বাজেট প্রস্তাবনায় টিআইবির ১১ সুপারিশ
আসন্ন
বাজেটের জন্য ১১টি সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ
(টিআইবি)। গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় সংস্থাটির
পক্ষ থেকে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এদিকে এ অনুষ্ঠানে টিআইবি কর্মকর্তাদের
রাজনীতিতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। গতকাল
সংসদ সচিবালয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
ইফতেখারুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান। আসন্ন ২০১৫-১৬
অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দল এই সভার আয়োজন করে। এতে
বাজেট বিষয়ে নিজেদের সুপারিশ উত্থাপনের জন্য টিআইবিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আলোচনার শেষ পর্যায়ে রওশন এরশাদ বলেন, টিআইবি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ
প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। জাতীয় পার্টিও তাই করছে। সে জন্য আমরা আপনাদের
রাজনীতিতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা চাই আপনাদের মতো মানুষ নির্বাচিত
হয়ে সংসদে আসুক। সংসদে আসলে আপনাদের দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজ আরও
সহজ হবে। রওশন এরশাদের আমন্ত্রণ সম্পর্কে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন,
তিনি সৌজন্যতাবশত এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আসলে সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না।
অনুষ্ঠানে টিআইবির পক্ষ থেকে ১১ দফা সুপারিশে বলা হয়, সরকারের জাতীয় ও স্থানীয় বাজেটের সকল প্রকার কেনাকাটা, কর আদায় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত অনলাইনভিত্তিক নিরীক্ষা, প্রতিরক্ষাসহ সব খাতের তথ্য প্রকাশ, নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য, সকল বিচারপতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিশ্চিত, নিরীক্ষা আইন প্রণয়ন এবং থোক বরাদ্দকে নিরুৎসাহিত করা। আলোচনায় রওশন এরশাদ বলেন, দুর্নীতি কমাতে হলে বাজেটে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবছর সরকার বাজেট ঘোষণা করলেও তা কখনই সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয় না। এমন বাজেট প্রণয়ন করতে হবে, যা বাস্তবায়নযোগ্য। বাজেটে কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিলে তা সমাজে শান্তি আনবে। এদিকে টিআইবির অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্যসহ বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিশ্চিত ও নিয়মিত হালনাগাদ করা। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করা, মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধে এবং পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে রওশন এরশাদ ছাড়াও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাপার এমপি শওকত চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নূরুল ইসলাম ওমর, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, মামুনুর রশিদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক এস. এম. রেজওয়ান-উল-আলম প্রমুখ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে টিআইবির পক্ষ থেকে ১১ দফা সুপারিশে বলা হয়, সরকারের জাতীয় ও স্থানীয় বাজেটের সকল প্রকার কেনাকাটা, কর আদায় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত অনলাইনভিত্তিক নিরীক্ষা, প্রতিরক্ষাসহ সব খাতের তথ্য প্রকাশ, নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য, সকল বিচারপতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিশ্চিত, নিরীক্ষা আইন প্রণয়ন এবং থোক বরাদ্দকে নিরুৎসাহিত করা। আলোচনায় রওশন এরশাদ বলেন, দুর্নীতি কমাতে হলে বাজেটে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবছর সরকার বাজেট ঘোষণা করলেও তা কখনই সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয় না। এমন বাজেট প্রণয়ন করতে হবে, যা বাস্তবায়নযোগ্য। বাজেটে কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিলে তা সমাজে শান্তি আনবে। এদিকে টিআইবির অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্যসহ বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিশ্চিত ও নিয়মিত হালনাগাদ করা। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করা, মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধে এবং পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে রওশন এরশাদ ছাড়াও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাপার এমপি শওকত চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নূরুল ইসলাম ওমর, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, মামুনুর রশিদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক এস. এম. রেজওয়ান-উল-আলম প্রমুখ অংশ নেন।
No comments