বাচ্চাদের টাকায় দুটি নতুন ব্যাংক দেয়া সম্ভব by হামিদ বিশ্বাস
স্কুল
ব্যাংকিং। খুদে সঞ্চয়। শিশুদের টাকা জমাতে উদ্বুদ্ধ করা। উদ্যোগটি অভিনব।
গভর্নর ড. আতিউর রহমানের আইডিয়া। ২০১০ সালের শেষের দিকে আলোর মুখ দেখে এটি।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সালে। শুরু থেকে আজ
পর্যন্ত ব্যাপক সাড়া পড়েছে স্কুল ব্যাংকিংয়ে। খোলা হয়েছে প্রচুর অ্যাকাউন্ট
আর জমা হয়েছে অনেক অর্থ। জানা গেছে, একটি নতুন ব্যাংক খুলতে দরকার ৪০০
কোটি টাকা। বাচ্চাদের কাছে আছে ৮০০ কোটি টাকার বেশি। সে হিসাবে বাচ্চারা
চাইলে আর অনুমোদন মিললে তাদের জমানো টাকায় দুটো নতুন ব্যাংক আসতে পারে বলে
মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের
মার্চ পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৭টি অ্যাকাউন্ট খোলা
হয়েছে। এতে শিশুদের ৮২৩ কোটি টাকা জমা রয়েছে। জানা গেছে, দেশে কার্যরত
৫৬টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৯টি ব্যাংক স্কুল
ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। চলতি বছরের শুরু থেকে আরও ৩টি
নতুন ব্যাংক (ইউনিয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক
ও মধুমতি ব্যাংক) স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। সব মিলিয়ে
বর্তমানে ৫২টি ব্যাংক স্কুল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে আকর্ষণীয়
মুনাফাসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিম রয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য। প্রত্যেক
ব্যাংকের ওয়েবসাইটে স্কুল ব্যাংকিং সংক্রান্ত স্কিমের বিস্তারিত তথ্য
রয়েছে। স্কুল ব্যাংকিংয়ের জন্য স্কুলের পরিচয়পত্র ও অভিভাবকদের অনুমতি
লাগে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিংয়ের জন্য তথ্য ও নিয়মাবলী জানিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। উদ্দেশ্য ছিল সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। যে হিসাবের মাধ্যমে এখন শিক্ষার্থীরা শুধু টাকাই জমাচ্ছে না, তাদের স্কুলের বেতন ভাতাও পরিশোধ করতে পারছে। নিজের একটি হিসাব থেকে স্কুলের বেতন পরিশোধ করা মানে পূর্ণভাবে একজন মানুষ ব্যাংকিংয়ের মূলধারার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাওয়া।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে স্কুল ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে। প্রথম দিকে কিছুটা কম হলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন তারা স্কুলের বেতন দিতে পারছে অ্যাকাউন্টটির মাধ্যমে। তিনি বলেন, শুরুতে ১০ টাকা দিয়ে হিসাব খোলা হলেও পরে হিসাবটি খুলতে ১০০ টাকা জমা রাখতে বলা হয়। এসব হিসাব চলতি হিসাবেও রূপান্তরের সুযোগ আছে। কোন কোন ব্যাংক আলাদা কাউন্টার বা ডেস্ক খুলে শিক্ষার্থীদের এ সেবা দিচ্ছে।
জানা যায়, দেশের মোট জনসংখ্যার বড় একটা অংশ স্কুল শিক্ষার্থী। স্কুল ব্যাংকিং বা স্টুডেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ‘ইয়ং স্টার’ ‘ফিউচার স্টার’ ইত্যাদি উদ্দীপনাসূচক নামে ব্যাংকগুলো চালু করে আকর্ষণীয় স্কিম। যেখানে অত্যন্ত সহজ শর্তে খোলা যায় শিক্ষার্থীদের নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এ স্কিমের আওতায় শিক্ষার্থী এক কপি ছবি, স্কুলের আইডি কার্ড ও নামমাত্র টাকা দিয়ে ব্যাংকের যে কোন শাখায় খুলতে পারে সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা সঞ্চয়ী হিসাব। ৬ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবক হিসাবটি পরিচালনা করবেন। সাধারণ হিসাব খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো ফরম রয়েছে, সঙ্গে আছে একটি গ্রাহক পরিচিতি (কেওয়াইসি) ফরম। সেগুলো পূরণ করতে হয় এতে। শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। টাকা তুলতে পারবে নমিনি হিসাবে থাকা বাবা অথবা মা। তবে স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেট টেলার মেশিন) লেনদেনের জন্য এটিএম কার্ডও নিতে পারে শিক্ষার্থী। তার জন্য অবশ্য নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় রাখতে হবে শিক্ষার্থীকে। আর ১৮ বছর বয়স হলে সব