হার না–মানা মা ও ছেলে by সুজন ঘোষ
হাঁটতে পারে না ইমতিয়াজ। তাতে কী! মা ইয়াসমিন নাহার ছেলেকে কোলে করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যেতেন। চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুল থেকে এ বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। গতকাল স্কুল প্রাঙ্গণে মা-ছেলে l ছবি: জুয়েল শীল |
ইয়াসমিন
নাহারের মুঠোফোনে একটু পর পর রিং বাজছে। তিনিও একটার পর একটা ফোন
ধরছেন। তাঁর চোখেমুখে আনন্দ, কণ্ঠে উচ্ছ্বাস। গর্ব করে সাফল্যের খবর
জানাচ্ছেন। ছেলে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলে এমন উচ্ছ্বাস তো সব মা-ই করেন!
ছেলেকে নিয়ে ইয়াসমিন নাহারের সংগ্রাম অন্য আট-দশজন মায়ের মতো নয়। জন্ম থেকেই হাঁটার সামর্থ্য ছিল না তাঁর ছেলের। কোনো দিন মা কোনো দিন বাবার কোলে চড়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে তাকে। সেই মো. ইমতিয়াজ কবির মা-বাবার পরিশ্রম আর কষ্ট বৃথা যেতে দেয়নি। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এ বছর এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে সে।
গতকাল শনিবার দুপুরে কলেজিয়েট স্কুলে গিয়ে কথা হয় অদম্য এই মা ও হার না-মানা তাঁর ছেলের সঙ্গে। ইয়াসমিন নাহার বলেন, ‘আজ কী আনন্দ হচ্ছে তা বোঝাতে পারব না। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে। এ জন্য ইমতিয়াজের শিক্ষক ও সহপাঠীদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।’
চট্টগ্রামের কৃষ্ণকুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ইয়াসমিন নাহার। তিনি জানান, জন্মের পর থেকেই ইমতিয়াজের দুটি পা বাঁকা ছিল। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও পা ভালো হয়নি। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া থানায়। ইয়াসমিন নাহারের স্বামী ইনামুল কবিরের চাকরির কারণে ২০০০ সালে তাঁরা চট্টগ্রামে আসেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইমতিয়াজ বড়। বোন সাদিয়া কবির কেজির ছাত্রী। বাবা পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপক।
ইমতিয়াজের সাফল্যের জন্য সহপাঠীদের ভূমিকাকেও বড় করে দেখেন তার মা। তিনি জানান, কোনো কোনো দিন ইমতিয়াজের বন্ধুরা তাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে যেত। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা নিয়মিত সহযোগিতা করত। শিক্ষকেরাও তার প্রতি আন্তরিক ছিলেন। সবার সহযোগিতায় সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ইয়াসমিন নাহার জানান, প্রথমে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে তাঁদের বাসা ছিল। কিন্তু ছেলের আসা-যাওয়ায় সমস্যা হওয়ায় কলেজিয়েট স্কুলের পাশে মাদারবাড়ির এলাকায় বাসা নেওয়া হয়।
জেএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ইমতিয়াজ। কম্পিউটার প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলে, ‘আমি এমন একটি পেশা বেছে নিতে চাই, যেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’
কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক খুরশীদ আলীয়া জানান, ইমতিয়াজের মনোবল শক্ত। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকত। পড়াশোনার জন্য তার মা-বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এই পরিবারটির সাফল্য অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
ছেলেকে নিয়ে ইয়াসমিন নাহারের সংগ্রাম অন্য আট-দশজন মায়ের মতো নয়। জন্ম থেকেই হাঁটার সামর্থ্য ছিল না তাঁর ছেলের। কোনো দিন মা কোনো দিন বাবার কোলে চড়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে তাকে। সেই মো. ইমতিয়াজ কবির মা-বাবার পরিশ্রম আর কষ্ট বৃথা যেতে দেয়নি। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এ বছর এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে সে।
গতকাল শনিবার দুপুরে কলেজিয়েট স্কুলে গিয়ে কথা হয় অদম্য এই মা ও হার না-মানা তাঁর ছেলের সঙ্গে। ইয়াসমিন নাহার বলেন, ‘আজ কী আনন্দ হচ্ছে তা বোঝাতে পারব না। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে। এ জন্য ইমতিয়াজের শিক্ষক ও সহপাঠীদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।’
চট্টগ্রামের কৃষ্ণকুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ইয়াসমিন নাহার। তিনি জানান, জন্মের পর থেকেই ইমতিয়াজের দুটি পা বাঁকা ছিল। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও পা ভালো হয়নি। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া থানায়। ইয়াসমিন নাহারের স্বামী ইনামুল কবিরের চাকরির কারণে ২০০০ সালে তাঁরা চট্টগ্রামে আসেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইমতিয়াজ বড়। বোন সাদিয়া কবির কেজির ছাত্রী। বাবা পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপক।
ইমতিয়াজের সাফল্যের জন্য সহপাঠীদের ভূমিকাকেও বড় করে দেখেন তার মা। তিনি জানান, কোনো কোনো দিন ইমতিয়াজের বন্ধুরা তাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে যেত। পড়াশোনার ব্যাপারে তারা নিয়মিত সহযোগিতা করত। শিক্ষকেরাও তার প্রতি আন্তরিক ছিলেন। সবার সহযোগিতায় সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ইয়াসমিন নাহার জানান, প্রথমে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে তাঁদের বাসা ছিল। কিন্তু ছেলের আসা-যাওয়ায় সমস্যা হওয়ায় কলেজিয়েট স্কুলের পাশে মাদারবাড়ির এলাকায় বাসা নেওয়া হয়।
জেএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ইমতিয়াজ। কম্পিউটার প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলে, ‘আমি এমন একটি পেশা বেছে নিতে চাই, যেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’
কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক খুরশীদ আলীয়া জানান, ইমতিয়াজের মনোবল শক্ত। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকত। পড়াশোনার জন্য তার মা-বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এই পরিবারটির সাফল্য অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
No comments