের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। গতকাল ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা সান-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মাইকেল ফ্যালনকে এভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশারের কট্টর সমালোচক প্রতিবেশী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়ায় মস্কোর কৌশল পুনর্বিবেচনার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল তিনি কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমি অবশ্যই প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলব...এ বিষয়ে (সিরিয়া বিষয়ে মস্কোর কৌশল) আমার হতাশার কথা তুলে ধরব। আমি জানতে চাই, সিরিয়ার ব্যাপারে রাশিয়া এত আগ্রহী কেন?’
এর আগে গত শুক্রবার প্যারিসে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। সেখানে তিনিও সিরিয়ায় রুশ হামলার বিষয়ে মস্কোর নীতির সমালোচনা করেন। পরে ওলাঁদ বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, সিরিয়ায় শুধু আইএসের লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালাতে হবে।’
শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ায় আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে মনোনিবেশ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায়। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক মুখপাত্র ক্যাথেরিন রে বলেন, সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে অবশ্যই আইএসকে লক্ষ্য করে।
গত বুধবার থেকে সিরিয়ায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া। গত চার দিনে আলেপ্পো, হামা, হোমস, ইদলিব ও রাকা এলাকায় ব্যাপক হামলা চালানো হয়।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সমালোচনার মধ্যে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গতকাল শনিবার টানা চতুর্থ দিন হামলা চালিয়েছে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো। খবর বিবিসি ও এএফপির।
হোয়াইট হাউসে গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘সিরিয়ার সমস্যা হলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নিজে এবং সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান। এটা বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, বাশারের প্রতি হতাশ কোনো পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে চালানো রুশ হামলায় ওয়াশিংটন সহযোগিতা করবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মস্কো সিরিয়ায় আইএস এবং মধ্যপন্থী সরকারবিরোধীদের মধ্যে পার্থক্য করছে না। রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি হলো, তারা সবাই সন্ত্রাসী। আর এটা সিরিয়ায় বিপর্যয় নেমে আসার আয়োজন চূড়ান্ত করছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা জোর দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো ছায়াযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে না।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, আইএসের ক্ষমতার কেন্দ্র রাকা এলাকায় ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে সংগঠনটির ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতেও আঘাত হানা হয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় আইএসের নয়টি স্থাপনা লক্ষ্য করে ২০ বারেরও বেশি হামলা হয়। এ নিয়ে গত ৭২ ঘণ্টায় ৬০ বার হামলা হলো।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, রাশিয়া রাকা এলাকায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে রাতে হামলা চালিয়েছে। ব্যাপক বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
রুশ হামলার সমালোচনা করে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন অভিযোগ করেছেন, এসব হামলার মাত্র ৫ শতাংশ আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সকালে এই হামলাগুলোর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করছি। হামলার অধিকাংশই আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে না।’ ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, রাশিয়ার বিমান হামলা প্রেসিডেন্ট বাশারের অবস্থানকে শক্তিশালী করছে এবং সিরিয়ার জনগণের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। গতকাল ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা সান-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মাইকেল ফ্যালনকে এভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশারের কট্টর সমালোচক প্রতিবেশী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়ায় মস্কোর কৌশল পুনর্বিবেচনার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল তিনি কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আমি অবশ্যই প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলব...এ বিষয়ে (সিরিয়া বিষয়ে মস্কোর কৌশল) আমার হতাশার কথা তুলে ধরব। আমি জানতে চাই, সিরিয়ার ব্যাপারে রাশিয়া এত আগ্রহী কেন?’
এর আগে গত শুক্রবার প্যারিসে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। সেখানে তিনিও সিরিয়ায় রুশ হামলার বিষয়ে মস্কোর নীতির সমালোচনা করেন। পরে ওলাঁদ বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, সিরিয়ায় শুধু আইএসের লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালাতে হবে।’
শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ায় আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে মনোনিবেশ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায়। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক মুখপাত্র ক্যাথেরিন রে বলেন, সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে অবশ্যই আইএসকে লক্ষ্য করে।
গত বুধবার থেকে সিরিয়ায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া। গত চার দিনে আলেপ্পো, হামা, হোমস, ইদলিব ও রাকা এলাকায় ব্যাপক হামলা চালানো হয়।
No comments