শিক্ষার্থীই টাকা তুলতে পারবে। হিসাবগুলোয় সরকারি ফি ছাড়া অন্য কোন সেবা মাশুল ব্যাংকগুলো নেয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৭টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। যা আগের বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩টি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৫ হাজার ৯৭৪টি অ্যাকাউন্ট। খাতওয়ারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে শিশুরা ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৫৫টি অ্যাকাউন্ট খুলেছে। একইভাবে বিশেষায়িত ব্যাংকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০টি, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৮টি ও বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকে ১ হাজার ৪৫৪টি অ্যাকাউন্ট খুলে তারা।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিংয়ের জন্য তথ্য ও নিয়মাবলী জানিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। উদ্দেশ্য ছিল সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। যে হিসাবের মাধ্যমে এখন শিক্ষার্থীরা শুধু টাকাই জমাচ্ছে না, তাদের স্কুলের বেতন ভাতাও পরিশোধ করতে পারছে। নিজের একটি হিসাব থেকে স্কুলের বেতন পরিশোধ করা মানে পূর্ণভাবে একজন মানুষ ব্যাংকিংয়ের মূলধারার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাওয়া।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে স্কুল ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে। প্রথম দিকে কিছুটা কম হলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন তারা স্কুলের বেতন দিতে পারছে অ্যাকাউন্টটির মাধ্যমে। তিনি বলেন, শুরুতে ১০ টাকা দিয়ে হিসাব খোলা হলেও পরে হিসাবটি খুলতে ১০০ টাকা জমা রাখতে বলা হয়। এসব হিসাব চলতি হিসাবেও রূপান্তরের সুযোগ আছে। কোন কোন ব্যাংক আলাদা কাউন্টার বা ডেস্ক খুলে শিক্ষার্থীদের এ সেবা দিচ্ছে।
জানা যায়, দেশের মোট জনসংখ্যার বড় একটা অংশ স্কুল শিক্ষার্থী। স্কুল ব্যাংকিং বা স্টুডেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ‘ইয়ং স্টার’ ‘ফিউচার স্টার’ ইত্যাদি উদ্দীপনাসূচক নামে ব্যাংকগুলো চালু করে আকর্ষণীয় স্কিম। যেখানে অত্যন্ত সহজ শর্তে খোলা যায় শিক্ষার্থীদের নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এ স্কিমের আওতায় শিক্ষার্থী এক কপি ছবি, স্কুলের আইডি কার্ড ও নামমাত্র টাকা দিয়ে ব্যাংকের যে কোন শাখায় খুলতে পারে সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা সঞ্চয়ী হিসাব। ৬ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবক হিসাবটি পরিচালনা করবেন। সাধারণ হিসাব খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো ফরম রয়েছে, সঙ্গে আছে একটি গ্রাহক পরিচিতি (কেওয়াইসি) ফরম। সেগুলো পূরণ করতে হয় এতে। শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। টাকা তুলতে পারবে নমিনি হিসাবে থাকা বাবা অথবা মা। তবে স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটেট টেলার মেশিন) লেনদেনের জন্য এটিএম কার্ডও নিতে পারে শিক্ষার্থী। তার জন্য অবশ্য নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় রাখতে হবে শিক্ষার্থীকে। আর ১৮ বছর বয়স হলে সব শিক্ষার্থীই টাকা তুলতে পারবে। হিসাবগুলোয় সরকারি ফি ছাড়া অন্য কোন সেবা মাশুল ব্যাংকগুলো নেয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৭টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। যা আগের বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩টি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৫ হাজার ৯৭৪টি অ্যাকাউন্ট। খাতওয়ারি প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে শিশুরা ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৫৫টি অ্যাকাউন্ট খুলেছে। একইভাবে বিশেষায়িত ব্যাংকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০টি, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৮টি ও বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকে ১ হাজার ৪৫৪টি অ্যাকাউন্ট খুলে তারা।
No comments