এমপি লিটনের যত কাণ্ড
স্কুল
ছাত্রকে নিজ পিস্তল দিয়ে গুলিবিদ্ধ করার পর থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সরকার দলীয় এমপি মনজুুরুল ইসলাম লিটনের। তার সকল
অন্যায় ও অপকর্মেও বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগসহ
সর্বস্তরের মানুষ। সুন্দরগঞ্জে অনুসন্ধান চালিয়ে পাওয়া গেছে তার যতসব
কান্ডের তথ্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৬ জুন সুন্দরগঞ্জ আঃ মজিদ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মঠে জামায়াতে ইসলামীর জনসভা ছিল। তৎকালীন প্রসাশন আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখিয়ে ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারী করেন। পরে নির্বাচনী জনসভাপি ভুরারঘাট সিনিয়ার মাদ্রাসা মাঠে নেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের সাবেক আমীর মরহুম প্রফেসর গোলাম আজম। অনুষ্ঠান শেষে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ বাড়ী ফেরার পথে ছাইতানতলা এলাকায় রাস্তা বেরিকেড দিয়ে পথ রোধ করেন বর্তমান এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। ছোড়ের গুরি। তার ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন পীরগাছার কাজী শহীদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও রাজা মিয়াসহ ৬ জন। এরমধ্যে এখন অনেকেই অসহায় জবিন যাপন করছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনজুরুল ইসলাম লিটন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আশরাফ আলী মাষ্টার। যুবক বয়স থেকেই বেশিভাগ সময় কেটেছে ঢাকায়। মেঘনা ঘাটে অবস্থিত শিপায়েড এন্ডার প্রাইজ জাহাজ নির্মাণের কারখানায়। ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য হন লিটন। ২০০৩ সালে গুলি বর্ষন করে জিম্মি রেখে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হন তিনি। একই সালের ১৪ নভেম্বর একতা এক্সপ্রেস এর যাত্রী ফলগাছা গ্রামের রওশনারা বেগম ভোরে ঢাকা থেকে বামনডাঙ্গা ফেরার পথে শ্লীললতাহানির শিকার হত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হাতে। ট্রেনে টানা হ্যাচড়া করে তাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয়। হাত ছিটকে পালিয়ে রওশনআরা আশ্রয় নেন বামনডাঙ্গা রেলওয়ে মসজিদে। এসময় তাকে উদ্দেশ্য করে মাতাল অবস্থায় মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে গুলি বর্ষণ কওে লিটন। ২০০৫ সালে জড়িয়ে পড়েন বেসরকারী রেলওয়ে বাণিজ্য। ১ হাজার ৮৮৮ জন শ্রমিক কর্মচারীর ১৪ মাসের বেতন ভাতা প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে ভূক্তিভোগীরা। ২০০৮ সালে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে আশরাফ আলী হিমাগার নির্মাণ করেন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ব্যাংক ঋণের দায়ে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে বসে এ প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ৯ম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় বেরে যায় তার অপরাধ প্রবনতার মাত্রা। ২০১৩ সালে হিমাগারে অলু সংরক্ষণ করেন এলাকার অসহায়, গরীব চাষিরা। যথাসময়ে আলু ফেরত না দিয়ে বিক্রি করে গাঁ ঢাকা দেয় লিটন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বামনডাঙ্গার কালিতলা নামক স্থানে যাত্রামঞ্চে মদ পান অবস্থায় নর্তকীর সাথে নাচগান করতে দেখে বিষ্মিত হয় এলাকার মানুষ। ২০১১ সালের ২২ জুলাই সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রাপ্ত শিবরাম আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনুমানিক রাত সাড়ে এগারটার দিকে স্কুল চত্বরে প্রবেশ করে ফাঁকা গুলি করে ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি করে। এঘটনার প্রতিবাদ করেন পুস্কার প্রাপ্ত জাতীয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষা মোঃ নুরুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ীতেও আকষ্মিক গুলি বর্ষণ করেন এই লিটন। ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি হন তিনি। তার নির্দেশে বামনডাঙ্গার পাশে মনমথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলি করে হত্যা করা হয় স্থানীয় খামার ব্যবসায়ী এবং এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় যুুবক শাহাবুল ইসলামকে।
প্রতিবাদ বিক্ষোভ
এদিকে এমপি লিটনের পিস্তলে শাহাদত হোসেন সৌরভ (৯) গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে এমপি লিটনকে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে রোববার দিনভর মাননবন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে সুন্দরগঞ্জে। উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা ও পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি টিআইএম মকবুল হোসেন প্রামানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমদাদুল হক বাবলু ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদ। বক্তারা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানান। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সুুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ইসরাইল হোসেন জানান, শনিবার রাতে সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি বড় শ্যালক তরিকুল ইসলামের মাধ্যমে সংসদ সদস্যের ব্যবহৃত লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তুল ও একটি শর্টগানসহ ৫৩ রাউন্ড গুলি থানায় জমা হয়েছে। অপর দিকে সৌরভের পিতা সাজু মিয়া বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে সংসদ সদস্য লিটনকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেছেন। মামলা তদন্ত কাজ বিভিন্নভাবে অব্যাহত আছে। আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি থানা অফিসার ইনচার্জ কৌশলে এরিয়ে যান। তিনি জানান, গুলি করার সময় কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তা জমাকৃত অস্ত্র পরীক্ষা না করা পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মামলার আইও এসআই কারিবেল হাসান জানায়, মামলার তদন্ত যথাযথ প্রক্রিয়া মোতাবেক চলছে। অগ্রগতির বিষয় তদন্ত নিরপেক্ষতার স্বার্থে বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই মিলটন জানায়, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর দাড়ি রয়েছে। ঘটনার পর থেকে সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৬ জুন সুন্দরগঞ্জ আঃ মজিদ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মঠে জামায়াতে ইসলামীর জনসভা ছিল। তৎকালীন প্রসাশন আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখিয়ে ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারী করেন। পরে নির্বাচনী জনসভাপি ভুরারঘাট সিনিয়ার মাদ্রাসা মাঠে নেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের সাবেক আমীর মরহুম প্রফেসর গোলাম আজম। অনুষ্ঠান শেষে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ বাড়ী ফেরার পথে ছাইতানতলা এলাকায় রাস্তা বেরিকেড দিয়ে পথ রোধ করেন বর্তমান এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। ছোড়ের গুরি। তার ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন পীরগাছার কাজী শহীদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও রাজা মিয়াসহ ৬ জন। এরমধ্যে এখন অনেকেই অসহায় জবিন যাপন করছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনজুরুল ইসলাম লিটন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আশরাফ আলী মাষ্টার। যুবক বয়স থেকেই বেশিভাগ সময় কেটেছে ঢাকায়। মেঘনা ঘাটে অবস্থিত শিপায়েড এন্ডার প্রাইজ জাহাজ নির্মাণের কারখানায়। ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য হন লিটন। ২০০৩ সালে গুলি বর্ষন করে জিম্মি রেখে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হন তিনি। একই সালের ১৪ নভেম্বর একতা এক্সপ্রেস এর যাত্রী ফলগাছা গ্রামের রওশনারা বেগম ভোরে ঢাকা থেকে বামনডাঙ্গা ফেরার পথে শ্লীললতাহানির শিকার হত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হাতে। ট্রেনে টানা হ্যাচড়া করে তাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয়। হাত ছিটকে পালিয়ে রওশনআরা আশ্রয় নেন বামনডাঙ্গা রেলওয়ে মসজিদে। এসময় তাকে উদ্দেশ্য করে মাতাল অবস্থায় মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে গুলি বর্ষণ কওে লিটন। ২০০৫ সালে জড়িয়ে পড়েন বেসরকারী রেলওয়ে বাণিজ্য। ১ হাজার ৮৮৮ জন শ্রমিক কর্মচারীর ১৪ মাসের বেতন ভাতা প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে ভূক্তিভোগীরা। ২০০৮ সালে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে আশরাফ আলী হিমাগার নির্মাণ করেন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ব্যাংক ঋণের দায়ে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে বসে এ প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ৯ম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় বেরে যায় তার অপরাধ প্রবনতার মাত্রা। ২০১৩ সালে হিমাগারে অলু সংরক্ষণ করেন এলাকার অসহায়, গরীব চাষিরা। যথাসময়ে আলু ফেরত না দিয়ে বিক্রি করে গাঁ ঢাকা দেয় লিটন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বামনডাঙ্গার কালিতলা নামক স্থানে যাত্রামঞ্চে মদ পান অবস্থায় নর্তকীর সাথে নাচগান করতে দেখে বিষ্মিত হয় এলাকার মানুষ। ২০১১ সালের ২২ জুলাই সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রাপ্ত শিবরাম আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনুমানিক রাত সাড়ে এগারটার দিকে স্কুল চত্বরে প্রবেশ করে ফাঁকা গুলি করে ভীতিকর পরিস্থিতির তৈরি করে। এঘটনার প্রতিবাদ করেন পুস্কার প্রাপ্ত জাতীয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষা মোঃ নুরুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ীতেও আকষ্মিক গুলি বর্ষণ করেন এই লিটন। ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি হন তিনি। তার নির্দেশে বামনডাঙ্গার পাশে মনমথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলি করে হত্যা করা হয় স্থানীয় খামার ব্যবসায়ী এবং এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় যুুবক শাহাবুল ইসলামকে।
প্রতিবাদ বিক্ষোভ
এদিকে এমপি লিটনের পিস্তলে শাহাদত হোসেন সৌরভ (৯) গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে এমপি লিটনকে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে রোববার দিনভর মাননবন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে সুন্দরগঞ্জে। উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা ও পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি টিআইএম মকবুল হোসেন প্রামানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমদাদুল হক বাবলু ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদ। বক্তারা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানান। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সুুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ইসরাইল হোসেন জানান, শনিবার রাতে সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি বড় শ্যালক তরিকুল ইসলামের মাধ্যমে সংসদ সদস্যের ব্যবহৃত লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তুল ও একটি শর্টগানসহ ৫৩ রাউন্ড গুলি থানায় জমা হয়েছে। অপর দিকে সৌরভের পিতা সাজু মিয়া বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে সংসদ সদস্য লিটনকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেছেন। মামলা তদন্ত কাজ বিভিন্নভাবে অব্যাহত আছে। আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি থানা অফিসার ইনচার্জ কৌশলে এরিয়ে যান। তিনি জানান, গুলি করার সময় কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তা জমাকৃত অস্ত্র পরীক্ষা না করা পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মামলার আইও এসআই কারিবেল হাসান জানায়, মামলার তদন্ত যথাযথ প্রক্রিয়া মোতাবেক চলছে। অগ্রগতির বিষয় তদন্ত নিরপেক্ষতার স্বার্থে বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই মিলটন জানায়, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর দাড়ি রয়েছে। ঘটনার পর থেকে সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
No comments