গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ
রাজধানীর
কলাবাগানে গত শনিবার ভোরে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ
হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে
ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হলেন মমতাজ বেগম, তাঁর ছেলে সুমন মাঝি ও
মেয়ে রোজিনা আক্তার, সুমনের স্ত্রী রেশমা ও ছেলে মো. রাব্বী এবং রোজিনার
ছেলে ইউসুফ মাঝি ও মেয়ে ফারহানা আক্তার বীথি। এঁদের মধ্যে রেশমার হাত
সামান্য পুড়ে গেছে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কলাবাগান লেক
সার্কাস রোড এলাকায় দুই কক্ষের এক বাসায় থাকেন দগ্ধ ব্যক্তিরা। বাসার ওপরে
টিনের চাল আর চারদিকে পাকা দেয়াল। এ পরিবারটির উপার্জনকারী হলেন দগ্ধ সুমন ও
তাঁর বোন রোজিনা। সুমন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর গাড়িচালক। আর রোজিনা সাভারের
একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ করেই ওই বাসায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের
ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে বাসার টিনের চাল উড়ে যায়, একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে।
বিস্ফোরণের পরপরই বাসার কয়েক জায়গায় আগুন ধরে যায়। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় ওই
বাসা ও আশপাশ। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পলাশী স্টেশন ও মোহাম্মদপুর স্টেশনের কর্মীরা
গিয়ে আগুন ও ধোয়া নিয়ন্ত্রণে আনেন। নিয়ন্ত্রণের কাজ করার সময় ওই বাসা থেকে
দগ্ধ ওই সাতজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই এলাকায় মাটি কেটে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাজ করার সময় গ্যাসলাইনের কোথাও ছিদ্র হয়ে যায়। ছিদ্র দিয়ে গ্যাস নির্গত হয়ে ওই বাসা ভরে যায়। পরে আগুনের সংস্পর্শে এসে তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, সকালে হয়তো বাসার বাসিন্দাদের কেউ গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়েছিলেন।
গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে যাওয়ার বিষয়ে দগ্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি। দগ্ধ সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমাইয়া ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ভাবছিলাম, ভূমিকম্প হইতেছে। পরে দেখি, ধোঁয়া, আর কিছু জায়গায় আগুন। আমার বাসার লোকজন আগুন আগুন বইলা চিৎকার করতেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই এলাকায় মাটি কেটে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাজ করার সময় গ্যাসলাইনের কোথাও ছিদ্র হয়ে যায়। ছিদ্র দিয়ে গ্যাস নির্গত হয়ে ওই বাসা ভরে যায়। পরে আগুনের সংস্পর্শে এসে তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, সকালে হয়তো বাসার বাসিন্দাদের কেউ গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়েছিলেন।
গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে যাওয়ার বিষয়ে দগ্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি। দগ্ধ সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমাইয়া ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ভাবছিলাম, ভূমিকম্প হইতেছে। পরে দেখি, ধোঁয়া, আর কিছু জায়গায় আগুন। আমার বাসার লোকজন আগুন আগুন বইলা চিৎকার করতেছে।’
No comments