কোনিও হত্যা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার আগ্রহ, জাপানের উদ্বেগ
রংপুরে
হোসি কোনিও হত্যার সাথে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক
স্টেট) জড়িত থাকার দাবিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জাপান। বাংলাদেশে বিদেশি
নাগরিকদের হত্যায় আইএস জড়িত কি-না তা তদন্তে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে
যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশে বিদেশি হত্যার সাথে আইএসের জড়িত থাকার অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। আর সিঙ্গাপুর তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে উচ্চ মাত্রায় সতকর্তা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঢাকা ও রংপুরে বিদেশি নাগরিক হত্যায় নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার ফেসবুকে জাপান দূতাবাসের পাতায় দেয়া বৈদেশিক নিরাপত্তা তথ্যে হোসি কোনিও হত্যার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এতে রংপুরে গুলি করে জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়েছে, আইএস এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। তারা ইসলামি দেশগুলোতে বিদেশিদের ওপর আরো আক্রমনের হুমকি দিয়েছে।
বার্তায় সিরিয়াতে জাপানের দুজন নাগরিক ইউকাওয়া হারুকানা এবং কিনজি গোটোকে গলা কেটে হত্যা এবং তার ভিডিও আইএস কর্তৃক প্রকাশের ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ কারণে বাংলাদেশে জাপানি নাগরিক হত্যার সাথে আইএসের জড়িত থাকার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ নিরাপত্তা তথ্য নিয়ে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈদেশিক নিরাপত্তা তথ্য ও প্রতিবেদন দেবার চেষ্টা করছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে জাপানের নাগরিকদের যথাযথ নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়া বার্তা বলা হয়েছে, বিদেশিদের ওপর সম্ভাব্য হামলাজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভ্রমণ বা অবস্থানরত সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের উচ্চ মাত্রায় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রতি সজাগ থেকে স্থানীয় সংবাদের ওপর গভীরভাবে নজর রাখা এবং জনসমাগম বা জনাকীর্ন স্থান পরিহার করে চলা উচিত।
ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া আজ তাদের নাগরিকদের আগের দেয়া সতর্কবার্তা হালনাগাদ করে রংপুরে জাপানের নাগরিক হত্যা ও এর দায় আইএসের স্বীকার করার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার গভীর রাতে আইএস তাদের আনুষ্ঠানিক টুইট বার্তায় হোসি কোনিও হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়েটার্স। এর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টালিজেন্ট গ্রুপ’ আইএসের দাবিটি প্রচার করেছে। এর আগে গুলশানে ইটালির নাগরিক হত্যার দায়ও আইএস স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছিল সাইট ইন্টালিজেন্ট গ্রুপ। তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরনের কোনো দাবির কথা অস্বীকার করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আগ্রহ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি পরপর দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হত্যাকাণ্ডগুলোর সাথে আইএস জড়িত কি-না তা নিশ্চিতের জন্য তদন্তে বাংলাদেশ সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং যৌথভাবে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আজ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌঘাঁটি ঈসা খাঁ’য় আয়োজিত কো-অপারেশন অ্যাফ্লোট রেডিনেস অ্যান্ড ট্রেইনিং (কারাত)- ২০১৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। নিরাপত্তা ও অন্যান্য কূটনৈতিক বিষয়ের সাথে এই বিষয়টিও আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। যে সব বিদেশি নাগরিক এ দেশে আছেন তাদের নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশে না আসার সাথে এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।
ইইউ’র নিন্দা
ইইউ’র ঢাকা দূতাবাস এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশিদের নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে পারবে বলে ইইউ আস্থাশীল।
বাংলাদেশে বিদেশি হত্যার সাথে আইএসের জড়িত থাকার অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। আর সিঙ্গাপুর তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে উচ্চ মাত্রায় সতকর্তা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঢাকা ও রংপুরে বিদেশি নাগরিক হত্যায় নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার ফেসবুকে জাপান দূতাবাসের পাতায় দেয়া বৈদেশিক নিরাপত্তা তথ্যে হোসি কোনিও হত্যার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এতে রংপুরে গুলি করে জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়েছে, আইএস এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। তারা ইসলামি দেশগুলোতে বিদেশিদের ওপর আরো আক্রমনের হুমকি দিয়েছে।
বার্তায় সিরিয়াতে জাপানের দুজন নাগরিক ইউকাওয়া হারুকানা এবং কিনজি গোটোকে গলা কেটে হত্যা এবং তার ভিডিও আইএস কর্তৃক প্রকাশের ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ কারণে বাংলাদেশে জাপানি নাগরিক হত্যার সাথে আইএসের জড়িত থাকার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ নিরাপত্তা তথ্য নিয়ে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈদেশিক নিরাপত্তা তথ্য ও প্রতিবেদন দেবার চেষ্টা করছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে জাপানের নাগরিকদের যথাযথ নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়া বার্তা বলা হয়েছে, বিদেশিদের ওপর সম্ভাব্য হামলাজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভ্রমণ বা অবস্থানরত সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের উচ্চ মাত্রায় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রতি সজাগ থেকে স্থানীয় সংবাদের ওপর গভীরভাবে নজর রাখা এবং জনসমাগম বা জনাকীর্ন স্থান পরিহার করে চলা উচিত।
ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া আজ তাদের নাগরিকদের আগের দেয়া সতর্কবার্তা হালনাগাদ করে রংপুরে জাপানের নাগরিক হত্যা ও এর দায় আইএসের স্বীকার করার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার গভীর রাতে আইএস তাদের আনুষ্ঠানিক টুইট বার্তায় হোসি কোনিও হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়েটার্স। এর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টালিজেন্ট গ্রুপ’ আইএসের দাবিটি প্রচার করেছে। এর আগে গুলশানে ইটালির নাগরিক হত্যার দায়ও আইএস স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছিল সাইট ইন্টালিজেন্ট গ্রুপ। তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরনের কোনো দাবির কথা অস্বীকার করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আগ্রহ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি পরপর দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হত্যাকাণ্ডগুলোর সাথে আইএস জড়িত কি-না তা নিশ্চিতের জন্য তদন্তে বাংলাদেশ সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং যৌথভাবে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আজ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌঘাঁটি ঈসা খাঁ’য় আয়োজিত কো-অপারেশন অ্যাফ্লোট রেডিনেস অ্যান্ড ট্রেইনিং (কারাত)- ২০১৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। নিরাপত্তা ও অন্যান্য কূটনৈতিক বিষয়ের সাথে এই বিষয়টিও আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। যে সব বিদেশি নাগরিক এ দেশে আছেন তাদের নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশে না আসার সাথে এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।
ইইউ’র নিন্দা
ইইউ’র ঢাকা দূতাবাস এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশিদের নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে পারবে বলে ইইউ আস্থাশীল।
No comments