যুক্তরাষ্ট্রে দিনে ২ জনের বেশি মানুষ মারছে পুলিশ!
পুলিশের গুলিতে মানুষ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। গত ১১ মার্চ জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এ বিক্ষোভ হয়। ছবি: রয়টার্স |
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে এ বছর (জানুয়ারি থেকে মে মাস) প্রতিদিন গড়ে
দুজনের বেশি মানুষ মরেছে। আজ রোববার ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার এক অনুসন্ধানী
প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে এএফপি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩৮৫ জন নিহত হয়েছেন। সে হিসেবে গড়ে প্রতিদিন দুজনেরও (২ দশমিক ৬ জন) বেশি লোক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হাতে, প্রধানত গুলিতে নিহত হওয়ার এই ধারা চলতে থাকলে বছর শেষে নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে এক হাজারে।
হতাহতের শিকার মানুষদের বয়স ১৬ থেকে ৮৩ বছর। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে শতকরা ৮০ জনের হাতে বন্দুক বা অন্য কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ছিল। নিহতদের মধ্যে ৯২ জন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেও খবরে বলা হয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি পুলিশি নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্ক চলার প্রেক্ষাপটে এ হিসাব প্রকাশ করল প্রভাবশালী পত্রিকাটি।
খবরে বলার হয়েছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পুলিশের হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপাত্ত নেই। কারণ, দেশটির জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য এ ধরনের হত্যার তথ্য কেন্দ্রকে জানানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত না থাকায় ওয়াশিংটন পোস্ট নিজস্ব তথ্যের হিসাব ব্যবহার করে খবরটি প্রকাশ করেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জনসংখ্যার বিচারে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গরা নিহত হয়েছে অন্য সংখ্যালঘু বা শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি হারে। পত্রিকাটি এ বছর যে হত্যাকাণ্ডগুলো পর্যালোচনা করেছে, তার ভিত্তিতেই এ হিসাব।
আইন প্রয়োগের পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে এমন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হলো পুলিশ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জিম বুরমান বলেন, তথ্য-উপাত্ত নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ না করলে পুলিশের হাতে এসব হত্যাকাণ্ড কখনই কমবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে হত্যার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। ব্রাউনের মৃত্যু এবং অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক দাঙ্গা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে এএফপি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩৮৫ জন নিহত হয়েছেন। সে হিসেবে গড়ে প্রতিদিন দুজনেরও (২ দশমিক ৬ জন) বেশি লোক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হাতে, প্রধানত গুলিতে নিহত হওয়ার এই ধারা চলতে থাকলে বছর শেষে নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে এক হাজারে।
হতাহতের শিকার মানুষদের বয়স ১৬ থেকে ৮৩ বছর। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে শতকরা ৮০ জনের হাতে বন্দুক বা অন্য কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ছিল। নিহতদের মধ্যে ৯২ জন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেও খবরে বলা হয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি পুলিশি নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্ক চলার প্রেক্ষাপটে এ হিসাব প্রকাশ করল প্রভাবশালী পত্রিকাটি।
খবরে বলার হয়েছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পুলিশের হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপাত্ত নেই। কারণ, দেশটির জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য এ ধরনের হত্যার তথ্য কেন্দ্রকে জানানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত না থাকায় ওয়াশিংটন পোস্ট নিজস্ব তথ্যের হিসাব ব্যবহার করে খবরটি প্রকাশ করেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জনসংখ্যার বিচারে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গরা নিহত হয়েছে অন্য সংখ্যালঘু বা শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি হারে। পত্রিকাটি এ বছর যে হত্যাকাণ্ডগুলো পর্যালোচনা করেছে, তার ভিত্তিতেই এ হিসাব।
আইন প্রয়োগের পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে এমন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হলো পুলিশ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জিম বুরমান বলেন, তথ্য-উপাত্ত নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ না করলে পুলিশের হাতে এসব হত্যাকাণ্ড কখনই কমবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে হত্যার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। ব্রাউনের মৃত্যু এবং অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক দাঙ্গা হয়।
No comments