ওসি হেলাল কারাগারে
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদেরকে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি
আদায়ের মামলায় খিলগাঁও থানার সাবেক ওসি হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন
আদালত। গতকাল আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের
নির্দেশ দেন। রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আলমগীর
কবির রাজের আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে হেলালের
বিরুদ্ধে আদালত থেকে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তার গ্রামের বাড়ি
কুষ্টিয়ায় পৌঁছেছে। আদালত গত ১৭ই মে রায় প্রদান করেন। রায়ের দিন ওসি হেলাল
আদালতে অসুস্থ মর্মে তার পক্ষে আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক
অসুস্থতার মর্মে কোন চিকিৎসা সনদপত্র না থাকায় সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে
ওসি হেলালকে পলাতক দেখিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন। ওসি হেলাল উদ্দিনকে ৩ বছরের
সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম
কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। বিচারক এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩২৪ ধারায় কারাদণ্ডে
দণ্ডিত করেন ওসি হেলালকে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৫ই জুলাই আব্দুল কাদের তার ছোট বোন ফারজানা আক্তারকে নিয়ে গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে হলি ফ্যামেলি স্টাফ কোয়ার্টারে তার খালার বাসায় বোনকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আসার পথে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সামনে সাদা পোশাকধারী পুলিশ কাদেরকে মারধর করতে থাকে। এ সময় তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়। থানার ওসির কক্ষে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করার লক্ষ্যে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তার কাছে কোন তথ্য না পেয়ে টেবিলে থাকা চাপাতি হাতে নিয়ে ‘দেখি তো চাপাতিতে ধার আছে কি না’ বলে ওসি কাদেরের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের পেছনভাগের মাংসপেশিতে কোপ দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করলে রক্তে পুরো কক্ষ ভিজে যায়। পরবর্তী সময়ে ওসি হেলাল তাকে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। তিনটি মামলায়ই তদন্ত শেষে নির্দোষ প্রমাণিত হলে কাদেরকে অব্যাহতি দেন আদালত। ঘটনার সময়ের এ খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর হাইকোর্ট ওসি হেলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ও আইন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আবদুল কাদের গত ২০১২ সালের ২৩শে জানুয়ারি ওসি হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২৬শে মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবু সাঈদ আকন্দ আসামি হেলালকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে আবদুল কাদের বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারে চাকরি নিয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৫ই জুলাই আব্দুল কাদের তার ছোট বোন ফারজানা আক্তারকে নিয়ে গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে হলি ফ্যামেলি স্টাফ কোয়ার্টারে তার খালার বাসায় বোনকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আসার পথে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের সামনে সাদা পোশাকধারী পুলিশ কাদেরকে মারধর করতে থাকে। এ সময় তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়। থানার ওসির কক্ষে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করার লক্ষ্যে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তার কাছে কোন তথ্য না পেয়ে টেবিলে থাকা চাপাতি হাতে নিয়ে ‘দেখি তো চাপাতিতে ধার আছে কি না’ বলে ওসি কাদেরের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের পেছনভাগের মাংসপেশিতে কোপ দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করলে রক্তে পুরো কক্ষ ভিজে যায়। পরবর্তী সময়ে ওসি হেলাল তাকে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। তিনটি মামলায়ই তদন্ত শেষে নির্দোষ প্রমাণিত হলে কাদেরকে অব্যাহতি দেন আদালত। ঘটনার সময়ের এ খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর হাইকোর্ট ওসি হেলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ও আইন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আবদুল কাদের গত ২০১২ সালের ২৩শে জানুয়ারি ওসি হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২৬শে মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবু সাঈদ আকন্দ আসামি হেলালকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে আবদুল কাদের বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারে চাকরি নিয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
No comments