চট্টগ্রামে জেলখানায় আসামির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা হাজতে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি কাজ শুরু করেছে। গতকাল রোববার সকালে কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এর আগে শনিবার রাতে নগর পুলিশ কমিশনার মোহা. আব্দুল জলিল মণ্ডল এ কমিটি গঠন করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে কমিটির প্রধান ও নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দীপক জ্যোতি খিসা এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া, তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এর আগে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানা হাজতে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ইসহাক মিয়া (৫০) নামে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বললেও পরিবারের দাবি থানা হাজতে পুলিশ পিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে। ইসহাক মিয়া পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা গ্রামের বাসিন্দা এবং জাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কোমলপানীয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার নন্দনকানন এলাকার জাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ভল্ট ভেঙে চুরির চেষ্টা করে একদল চোর। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ নিরাপত্তাকর্মী ইসহাক মিয়ার সম্পৃক্ততা পেয়ে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আসেন। এসময় তার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন জাহিদ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানা হাজতে রাখা হয়। হাজতে তার সঙ্গে ডিবির এক আসামি এবং ফারুক নামের ৮৮ ধারায় আটক আরেক এক আসামি ছিল।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডিবির আসামিকে তারা নিয়ে যায়। ইসহাকের ছেলে সকালে খাবার নিয়ে থানায় আসলে হাজতের দায়িত্বরত সেন্ট্রি তার খোঁজ করেন। এসময় সেখানে থাকা অপর আসামি ফারুক সেন্ট্রিকে জানান, ইসহাক টয়লেটে গেছে। টয়লেটে পানির কল ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে বের হচ্ছে না ইসহাক। এসময় সেন্ট্রির নির্দেশে অপর আসামি ফারুক অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর টয়লেটে প্রবেশ করে দেখে থানা হাজতের টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ফুলহাতা শার্ট ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ইসহাক। এসময় তার মুখ ও বুক দেয়ালের সঙ্গে লাগানো থাকায় শরীরের সামনে কিছুটা দাগও হয় তার। এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে চমেক হাসপাতালের মর্গে নিহত ইসহাকের পরিবারের একাধিক সদস্য দাবি করেন, জাহিদ এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুলিশ থানা হাজতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীবুল হাসান বলেন, ‘ইসহাক মিয়ার মরদেহে কোন কাপড় ছিল না। কালো রঙের একটি প্যান্ট ছিল। সাদা চেক শার্টের একাংশ গলার সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। গলার ডান পাশে এক ইঞ্চির মতো মোটা একটা কালো দাগ আছে। কপালের কিছু অংশে চামড়া ছিঁড়ে গেছে। ডান পাশে বুকের নিচে পেটের উপরে একটা কালো আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া শরীরে আর কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে কমিটির প্রধান ও নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দীপক জ্যোতি খিসা এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া, তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এর আগে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানা হাজতে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ইসহাক মিয়া (৫০) নামে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বললেও পরিবারের দাবি থানা হাজতে পুলিশ পিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে। ইসহাক মিয়া পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা গ্রামের বাসিন্দা এবং জাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কোমলপানীয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার নন্দনকানন এলাকার জাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ভল্ট ভেঙে চুরির চেষ্টা করে একদল চোর। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ নিরাপত্তাকর্মী ইসহাক মিয়ার সম্পৃক্ততা পেয়ে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আসেন। এসময় তার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন জাহিদ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানা হাজতে রাখা হয়। হাজতে তার সঙ্গে ডিবির এক আসামি এবং ফারুক নামের ৮৮ ধারায় আটক আরেক এক আসামি ছিল।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডিবির আসামিকে তারা নিয়ে যায়। ইসহাকের ছেলে সকালে খাবার নিয়ে থানায় আসলে হাজতের দায়িত্বরত সেন্ট্রি তার খোঁজ করেন। এসময় সেখানে থাকা অপর আসামি ফারুক সেন্ট্রিকে জানান, ইসহাক টয়লেটে গেছে। টয়লেটে পানির কল ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে বের হচ্ছে না ইসহাক। এসময় সেন্ট্রির নির্দেশে অপর আসামি ফারুক অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর টয়লেটে প্রবেশ করে দেখে থানা হাজতের টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ফুলহাতা শার্ট ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ইসহাক। এসময় তার মুখ ও বুক দেয়ালের সঙ্গে লাগানো থাকায় শরীরের সামনে কিছুটা দাগও হয় তার। এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে চমেক হাসপাতালের মর্গে নিহত ইসহাকের পরিবারের একাধিক সদস্য দাবি করেন, জাহিদ এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুলিশ থানা হাজতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীবুল হাসান বলেন, ‘ইসহাক মিয়ার মরদেহে কোন কাপড় ছিল না। কালো রঙের একটি প্যান্ট ছিল। সাদা চেক শার্টের একাংশ গলার সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ছিল। গলার ডান পাশে এক ইঞ্চির মতো মোটা একটা কালো দাগ আছে। কপালের কিছু অংশে চামড়া ছিঁড়ে গেছে। ডান পাশে বুকের নিচে পেটের উপরে একটা কালো আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া শরীরে আর কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
No comments